alt

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গুর প্রকোপ কেন কমছে না

: শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। বর্ষা গেল। শীত এলো। তবুও এ রোগ থেকে নিস্তার মিলছে না, বরং মৃত্যুর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড গড়ছে। গত বুধবার এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৪ জন। এটি এখন একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। গত ২০ সেপ্টেম্বর একদিনে মারা গিয়েছিল ২১ জন।

আশা করা হয়েছিল, শীতকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে। কিন্তু কমা তো দূরের কথা উত্তরোত্তর এই রোগ বেড়েই চলেছে। এ কারণে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

নভেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে ডেঙ্গুতে ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫২০ জনের। ২০২২ সালে মারা গিয়েছিল ২৮১ জন। কিন্তু এ বছর মৃত্যু অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৫ জন।

দেশে সাধারণত বর্ষা মৌসুম শুরু হলে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন ঘটায়। কিন্তু এখন বর্ষা মৌসুম নয়, তাহলে কেন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগ- সেই প্রশ্ন উঠেছে। শীতকাল শুরু হলেও কোন কোন কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছে না তা সরকারকে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে এর ভয়াবহতা আরও দ্বিগুণ হবে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞমহল।

রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষার বৃষ্টি কমে এলে রোগের প্রকোপ কমে কিন্তু বাসাবাড়ি ও অন্যান্য জায়গায় পরিষ্কার পানি জমে থাকার যে পরিবেশ, সেই পরিবেশ তো আগের মতোই রয়ে গেছে। এ কারণেই চলতি নভেম্বরে ডেঙ্গু সংক্রমণ কমবে বলে আশা করা হলেও উল্টো বাড়ছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে সরকারও নতুন করে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সরকারের কার্যকর ও সমন্বিত কোনো উদ্যোগ না থাকায় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, ডেঙ্গু এখন আর বর্ষা মৌসুমভিত্তিক রোগ নয়। এটি বার মাসের রোগ। তাই ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলার জন্য সরকারকে কর্মপরিকল্পনা পাল্টাতে হবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শগুলো আমলে নিতে হবে।

ডেঙ্গু রোগে প্রতিরোধে সরকার যে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তা শুধু মৌসুমভিত্তিক হলে হবে না। সারা বছরই কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে আগেভাগেই সতর্ক বার্তা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা। শুধু সরকারই যে কাজ করবে সেটা ভাবলে হবে না। পাশাপাশি নাগরিকদেরও এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়। বাড়িতে জমে থাকা পরিষ্কার পানি, ফুলের টব, গাড়ির টায়ার, ডাবের খোল ও প্লাস্টিকে জমে থাকা পানিতে এ মশা ডিম পাড়ে। তাই এডিস মশার লার্ভা জন্ম নিতে পারে এমন স্থানগুলো পরিষ্কার করতে হবে। ঘরে-বাইরে এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে এমন স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গুর প্রকোপ কেন কমছে না

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। বর্ষা গেল। শীত এলো। তবুও এ রোগ থেকে নিস্তার মিলছে না, বরং মৃত্যুর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড গড়ছে। গত বুধবার এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৪ জন। এটি এখন একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। গত ২০ সেপ্টেম্বর একদিনে মারা গিয়েছিল ২১ জন।

আশা করা হয়েছিল, শীতকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে। কিন্তু কমা তো দূরের কথা উত্তরোত্তর এই রোগ বেড়েই চলেছে। এ কারণে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

নভেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে ডেঙ্গুতে ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫২০ জনের। ২০২২ সালে মারা গিয়েছিল ২৮১ জন। কিন্তু এ বছর মৃত্যু অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৫ জন।

দেশে সাধারণত বর্ষা মৌসুম শুরু হলে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন ঘটায়। কিন্তু এখন বর্ষা মৌসুম নয়, তাহলে কেন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগ- সেই প্রশ্ন উঠেছে। শীতকাল শুরু হলেও কোন কোন কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছে না তা সরকারকে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে এর ভয়াবহতা আরও দ্বিগুণ হবে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞমহল।

রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষার বৃষ্টি কমে এলে রোগের প্রকোপ কমে কিন্তু বাসাবাড়ি ও অন্যান্য জায়গায় পরিষ্কার পানি জমে থাকার যে পরিবেশ, সেই পরিবেশ তো আগের মতোই রয়ে গেছে। এ কারণেই চলতি নভেম্বরে ডেঙ্গু সংক্রমণ কমবে বলে আশা করা হলেও উল্টো বাড়ছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে সরকারও নতুন করে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সরকারের কার্যকর ও সমন্বিত কোনো উদ্যোগ না থাকায় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, ডেঙ্গু এখন আর বর্ষা মৌসুমভিত্তিক রোগ নয়। এটি বার মাসের রোগ। তাই ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলার জন্য সরকারকে কর্মপরিকল্পনা পাল্টাতে হবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শগুলো আমলে নিতে হবে।

ডেঙ্গু রোগে প্রতিরোধে সরকার যে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তা শুধু মৌসুমভিত্তিক হলে হবে না। সারা বছরই কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে আগেভাগেই সতর্ক বার্তা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা। শুধু সরকারই যে কাজ করবে সেটা ভাবলে হবে না। পাশাপাশি নাগরিকদেরও এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়। বাড়িতে জমে থাকা পরিষ্কার পানি, ফুলের টব, গাড়ির টায়ার, ডাবের খোল ও প্লাস্টিকে জমে থাকা পানিতে এ মশা ডিম পাড়ে। তাই এডিস মশার লার্ভা জন্ম নিতে পারে এমন স্থানগুলো পরিষ্কার করতে হবে। ঘরে-বাইরে এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে এমন স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top