সড়ক দুর্ঘটনায় আহতরা যাতে দ্রুত চিকিৎসা পান সেই লক্ষ্যে পদ্মা সেতু ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে ট্রমা সেন্টার। উদ্বোধন করা হয়েছে এক বছর আগে কিন্তু এখনও সেটি চালু হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতার কারণেই এটি চালু হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
মাদারীপুরের শিবচরের সন্ন্যাসীরচরের মহাসড়কের পাশে নির্মিত ‘ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ট্রমা সেন্টার’ উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর। এ প্রকল্পে ব্যয় হয় ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। উদ্বোধনের পরের দিন থেকে এটি বন্ধ। প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ যদি চিকিৎসাই না পায় তাহলে সরকারের এত টাকা ব্যয় করার মানে কী।
সেখানে নিয়োগ দেয়া হয়নি এখনো। ট্রমা সেন্টারের জন্য সাতজন পরামর্শক চিকিৎসক, তিনজন অর্থোপেডিকস সার্জন, দুজন অ্যানেসথেটিস্ট এবং দুজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ মোট ১৪ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স এবং ফার্মাসিস্ট, রেডিওগ্রাফার, টেকনিশিয়ানসহ ৩৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কেন লোকবল নিয়োগ দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে- সেটা একটা প্রশ্ন।
মহাসড়কের পাশে ট্রমা হাসপাতাল নির্মাণ করার উদ্দেশ্য ছিল দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত আহতদের চিকিৎসা দেয়া, যাতে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়। চলতি বছরের ১৯ মার্চ শিবচরে মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় মারা যান ১৯ জন। আহত হন ২৫ জন। সেদিন আহত রোগীদের জীবন বাঁচাতে দূরের হাসপাতালগুলোতে ছুটতে হয়েছে; কিন্তু দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই এত বড় ট্রমা সেন্টার কোনো কাজেই লাগেনি। সেটি চালু থাকলে আহতদের নিয়ে এত কষ্ট পোহাতে হতো না। আহতরা দ্রুত চিকিৎসা পেত।
আমরা বলতে চাই, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে সরকার পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেস হাইওয়েকে ঘিরে যে হাসপাতাল নির্মাণ করেছে, সেটি দ্রুত চালু করতে হবে। না হলে সরকার যে উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করেছে সেটা অধরাই থেকে যাবে।
রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩
সড়ক দুর্ঘটনায় আহতরা যাতে দ্রুত চিকিৎসা পান সেই লক্ষ্যে পদ্মা সেতু ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে ট্রমা সেন্টার। উদ্বোধন করা হয়েছে এক বছর আগে কিন্তু এখনও সেটি চালু হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতার কারণেই এটি চালু হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
মাদারীপুরের শিবচরের সন্ন্যাসীরচরের মহাসড়কের পাশে নির্মিত ‘ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ট্রমা সেন্টার’ উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর। এ প্রকল্পে ব্যয় হয় ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। উদ্বোধনের পরের দিন থেকে এটি বন্ধ। প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ যদি চিকিৎসাই না পায় তাহলে সরকারের এত টাকা ব্যয় করার মানে কী।
সেখানে নিয়োগ দেয়া হয়নি এখনো। ট্রমা সেন্টারের জন্য সাতজন পরামর্শক চিকিৎসক, তিনজন অর্থোপেডিকস সার্জন, দুজন অ্যানেসথেটিস্ট এবং দুজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ মোট ১৪ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স এবং ফার্মাসিস্ট, রেডিওগ্রাফার, টেকনিশিয়ানসহ ৩৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কেন লোকবল নিয়োগ দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে- সেটা একটা প্রশ্ন।
মহাসড়কের পাশে ট্রমা হাসপাতাল নির্মাণ করার উদ্দেশ্য ছিল দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত আহতদের চিকিৎসা দেয়া, যাতে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়। চলতি বছরের ১৯ মার্চ শিবচরে মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় মারা যান ১৯ জন। আহত হন ২৫ জন। সেদিন আহত রোগীদের জীবন বাঁচাতে দূরের হাসপাতালগুলোতে ছুটতে হয়েছে; কিন্তু দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই এত বড় ট্রমা সেন্টার কোনো কাজেই লাগেনি। সেটি চালু থাকলে আহতদের নিয়ে এত কষ্ট পোহাতে হতো না। আহতরা দ্রুত চিকিৎসা পেত।
আমরা বলতে চাই, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে সরকার পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেস হাইওয়েকে ঘিরে যে হাসপাতাল নির্মাণ করেছে, সেটি দ্রুত চালু করতে হবে। না হলে সরকার যে উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করেছে সেটা অধরাই থেকে যাবে।