চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের মূলপর্বে টানা পাঁচ ম্যাচ হার। এমন মিশন শেষে সংগতভাবেই দায় নিতে হচ্ছে অধিনায়ককে। বৃহস্পতিবার দুবাই স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হারের পর তোপের মুখেই পড়লেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি কি এবার নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন? বিদায় বলবেন টি-২০ ক্রিকেটকে? এমন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে অবশ্য সতর্ক হয়েই বলেন মাহমুদুল্লাহ। এ নিয়ে তার মন্তব্য নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তার অধিনায়কত্বের ভবিষ্যত ঠিক করবে। এবারের বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটি খেলে রিয়াদ বলছিলেন, ‘দেখুন, অধিনায়কত্বের বিষয়টা আমার হাতে নেই। এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আমার তরফ থেকে আমি সব সময় চেষ্টা করেছি দলটাকে আগলে রাখার। পারফরম্যান্স আদায় করার জন্য। সম্ভবত আমার অধিনায়কত্বে ঘাটতি ছিল। পারফরম্যান্স আদায় করতে পারিনি। অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত আসলে বোর্ড দেবে। এটি আমার হাতে নেই।’
জিম্বাবুয়ের হারারেতে ১৬ মাস পর টেস্ট দলে ফিরে সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। সেঞ্চুরির পরপরই ম্যাচের তৃতীয় দিন ড্রেসিংরুমে নিজের অবসরের ঘোষণা দেন। যদিও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কিছু জানাননি তিনি। কাছের মানুষদের বলেছিলেন, ‘নিজেকে প্রমাণ করে বিদায় বলেছেন তিনি।’
সাদা পোশাকে নিজেকে প্রমাণ করলেও টি-২০তে তার পারফরম্যান্সও ভালো নয়। এবারের বিশ্বকাপ তেমন কিছুই বলছে। ৮ ইনিংসে ১৬৯ রান, গড় ২৮.১৬, স্ট্রাইক রেট ১২০.৭১। সঙ্গে দলীয় ব্যর্থতা, অধিনায়কত্বের ব্যর্থতা তো আছেই। সব মিলিয়ে এ ফরম্যাটেও খারাপ সময় দেখে ফেলেছেন। তাহলে কি এবার বিদায় বলবেন? এমন প্রশ্ন করা হলে হাসিমুখে মাহমুদুল্লাহ জবাব দিয়েছেন, ‘না। এই মুহূর্তে ওরকম কিছু (টি-২০ থেকে অবসর) চিন্তা করছি না।‘
এদিকে বিশ্বকাপের শুরুর দিকে ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্কটিশদের বিপক্ষে হারার পর প্রকাশ্যে বাংলাদেশ দলের সমালোচনা করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সমালোচনা করতে ছাড়েননি ভক্ত-সমর্থকরাও। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা গণমাধ্যম, সব জায়গাতেই বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। যা ফেইসবুক থেকে পৌঁছে গেছে দলে থাকা ক্রিকেটারদের কানেও। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে পেইন কিলারের উদাহরণ দিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ। যা নিয়ে পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে সমালোচনা হয়েছে। মাহমুদুল্লাহর সেই সংবাদ সম্মেলনের রেশ কাটতে না কাটতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন মুশফিক। যেখানে তিনি সমালোচনাকদের আয়নায় মুখ দেখতে বলেছিলেন। বিশ্বকাপ মিশন শেষ করার দিনে নিজের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে মাহমুদুল্লাহ জানান সেটি কেবলই আবেগী হওয়ার কারণে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কথা যেটা বললেন, বিশেষ করে আমি বলছি সম্ভবত আমি আবেগী হয়ে এমন উত্তর দিয়েছি। সমালোচনা সবসময়ই হবে, আমি কখনোই বলিনি যে সমালোচনা হবে না। সমালোচনা হবে এবং এটা আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। কারণ দেশ ও দলের জন্য পারফর্ম করা আমাদের দায়িত্ব। যখন আপনি করবেন না (পারফর্ম) তখন আপনাকে সমালোচিত হতে হবে। সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থাকে। অনেক কিছু অনেক সময় বুঝি আবার হয়তো ইগনোরও করি। ওমানের ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম সেটা আমি আবেগী হয়ে বলেছিলাম। অনেক সময় আমার ভেতর অনেক আবেগ কাজ করে।
বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১
চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের মূলপর্বে টানা পাঁচ ম্যাচ হার। এমন মিশন শেষে সংগতভাবেই দায় নিতে হচ্ছে অধিনায়ককে। বৃহস্পতিবার দুবাই স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হারের পর তোপের মুখেই পড়লেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি কি এবার নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন? বিদায় বলবেন টি-২০ ক্রিকেটকে? এমন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে অবশ্য সতর্ক হয়েই বলেন মাহমুদুল্লাহ। এ নিয়ে তার মন্তব্য নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তার অধিনায়কত্বের ভবিষ্যত ঠিক করবে। এবারের বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটি খেলে রিয়াদ বলছিলেন, ‘দেখুন, অধিনায়কত্বের বিষয়টা আমার হাতে নেই। এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আমার তরফ থেকে আমি সব সময় চেষ্টা করেছি দলটাকে আগলে রাখার। পারফরম্যান্স আদায় করার জন্য। সম্ভবত আমার অধিনায়কত্বে ঘাটতি ছিল। পারফরম্যান্স আদায় করতে পারিনি। অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত আসলে বোর্ড দেবে। এটি আমার হাতে নেই।’
জিম্বাবুয়ের হারারেতে ১৬ মাস পর টেস্ট দলে ফিরে সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। সেঞ্চুরির পরপরই ম্যাচের তৃতীয় দিন ড্রেসিংরুমে নিজের অবসরের ঘোষণা দেন। যদিও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কিছু জানাননি তিনি। কাছের মানুষদের বলেছিলেন, ‘নিজেকে প্রমাণ করে বিদায় বলেছেন তিনি।’
সাদা পোশাকে নিজেকে প্রমাণ করলেও টি-২০তে তার পারফরম্যান্সও ভালো নয়। এবারের বিশ্বকাপ তেমন কিছুই বলছে। ৮ ইনিংসে ১৬৯ রান, গড় ২৮.১৬, স্ট্রাইক রেট ১২০.৭১। সঙ্গে দলীয় ব্যর্থতা, অধিনায়কত্বের ব্যর্থতা তো আছেই। সব মিলিয়ে এ ফরম্যাটেও খারাপ সময় দেখে ফেলেছেন। তাহলে কি এবার বিদায় বলবেন? এমন প্রশ্ন করা হলে হাসিমুখে মাহমুদুল্লাহ জবাব দিয়েছেন, ‘না। এই মুহূর্তে ওরকম কিছু (টি-২০ থেকে অবসর) চিন্তা করছি না।‘
এদিকে বিশ্বকাপের শুরুর দিকে ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্কটিশদের বিপক্ষে হারার পর প্রকাশ্যে বাংলাদেশ দলের সমালোচনা করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সমালোচনা করতে ছাড়েননি ভক্ত-সমর্থকরাও। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা গণমাধ্যম, সব জায়গাতেই বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। যা ফেইসবুক থেকে পৌঁছে গেছে দলে থাকা ক্রিকেটারদের কানেও। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে পেইন কিলারের উদাহরণ দিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ। যা নিয়ে পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে সমালোচনা হয়েছে। মাহমুদুল্লাহর সেই সংবাদ সম্মেলনের রেশ কাটতে না কাটতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন মুশফিক। যেখানে তিনি সমালোচনাকদের আয়নায় মুখ দেখতে বলেছিলেন। বিশ্বকাপ মিশন শেষ করার দিনে নিজের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে মাহমুদুল্লাহ জানান সেটি কেবলই আবেগী হওয়ার কারণে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কথা যেটা বললেন, বিশেষ করে আমি বলছি সম্ভবত আমি আবেগী হয়ে এমন উত্তর দিয়েছি। সমালোচনা সবসময়ই হবে, আমি কখনোই বলিনি যে সমালোচনা হবে না। সমালোচনা হবে এবং এটা আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। কারণ দেশ ও দলের জন্য পারফর্ম করা আমাদের দায়িত্ব। যখন আপনি করবেন না (পারফর্ম) তখন আপনাকে সমালোচিত হতে হবে। সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থাকে। অনেক কিছু অনেক সময় বুঝি আবার হয়তো ইগনোরও করি। ওমানের ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম সেটা আমি আবেগী হয়ে বলেছিলাম। অনেক সময় আমার ভেতর অনেক আবেগ কাজ করে।