alt

opinion » editorial

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ইটভাটা রয়েছে ১০টি। এগুলোর একটিরও নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ভাটা তৈরিতে মানা হয়নি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন। অবৈধ ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে জমির উপরিভাগের মাটি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব ভাটার মালিক।

কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণের খবরটি উদ্বেগজনক। তবে বিষয়টি যে শুধু দেশের একটি স্থানেই হচ্ছে তা নয়, গোটা দেশেই কৃষিজমি দখল করে ইটভাটা নির্মাণের খবর পাওয়া যায়।

ফসলিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে ইট তৈরি করার ফলে আবাদি জমির পুষ্টি উপাদান কমে কৃষিপণ্যের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অব্যাহতভাবে টপ সয়েল ব্যবহার করা হলে হুমকির মুখে পড়বে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ তে বলা হয়েছে, ইটভাটায় ফসলিজমির উপরের মাটি ব্যবহার করলে তার শাস্তি দুবছর কারাদন্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা। অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করলে শাস্তি ১ বছরের কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অথচ দেশে ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে অনেকেই এসব আইন ও বিধিবিধানের তোয়াক্কা করছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালীরাই আইন লঙ্ঘন করছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটা একটা প্রশ্ন।

ফসলি জমিতে ইটভাটা তৈরি করা হবে সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় অনুমোদনহীন ইটভাটাগুলো কেন এতদিনেও বন্ধ করা হয়নি সেটা জানা দরকার । অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা না গেলে ভূমিক্ষয় বাড়বে, পাশাপাশি আবাদি জমি সংকট দেখা দেবে। আইন লঙ্ঘন করার দুঃসাহস দেখিয়ে অতি উর্বর জমিতে কিভাবে এত ইটভাটা গড়ে উঠল সেটা জানা দরকার। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন যথাযথ ভূমিকা রেখেছে কিনা সেই প্রশ্নই উঠেছে।

আমরা বলতে চাই, কৃষিজমি থেকে ইটভাটাগুলো অনতিবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তোলার জন্য এর মালিকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে কোনরকম ছাড় দেয়া যাবে না।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ইটভাটা রয়েছে ১০টি। এগুলোর একটিরও নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ভাটা তৈরিতে মানা হয়নি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন। অবৈধ ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে জমির উপরিভাগের মাটি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব ভাটার মালিক।

কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণের খবরটি উদ্বেগজনক। তবে বিষয়টি যে শুধু দেশের একটি স্থানেই হচ্ছে তা নয়, গোটা দেশেই কৃষিজমি দখল করে ইটভাটা নির্মাণের খবর পাওয়া যায়।

ফসলিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে ইট তৈরি করার ফলে আবাদি জমির পুষ্টি উপাদান কমে কৃষিপণ্যের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অব্যাহতভাবে টপ সয়েল ব্যবহার করা হলে হুমকির মুখে পড়বে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ তে বলা হয়েছে, ইটভাটায় ফসলিজমির উপরের মাটি ব্যবহার করলে তার শাস্তি দুবছর কারাদন্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা। অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করলে শাস্তি ১ বছরের কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অথচ দেশে ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে অনেকেই এসব আইন ও বিধিবিধানের তোয়াক্কা করছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালীরাই আইন লঙ্ঘন করছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটা একটা প্রশ্ন।

ফসলি জমিতে ইটভাটা তৈরি করা হবে সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় অনুমোদনহীন ইটভাটাগুলো কেন এতদিনেও বন্ধ করা হয়নি সেটা জানা দরকার । অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা না গেলে ভূমিক্ষয় বাড়বে, পাশাপাশি আবাদি জমি সংকট দেখা দেবে। আইন লঙ্ঘন করার দুঃসাহস দেখিয়ে অতি উর্বর জমিতে কিভাবে এত ইটভাটা গড়ে উঠল সেটা জানা দরকার। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন যথাযথ ভূমিকা রেখেছে কিনা সেই প্রশ্নই উঠেছে।

আমরা বলতে চাই, কৃষিজমি থেকে ইটভাটাগুলো অনতিবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তোলার জন্য এর মালিকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে কোনরকম ছাড় দেয়া যাবে না।

back to top