alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার রক্ত ঝরল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত রোববার রাতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সংঘর্ষে এক রোহিঙ্গা যুবক মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ও সি ব্লক। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি হয়।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো ঘিরে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপ অতীতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আধিপত্য বিস্তারের জন্য রাত হলেই তাদের অপতৎপরতা শুরু হয়। ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গারা সেখানে আতঙ্ক নিয়ে বাস করছে। ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে নিরাপদ বোধ করেন না।

একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীই ক্যাম্পে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। অতীতেও ক্যাম্পগুলোতে হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কেবল ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্যই যে এসব হামলা হচ্ছে তা নয়। সংঘাত-সংঘর্ষের পেছনে কোনো কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সশস্ত্র কোন কোন গোষ্ঠী চায় না, রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরে যাক। অনেকে মনে করেন, রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠালে যাদের স্বার্থে আঘাত লাগবে তারাই ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা ঘটাচ্ছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বাহিনির ভূমিকা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরই ক্যাম্পে নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করার কথা বলে। নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার হলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকতে পারে কী করে আর অপরাধ করে নির্বিঘ্নে সরে পড়ে কিভাবে সেটা জানা দরকার।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের অপতৎপরতার কারণে সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। এসব মানুষের নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে যেন আর কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে। গত রোববার ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে সেখানে যত সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে তারও বিহিত করতে হবে।

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার রক্ত ঝরল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত রোববার রাতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সংঘর্ষে এক রোহিঙ্গা যুবক মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ও সি ব্লক। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি হয়।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো ঘিরে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপ অতীতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আধিপত্য বিস্তারের জন্য রাত হলেই তাদের অপতৎপরতা শুরু হয়। ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গারা সেখানে আতঙ্ক নিয়ে বাস করছে। ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে নিরাপদ বোধ করেন না।

একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীই ক্যাম্পে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। অতীতেও ক্যাম্পগুলোতে হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কেবল ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্যই যে এসব হামলা হচ্ছে তা নয়। সংঘাত-সংঘর্ষের পেছনে কোনো কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সশস্ত্র কোন কোন গোষ্ঠী চায় না, রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরে যাক। অনেকে মনে করেন, রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠালে যাদের স্বার্থে আঘাত লাগবে তারাই ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা ঘটাচ্ছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বাহিনির ভূমিকা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরই ক্যাম্পে নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করার কথা বলে। নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার হলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকতে পারে কী করে আর অপরাধ করে নির্বিঘ্নে সরে পড়ে কিভাবে সেটা জানা দরকার।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের অপতৎপরতার কারণে সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। এসব মানুষের নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে যেন আর কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে। গত রোববার ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে সেখানে যত সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে তারও বিহিত করতে হবে।

back to top