একটি নীরব ঘাতকের নাম ‘সিসা’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিসাকে জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এটি পানীয় ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মানবশরীরে প্রবেশ করে। তারপর রক্তের সঙ্গে মিশে যকৃত, কিডনি, হাড়সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত করে।
আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নাল’র গবেষণা থেকে জানা গেছে, সিসা দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাশপাশি শিশুদের আইকিউ কমে যাচ্ছে। ‘গ্লোবাল হেলথ বার্ডেন অ্যান্ড কস্ট অব লেড এক্সপোজার ইন চিলড্রেন অ্যান্ড অ্যাডাল্টস : এ হেলথ ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড ইকোনমিক মডেলিং অ্যানালাইসিস’ শিরোনামের এই গবেষণাটি করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের একদল গবেষক। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিসা দূষণের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। এ দেশের মানুষের মধ্যে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে গড়ে প্রায় ৬ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম সিসা রয়েছে।
ব্যাটারি ভাঙা শিল্প, সিসাযুক্ত পেইন্ট, অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি-পাতিল, সিরামিকের পাত্র, ই-বর্জ্য, খেলনা, সার, মসলা, প্রসাধনী ও চাষ করা মাছের জন্য তৈরি খাবার থেকেই দেশে সিসার দূষণ ঘটে। সিসা যদি মাটির সঙ্গে মেশে- তাহলে শত শত বছর বিদ্যমান থাকবে। আর প্রজন্মের পর প্রজন্ম আক্রান্ত হবে এই সিসা দূষণে।
সীসা দূষণে শুধু পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়- এটি শিক্ষা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং জলবায়ুবিষয়ক দুর্যোগ মোকাবিলাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই সরকারকে সামগ্রিকভাবে জাতীয় পর্যায়ে সিসা দূষণ রোধে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যে যে কৌশল ও লক্ষ্য নেয়া হবে সেগুলো সমন্বয় করে সম্মিলিতভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উৎপাদনশিল্পে নিয়ম এবং সতর্কতা জোরদার করা গেলে সিসা দূষণ অনেকাংশে কমে আসবে। তাই কঠোর নিরাপত্তা বিধির মাধ্যমে সব ধরনের উৎসে সিসা দূষণ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরিকল্পনামাফিক টেকসই উদ্যোগ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
একটি নীরব ঘাতকের নাম ‘সিসা’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিসাকে জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এটি পানীয় ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মানবশরীরে প্রবেশ করে। তারপর রক্তের সঙ্গে মিশে যকৃত, কিডনি, হাড়সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত করে।
আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নাল’র গবেষণা থেকে জানা গেছে, সিসা দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাশপাশি শিশুদের আইকিউ কমে যাচ্ছে। ‘গ্লোবাল হেলথ বার্ডেন অ্যান্ড কস্ট অব লেড এক্সপোজার ইন চিলড্রেন অ্যান্ড অ্যাডাল্টস : এ হেলথ ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড ইকোনমিক মডেলিং অ্যানালাইসিস’ শিরোনামের এই গবেষণাটি করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের একদল গবেষক। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিসা দূষণের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। এ দেশের মানুষের মধ্যে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে গড়ে প্রায় ৬ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম সিসা রয়েছে।
ব্যাটারি ভাঙা শিল্প, সিসাযুক্ত পেইন্ট, অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি-পাতিল, সিরামিকের পাত্র, ই-বর্জ্য, খেলনা, সার, মসলা, প্রসাধনী ও চাষ করা মাছের জন্য তৈরি খাবার থেকেই দেশে সিসার দূষণ ঘটে। সিসা যদি মাটির সঙ্গে মেশে- তাহলে শত শত বছর বিদ্যমান থাকবে। আর প্রজন্মের পর প্রজন্ম আক্রান্ত হবে এই সিসা দূষণে।
সীসা দূষণে শুধু পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়- এটি শিক্ষা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং জলবায়ুবিষয়ক দুর্যোগ মোকাবিলাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই সরকারকে সামগ্রিকভাবে জাতীয় পর্যায়ে সিসা দূষণ রোধে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যে যে কৌশল ও লক্ষ্য নেয়া হবে সেগুলো সমন্বয় করে সম্মিলিতভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উৎপাদনশিল্পে নিয়ম এবং সতর্কতা জোরদার করা গেলে সিসা দূষণ অনেকাংশে কমে আসবে। তাই কঠোর নিরাপত্তা বিধির মাধ্যমে সব ধরনের উৎসে সিসা দূষণ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরিকল্পনামাফিক টেকসই উদ্যোগ নিতে হবে।