alt

মতামত » সম্পাদকীয়

মদনে বর্ণি নদীর সেতুর কাজে বিলম্ব কেন

: সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় বর্ণি নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। সেতু নির্মাণের কাজ দেড় বছরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে কাজ ঠিকাদার পাঁচ বছরেও শেষ করতে পারেননি। ফলে এ অঞ্চলের মানুুষদের যাতায়াত-যোগাযোগে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সেতু নির্মাণ নিয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেতুর নির্মাণ কাজে শুরু থেকেই অনিয়ম করছেন ঠিকাদার। সেতুতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। অ্যাপ্রোচে যে ব্লক বসানো হচ্ছে তাও নিম্নমানের ও ভাঙাচোরা। সেতু নির্মাণ চলাকালে যাদের দেখভালের দায়িত্ব ছিল, তারা কখনও আসেন না। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতার সুযোগ নিয়েছেন ঠিকাদার। তার ইচ্ছেমতো যেনতেনভাবে কাজ সারছেন। স্থানীয়রা এসব অভিযোগ তুলেছেন।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, জমি অধিগ্রহণ সমস্যার কারণে সেতু নির্মাণে দেরি হচ্ছে। তবে চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হবে। আর সেতুর কাজে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, নিয়মিতই কাজ তদারকি করা হয় ।

বর্ণি নদীর সেতু নির্মাণের কাজ ঠিকঠাক মতোই তদারকি করা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জোর দাবি করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই কাজের তদারকি যদি ঠিকঠাক মতো করা হতো তাহলে কাজটা পাঁচ বছরেও শেষ হচ্ছে না কেন।

মদন উপজেলায় বর্ণি নদীর সেতু নির্মাণের কাজ নিয়ে যে প্রশ্ন ও অভিযোগ উঠেছে, তা উপেক্ষা করা চলে না। দেড় বছরে কাজ শেষ করে দেয়ার কথা থাকলে ঠিকাদার পাঁচ বছর ধরে নানা টালবাহানা করছেন, এটা হতে পারে না। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেবে এবং অভিযোগগুলোর সুরাহা করবে।

অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চললে সেখানকার মানুষকে নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মদনে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ রয়েছে। সেতু যদি সঠিক সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হতো তাহলে মানুষ যাতায়াত-যোগাযোগের সুফল বহু আগে থেকেই ভোগ করতে পারত। আবার সড়ক বা সেতু নির্মাণে বিলম্ব হলে এর ব্যয়ও বেড়ে যায়। ফলে রাষ্ট্রের অতিরিক্ত অর্থও ব্যয় হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জানা থাকার কথা। এর পরও দেখা যায় দেশের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে এবং এর ব্যয়ও বাড়ছে।

দেড় বছরের কাজ পাঁচ বছর ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সময়টা নেহায়েৎ কম নয়। অনেক বিলম্ব হয়েছে। আমরা চাই আর বিলম্ব না করে যথাসময়ে যেন সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের মানুষ টেকসই বর্ণি নদীর সেতু দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে এটা আমরা দেখতে চাই।

প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

মদনে বর্ণি নদীর সেতুর কাজে বিলম্ব কেন

সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় বর্ণি নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। সেতু নির্মাণের কাজ দেড় বছরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে কাজ ঠিকাদার পাঁচ বছরেও শেষ করতে পারেননি। ফলে এ অঞ্চলের মানুুষদের যাতায়াত-যোগাযোগে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সেতু নির্মাণ নিয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেতুর নির্মাণ কাজে শুরু থেকেই অনিয়ম করছেন ঠিকাদার। সেতুতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। অ্যাপ্রোচে যে ব্লক বসানো হচ্ছে তাও নিম্নমানের ও ভাঙাচোরা। সেতু নির্মাণ চলাকালে যাদের দেখভালের দায়িত্ব ছিল, তারা কখনও আসেন না। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতার সুযোগ নিয়েছেন ঠিকাদার। তার ইচ্ছেমতো যেনতেনভাবে কাজ সারছেন। স্থানীয়রা এসব অভিযোগ তুলেছেন।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, জমি অধিগ্রহণ সমস্যার কারণে সেতু নির্মাণে দেরি হচ্ছে। তবে চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হবে। আর সেতুর কাজে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, নিয়মিতই কাজ তদারকি করা হয় ।

বর্ণি নদীর সেতু নির্মাণের কাজ ঠিকঠাক মতোই তদারকি করা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জোর দাবি করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই কাজের তদারকি যদি ঠিকঠাক মতো করা হতো তাহলে কাজটা পাঁচ বছরেও শেষ হচ্ছে না কেন।

মদন উপজেলায় বর্ণি নদীর সেতু নির্মাণের কাজ নিয়ে যে প্রশ্ন ও অভিযোগ উঠেছে, তা উপেক্ষা করা চলে না। দেড় বছরে কাজ শেষ করে দেয়ার কথা থাকলে ঠিকাদার পাঁচ বছর ধরে নানা টালবাহানা করছেন, এটা হতে পারে না। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেবে এবং অভিযোগগুলোর সুরাহা করবে।

অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চললে সেখানকার মানুষকে নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মদনে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ রয়েছে। সেতু যদি সঠিক সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হতো তাহলে মানুষ যাতায়াত-যোগাযোগের সুফল বহু আগে থেকেই ভোগ করতে পারত। আবার সড়ক বা সেতু নির্মাণে বিলম্ব হলে এর ব্যয়ও বেড়ে যায়। ফলে রাষ্ট্রের অতিরিক্ত অর্থও ব্যয় হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জানা থাকার কথা। এর পরও দেখা যায় দেশের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে এবং এর ব্যয়ও বাড়ছে।

দেড় বছরের কাজ পাঁচ বছর ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সময়টা নেহায়েৎ কম নয়। অনেক বিলম্ব হয়েছে। আমরা চাই আর বিলম্ব না করে যথাসময়ে যেন সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের মানুষ টেকসই বর্ণি নদীর সেতু দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে এটা আমরা দেখতে চাই।

back to top