সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দুই সিটি করপোরেশনের সড়কে ওয়েস্টবিন স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক ওয়েস্টবিনের অস্তিত্ব নেই। কয়েকটির অস্তিত্ব এখনও থাকলেও সেগুলো তালা মেরে রাখা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অপরিকল্পিতভাবে দুই সিটি করপোরেশন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। যে কারণে ওয়েস্টবিন প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে।
ওয়েস্টবিন প্রকল্প ব্যর্থ হলো। রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হলো। রাজধানীতে একটি সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা আজও গড়ে তুলতে পারল না দুই সিটি করপোরেশন। তাহলে কি ধরে নিতে হবে রাজধানীসহ সারাদেশে একটি সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব নয়?
রাজধানীর বর্জ্যব্যবস্থাপনার চিত্র অত্যন্ত করুণ। টেকসই বর্জ্যব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়া জরুরি। সেটা করা না গেলে রাজধানী অচিরেই চরম দূষণে আক্রান্ত হবে। বর্জ্যব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত টেকনোলজির কার্যকারিতা, ব্যবস্থাপনায় আর্থিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও ব্যবস্থাপনার প্রতি স্তরের পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা- এ তিন উপায়ে টেকসই বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব বলে নগরবিদরা মনে করছেন।
কিছু কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু সেসব উদ্যোগ মাঠে মারা গেছে। এসব প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে অনেক দেশে রাস্তায় কাগজ বা ময়লা ফেললে জরিমানা করা হয়। সেসব দেশের নাগরিকরা আইন মেনে চলেন। জরিমানার মতো শাস্তির ভয়ে তারা রাস্তায় ময়লা ফেলেন না। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সফল বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়তে হলে একটা শক্ত আইন তৈরি করা খুবই জরুরি।
ওয়েস্টবিন প্রকল্প ব্যর্থ হওয়ার পর দুই সিটি করপোরেশন রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন ‘এসটিএস’ নির্মাণ করেছে। কিন্তু ঢাকা উত্তর সিটির ২২টি ও দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ডে বর্জ্যঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
আমরা আশা করব, সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনার জন্য দুই সিটির সব ওয়ার্ডে বর্জ্যঘর নির্মাণ করা হবে। তবে এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে, যত্রতত্র যেন বর্জ্যঘর নির্মাণ করা না হয়। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালের আশপাশে এসব নির্মাণ করা হলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
টেকসই বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়তে সিটি করপোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে ‘বর্জ্যঘর’ স্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা নেয়ার সময় প্রয়োজনে নগর-পরিকল্পনাবিদদের পরামর্শ কাজে লাগাতে হবে।
বুধবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৩
সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দুই সিটি করপোরেশনের সড়কে ওয়েস্টবিন স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক ওয়েস্টবিনের অস্তিত্ব নেই। কয়েকটির অস্তিত্ব এখনও থাকলেও সেগুলো তালা মেরে রাখা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অপরিকল্পিতভাবে দুই সিটি করপোরেশন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। যে কারণে ওয়েস্টবিন প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে।
ওয়েস্টবিন প্রকল্প ব্যর্থ হলো। রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হলো। রাজধানীতে একটি সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা আজও গড়ে তুলতে পারল না দুই সিটি করপোরেশন। তাহলে কি ধরে নিতে হবে রাজধানীসহ সারাদেশে একটি সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব নয়?
রাজধানীর বর্জ্যব্যবস্থাপনার চিত্র অত্যন্ত করুণ। টেকসই বর্জ্যব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়া জরুরি। সেটা করা না গেলে রাজধানী অচিরেই চরম দূষণে আক্রান্ত হবে। বর্জ্যব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত টেকনোলজির কার্যকারিতা, ব্যবস্থাপনায় আর্থিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও ব্যবস্থাপনার প্রতি স্তরের পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা- এ তিন উপায়ে টেকসই বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব বলে নগরবিদরা মনে করছেন।
কিছু কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু সেসব উদ্যোগ মাঠে মারা গেছে। এসব প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে অনেক দেশে রাস্তায় কাগজ বা ময়লা ফেললে জরিমানা করা হয়। সেসব দেশের নাগরিকরা আইন মেনে চলেন। জরিমানার মতো শাস্তির ভয়ে তারা রাস্তায় ময়লা ফেলেন না। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সফল বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়তে হলে একটা শক্ত আইন তৈরি করা খুবই জরুরি।
ওয়েস্টবিন প্রকল্প ব্যর্থ হওয়ার পর দুই সিটি করপোরেশন রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন ‘এসটিএস’ নির্মাণ করেছে। কিন্তু ঢাকা উত্তর সিটির ২২টি ও দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ডে বর্জ্যঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
আমরা আশা করব, সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনার জন্য দুই সিটির সব ওয়ার্ডে বর্জ্যঘর নির্মাণ করা হবে। তবে এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে, যত্রতত্র যেন বর্জ্যঘর নির্মাণ করা না হয়। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালের আশপাশে এসব নির্মাণ করা হলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
টেকসই বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়তে সিটি করপোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে ‘বর্জ্যঘর’ স্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা নেয়ার সময় প্রয়োজনে নগর-পরিকল্পনাবিদদের পরামর্শ কাজে লাগাতে হবে।