alt

মতামত » সম্পাদকীয়

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

: শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর। অগ্নিকান্ডে ১১১ জন মারা গিয়েছিলেন। সেদিন আগুন লাগার পরপরই কারখানাটির তৃতীয় তলার গেটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল। যে কারণে কর্মরত শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হতে পারেননি।

তাজরীনের মামলায় চলছে ধীরগতিতে। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে আদালতে সাক্ষী হাজির করার ব্যর্থতাকে। রাষ্ট্রপক্ষে ১০৪ জন সাক্ষী। আট বছরে সাক্ষ্য দিয়েছে মাত্র ১১ জন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, রাষ্ট্রপক্ষ গত দেড় বছরে কোন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে পারেনি। মামলার ১৩ আসামির মধ্যে জামিন পেয়েছেন কোম্পানির মালিকসহ ৯ জন।

অগ্নিকান্ডের ১১ বছর পরও শেষ হয়নি বিচার। সংশ্লিষ্ট মামলার মূল আসামি কারখানাটির এমডি জামিনে আছেন। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় যারা মারা গেছেন বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের স্বজনরা বিচার পাননি আজও। নিহত শ্রমিকের স্বজনরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিয়েও রয়েছে অনেক অভিযোগ।

দেশের পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন সময় দেশের আরও অনেক পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছে। অগ্নিকান্ড ছাড়াও দেশের অনেক কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের কথা বলা যায়। সেই ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ১৩৫ জন, আহত হয়েছিলেন ২ হাজার ৫০০ জন। সেই ঘটনায় হত্যা, ইমারত আইন এবং ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছিল তিনটি। সেসব মামলার কী অবস্থা সেটা একটা প্রশ্ন।

অভিযোগ রয়েছে, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহত অনেকেরই পুনর্বাসন করা হয়নি। আহত ব্যক্তিদের চাকরি দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। নিহত শ্রমিকদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।

তাজরীন ফ্যাশনসে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগিতা করা দরকার। সেই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা। পাশাপাশি পোশাক কারখানাগুলোর সংস্কার প্রক্রিয়াও অব্যাহত রাখতে হবে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে সংস্কার কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, পোশাক কারখানার সংস্কার কাজ কোন পর্যায়ে থমকে যাক সেটা কাম্য নয়। অসতর্কতা থেকে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দেশে আর কখনো রানা প্লাজা বা তাজরীন ট্র্যাজেডির মতো ঘটনা ঘটুক সেটা আমরা চাই না। এজন্য কারখানা সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর। অগ্নিকান্ডে ১১১ জন মারা গিয়েছিলেন। সেদিন আগুন লাগার পরপরই কারখানাটির তৃতীয় তলার গেটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল। যে কারণে কর্মরত শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হতে পারেননি।

তাজরীনের মামলায় চলছে ধীরগতিতে। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে আদালতে সাক্ষী হাজির করার ব্যর্থতাকে। রাষ্ট্রপক্ষে ১০৪ জন সাক্ষী। আট বছরে সাক্ষ্য দিয়েছে মাত্র ১১ জন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, রাষ্ট্রপক্ষ গত দেড় বছরে কোন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে পারেনি। মামলার ১৩ আসামির মধ্যে জামিন পেয়েছেন কোম্পানির মালিকসহ ৯ জন।

অগ্নিকান্ডের ১১ বছর পরও শেষ হয়নি বিচার। সংশ্লিষ্ট মামলার মূল আসামি কারখানাটির এমডি জামিনে আছেন। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় যারা মারা গেছেন বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের স্বজনরা বিচার পাননি আজও। নিহত শ্রমিকের স্বজনরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিয়েও রয়েছে অনেক অভিযোগ।

দেশের পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন সময় দেশের আরও অনেক পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছে। অগ্নিকান্ড ছাড়াও দেশের অনেক কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের কথা বলা যায়। সেই ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ১৩৫ জন, আহত হয়েছিলেন ২ হাজার ৫০০ জন। সেই ঘটনায় হত্যা, ইমারত আইন এবং ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছিল তিনটি। সেসব মামলার কী অবস্থা সেটা একটা প্রশ্ন।

অভিযোগ রয়েছে, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহত অনেকেরই পুনর্বাসন করা হয়নি। আহত ব্যক্তিদের চাকরি দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। নিহত শ্রমিকদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।

তাজরীন ফ্যাশনসে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগিতা করা দরকার। সেই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা। পাশাপাশি পোশাক কারখানাগুলোর সংস্কার প্রক্রিয়াও অব্যাহত রাখতে হবে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে সংস্কার কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, পোশাক কারখানার সংস্কার কাজ কোন পর্যায়ে থমকে যাক সেটা কাম্য নয়। অসতর্কতা থেকে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দেশে আর কখনো রানা প্লাজা বা তাজরীন ট্র্যাজেডির মতো ঘটনা ঘটুক সেটা আমরা চাই না। এজন্য কারখানা সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।

back to top