alt

সম্পাদকীয়

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

: রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

সড়ক দুর্ঘটনায় আহতরা যাতে দ্রুত চিকিৎসা পান সেই লক্ষ্যে পদ্মা সেতু ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে ট্রমা সেন্টার। উদ্বোধন করা হয়েছে এক বছর আগে কিন্তু এখনও সেটি চালু হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতার কারণেই এটি চালু হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।

মাদারীপুরের শিবচরের সন্ন্যাসীরচরের মহাসড়কের পাশে নির্মিত ‘ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ট্রমা সেন্টার’ উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর। এ প্রকল্পে ব্যয় হয় ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। উদ্বোধনের পরের দিন থেকে এটি বন্ধ। প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ যদি চিকিৎসাই না পায় তাহলে সরকারের এত টাকা ব্যয় করার মানে কী।

সেখানে নিয়োগ দেয়া হয়নি এখনো। ট্রমা সেন্টারের জন্য সাতজন পরামর্শক চিকিৎসক, তিনজন অর্থোপেডিকস সার্জন, দুজন অ্যানেসথেটিস্ট এবং দুজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ মোট ১৪ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স এবং ফার্মাসিস্ট, রেডিওগ্রাফার, টেকনিশিয়ানসহ ৩৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কেন লোকবল নিয়োগ দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে- সেটা একটা প্রশ্ন।

মহাসড়কের পাশে ট্রমা হাসপাতাল নির্মাণ করার উদ্দেশ্য ছিল দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত আহতদের চিকিৎসা দেয়া, যাতে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়। চলতি বছরের ১৯ মার্চ শিবচরে মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় মারা যান ১৯ জন। আহত হন ২৫ জন। সেদিন আহত রোগীদের জীবন বাঁচাতে দূরের হাসপাতালগুলোতে ছুটতে হয়েছে; কিন্তু দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই এত বড় ট্রমা সেন্টার কোনো কাজেই লাগেনি। সেটি চালু থাকলে আহতদের নিয়ে এত কষ্ট পোহাতে হতো না। আহতরা দ্রুত চিকিৎসা পেত।

আমরা বলতে চাই, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে সরকার পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেস হাইওয়েকে ঘিরে যে হাসপাতাল নির্মাণ করেছে, সেটি দ্রুত চালু করতে হবে। না হলে সরকার যে উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করেছে সেটা অধরাই থেকে যাবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

সড়ক দুর্ঘটনায় আহতরা যাতে দ্রুত চিকিৎসা পান সেই লক্ষ্যে পদ্মা সেতু ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে ট্রমা সেন্টার। উদ্বোধন করা হয়েছে এক বছর আগে কিন্তু এখনও সেটি চালু হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতার কারণেই এটি চালু হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।

মাদারীপুরের শিবচরের সন্ন্যাসীরচরের মহাসড়কের পাশে নির্মিত ‘ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ট্রমা সেন্টার’ উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর। এ প্রকল্পে ব্যয় হয় ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। উদ্বোধনের পরের দিন থেকে এটি বন্ধ। প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ যদি চিকিৎসাই না পায় তাহলে সরকারের এত টাকা ব্যয় করার মানে কী।

সেখানে নিয়োগ দেয়া হয়নি এখনো। ট্রমা সেন্টারের জন্য সাতজন পরামর্শক চিকিৎসক, তিনজন অর্থোপেডিকস সার্জন, দুজন অ্যানেসথেটিস্ট এবং দুজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ মোট ১৪ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স এবং ফার্মাসিস্ট, রেডিওগ্রাফার, টেকনিশিয়ানসহ ৩৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কেন লোকবল নিয়োগ দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে- সেটা একটা প্রশ্ন।

মহাসড়কের পাশে ট্রমা হাসপাতাল নির্মাণ করার উদ্দেশ্য ছিল দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত আহতদের চিকিৎসা দেয়া, যাতে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়। চলতি বছরের ১৯ মার্চ শিবচরে মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় মারা যান ১৯ জন। আহত হন ২৫ জন। সেদিন আহত রোগীদের জীবন বাঁচাতে দূরের হাসপাতালগুলোতে ছুটতে হয়েছে; কিন্তু দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই এত বড় ট্রমা সেন্টার কোনো কাজেই লাগেনি। সেটি চালু থাকলে আহতদের নিয়ে এত কষ্ট পোহাতে হতো না। আহতরা দ্রুত চিকিৎসা পেত।

আমরা বলতে চাই, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে সরকার পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেস হাইওয়েকে ঘিরে যে হাসপাতাল নির্মাণ করেছে, সেটি দ্রুত চালু করতে হবে। না হলে সরকার যে উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করেছে সেটা অধরাই থেকে যাবে।

back to top