মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথের এবং কিছু ব্যক্তি মালিকানার জায়গা দখল করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি প্রভাবশালী চক্র এটি করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মসজিদের মতো প্রার্থনালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন কেউ অনুভব করতেই পারেন। নিতে পারেন মসজিদ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। তবে সেই মসজিদ নির্মাণের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। এক্ষেত্রে নীতিমালাও রয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০০৬’ অনুযায়ী, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। প্রতিযোগিতামূলকভাবেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা যাবে না। নির্মাণ করতে হলে সেই এলাকার জনসংখ্যা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। গজারিয়ায় মসজিদ নির্মাণে নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে কিনা, সেটা জানা দরকার।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে কেউ চাইলেই যে কোনো স্থানেই খেয়ালখুশি মতো মসজিদ নির্মাণ করা যায় কিনা। মসজিদের নামে সড়ক ও জনপথের ৪৭ শতাংশ জমি দখল করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। জমির মালিকরা কেউ মসজিদের নামে জায়গা লিখে দেননি। তবুও জোর করে তাদের জায়গা দখল করেছে প্রভাবশালী চক্রটি। মসজিদঘেঁষে রয়েছে ৩৫টি পরিবার। যার বেশির ভাগই হিন্দু পরিবার। সামনে মসজিদ থাকলে সেখানকার জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে আসবে না কেউ- এমন পরিকল্পনা থেকেই মসজিদটি নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী চক্র। এসব অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কোনো ব্যক্তির বা রাষ্ট্রের জায়গা দখল করে মসজিদ নির্মাণ করা যায় বলে আমাদের জানা নেই। এটা দেশের কোনো আইন সমর্থন করে না। আর ইসলাম ধর্মও এটা অনুমোদন করে না। কিন্তু মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সওজ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল করে প্রভাবশালী চক্রের মসজিদ নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। যদি সওজের জায়গা দখল করে থাকে এবং এর সঙ্গে অন্য কারও জমি দখল করা হয়ে থাকে, তাহলে তা অবশ্যই উদ্ধার করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলেছে, সড়ক ও জনপথের জায়গা কেউ দখল করতে পারে না। সরেজমিনে ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে আসুক। কেউ যদি এটা করে থাকে তাহলে সেটি দখলমুক্ত করতে যা যা করা দরকার তা-ই করা হবে।
আমরা আশা করব, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ যে কথা বলেছে, সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কালক্ষেপণের কারণে যেন সওজ বা কোনো ব্যক্তির জমি দখল না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথের এবং কিছু ব্যক্তি মালিকানার জায়গা দখল করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি প্রভাবশালী চক্র এটি করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মসজিদের মতো প্রার্থনালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন কেউ অনুভব করতেই পারেন। নিতে পারেন মসজিদ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। তবে সেই মসজিদ নির্মাণের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। এক্ষেত্রে নীতিমালাও রয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০০৬’ অনুযায়ী, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। প্রতিযোগিতামূলকভাবেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা যাবে না। নির্মাণ করতে হলে সেই এলাকার জনসংখ্যা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। গজারিয়ায় মসজিদ নির্মাণে নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে কিনা, সেটা জানা দরকার।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে কেউ চাইলেই যে কোনো স্থানেই খেয়ালখুশি মতো মসজিদ নির্মাণ করা যায় কিনা। মসজিদের নামে সড়ক ও জনপথের ৪৭ শতাংশ জমি দখল করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। জমির মালিকরা কেউ মসজিদের নামে জায়গা লিখে দেননি। তবুও জোর করে তাদের জায়গা দখল করেছে প্রভাবশালী চক্রটি। মসজিদঘেঁষে রয়েছে ৩৫টি পরিবার। যার বেশির ভাগই হিন্দু পরিবার। সামনে মসজিদ থাকলে সেখানকার জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে আসবে না কেউ- এমন পরিকল্পনা থেকেই মসজিদটি নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী চক্র। এসব অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কোনো ব্যক্তির বা রাষ্ট্রের জায়গা দখল করে মসজিদ নির্মাণ করা যায় বলে আমাদের জানা নেই। এটা দেশের কোনো আইন সমর্থন করে না। আর ইসলাম ধর্মও এটা অনুমোদন করে না। কিন্তু মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সওজ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল করে প্রভাবশালী চক্রের মসজিদ নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। যদি সওজের জায়গা দখল করে থাকে এবং এর সঙ্গে অন্য কারও জমি দখল করা হয়ে থাকে, তাহলে তা অবশ্যই উদ্ধার করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলেছে, সড়ক ও জনপথের জায়গা কেউ দখল করতে পারে না। সরেজমিনে ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে আসুক। কেউ যদি এটা করে থাকে তাহলে সেটি দখলমুক্ত করতে যা যা করা দরকার তা-ই করা হবে।
আমরা আশা করব, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ যে কথা বলেছে, সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কালক্ষেপণের কারণে যেন সওজ বা কোনো ব্যক্তির জমি দখল না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।