alt

সম্পাদকীয়

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

: শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথের এবং কিছু ব্যক্তি মালিকানার জায়গা দখল করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি প্রভাবশালী চক্র এটি করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মসজিদের মতো প্রার্থনালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন কেউ অনুভব করতেই পারেন। নিতে পারেন মসজিদ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। তবে সেই মসজিদ নির্মাণের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। এক্ষেত্রে নীতিমালাও রয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০০৬’ অনুযায়ী, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। প্রতিযোগিতামূলকভাবেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা যাবে না। নির্মাণ করতে হলে সেই এলাকার জনসংখ্যা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। গজারিয়ায় মসজিদ নির্মাণে নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে কিনা, সেটা জানা দরকার।

প্রশ্ন হচ্ছে, যে কেউ চাইলেই যে কোনো স্থানেই খেয়ালখুশি মতো মসজিদ নির্মাণ করা যায় কিনা। মসজিদের নামে সড়ক ও জনপথের ৪৭ শতাংশ জমি দখল করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। জমির মালিকরা কেউ মসজিদের নামে জায়গা লিখে দেননি। তবুও জোর করে তাদের জায়গা দখল করেছে প্রভাবশালী চক্রটি। মসজিদঘেঁষে রয়েছে ৩৫টি পরিবার। যার বেশির ভাগই হিন্দু পরিবার। সামনে মসজিদ থাকলে সেখানকার জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে আসবে না কেউ- এমন পরিকল্পনা থেকেই মসজিদটি নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী চক্র। এসব অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

কোনো ব্যক্তির বা রাষ্ট্রের জায়গা দখল করে মসজিদ নির্মাণ করা যায় বলে আমাদের জানা নেই। এটা দেশের কোনো আইন সমর্থন করে না। আর ইসলাম ধর্মও এটা অনুমোদন করে না। কিন্তু মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সওজ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল করে প্রভাবশালী চক্রের মসজিদ নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। যদি সওজের জায়গা দখল করে থাকে এবং এর সঙ্গে অন্য কারও জমি দখল করা হয়ে থাকে, তাহলে তা অবশ্যই উদ্ধার করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলেছে, সড়ক ও জনপথের জায়গা কেউ দখল করতে পারে না। সরেজমিনে ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে আসুক। কেউ যদি এটা করে থাকে তাহলে সেটি দখলমুক্ত করতে যা যা করা দরকার তা-ই করা হবে।

আমরা আশা করব, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ যে কথা বলেছে, সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কালক্ষেপণের কারণে যেন সওজ বা কোনো ব্যক্তির জমি দখল না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথের এবং কিছু ব্যক্তি মালিকানার জায়গা দখল করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি প্রভাবশালী চক্র এটি করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মসজিদের মতো প্রার্থনালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন কেউ অনুভব করতেই পারেন। নিতে পারেন মসজিদ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। তবে সেই মসজিদ নির্মাণের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। এক্ষেত্রে নীতিমালাও রয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০০৬’ অনুযায়ী, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। প্রতিযোগিতামূলকভাবেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা যাবে না। নির্মাণ করতে হলে সেই এলাকার জনসংখ্যা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। গজারিয়ায় মসজিদ নির্মাণে নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে কিনা, সেটা জানা দরকার।

প্রশ্ন হচ্ছে, যে কেউ চাইলেই যে কোনো স্থানেই খেয়ালখুশি মতো মসজিদ নির্মাণ করা যায় কিনা। মসজিদের নামে সড়ক ও জনপথের ৪৭ শতাংশ জমি দখল করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। জমির মালিকরা কেউ মসজিদের নামে জায়গা লিখে দেননি। তবুও জোর করে তাদের জায়গা দখল করেছে প্রভাবশালী চক্রটি। মসজিদঘেঁষে রয়েছে ৩৫টি পরিবার। যার বেশির ভাগই হিন্দু পরিবার। সামনে মসজিদ থাকলে সেখানকার জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে আসবে না কেউ- এমন পরিকল্পনা থেকেই মসজিদটি নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী চক্র। এসব অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

কোনো ব্যক্তির বা রাষ্ট্রের জায়গা দখল করে মসজিদ নির্মাণ করা যায় বলে আমাদের জানা নেই। এটা দেশের কোনো আইন সমর্থন করে না। আর ইসলাম ধর্মও এটা অনুমোদন করে না। কিন্তু মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সওজ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল করে প্রভাবশালী চক্রের মসজিদ নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। যদি সওজের জায়গা দখল করে থাকে এবং এর সঙ্গে অন্য কারও জমি দখল করা হয়ে থাকে, তাহলে তা অবশ্যই উদ্ধার করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলেছে, সড়ক ও জনপথের জায়গা কেউ দখল করতে পারে না। সরেজমিনে ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে আসুক। কেউ যদি এটা করে থাকে তাহলে সেটি দখলমুক্ত করতে যা যা করা দরকার তা-ই করা হবে।

আমরা আশা করব, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ যে কথা বলেছে, সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কালক্ষেপণের কারণে যেন সওজ বা কোনো ব্যক্তির জমি দখল না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top