alt

সম্পাদকীয়

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

: সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৭৫ দশমিক ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী। আমরা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাই। যারা পরীক্ষায় কোন কারণে কৃতকার্য হতে পারেনি তারা হাল ছাড়বে না, লড়াইটা চালিয়ে যাবে- সেই প্রত্যাশা করি।

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল অর্জন করতে পারেনি। হতাশা থেকে অনেকেই হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয়। কেউবা বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। কাক্সিক্ষত ফল অর্জন করতে না পারা শিক্ষার্থীদের এখন পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন প্রয়োজন। তাদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে আরো ভালো করার প্রেরণা জোগাতে হবে।

পাসের হারের বিবেচনায় গতবারের তুলনায় এবারের ফলকে ভালো বলা যায় না। এ বছর শিক্ষার্থী পাস করেছে আগের তিন বছরের তুলনায় বেশ কম। পাসের হার গতবারের চেয়ে কমেছে ৮ শতাংশ। ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়ার হার কমেছে গতবারের চেয়ে অর্ধেকের বেশি। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বেশ কয়েক বছর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষভাবে শ্রেণী কার্যাক্রমে অংশ নিতে পারেনি দীর্ঘ একটা সময়জুড়ে। অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যকক্রম চললেও অনেক শিক্ষার্থীই তাতে নিয়মিত অংশ নিতে পারেনি। ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। অটোপাস দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে।

২০২১ সালে পরীক্ষা হয়েছিল বিভাগভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে। সেবার পাস করেছিল প্রায় ৯৬ শতাংশ। গত বছর পরীক্ষা হয়েছিল অর্ধেক নম্বরের ভিত্তিতে। তখন পাস করেছিল ৮৪ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে এ বছর একটি বিষয় ছাড়া বাকি সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে পূর্ণ নম্বরে। পরীক্ষার ফলে এর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আমরা বলতে চাই, লেখাপড়ায় সংখ্যাগত উন্নতির চেয়ে গুণগত উন্নতি নিশ্চিত করা জরুরি। পাস বা জিপিএর হার কত সেটার চেয়ে জরুরি হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা কতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে, তার যথার্থ মূল্যায়ন হয়েছে কিনা।

এবারও পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। মেয়েদের পাসের হার ছেলেদের তুলনায় ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ৩৬৫ জন; আর ছেলেদের মধ্যে ৪৩ হাজার ২৩০ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।

উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের এই অর্জন আমাদের আশাবাদী করে। তারা ধারাবাহিকভাবে পাবলিক পরীক্ষায় ভালো করছে। যথাযথ সুযোগ পেলে, কাক্সিক্ষত পরিবেশ পেলে মেয়েরাও যেসব ক্ষেত্রে ভালো ফল অর্জন করতে পারে সেটার প্রমাণ তারা বারবারই দিচ্ছে। এই অর্জনে তাদের জানাই অভিনন্দন।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৭৫ দশমিক ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী। আমরা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাই। যারা পরীক্ষায় কোন কারণে কৃতকার্য হতে পারেনি তারা হাল ছাড়বে না, লড়াইটা চালিয়ে যাবে- সেই প্রত্যাশা করি।

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল অর্জন করতে পারেনি। হতাশা থেকে অনেকেই হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয়। কেউবা বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। কাক্সিক্ষত ফল অর্জন করতে না পারা শিক্ষার্থীদের এখন পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন প্রয়োজন। তাদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে আরো ভালো করার প্রেরণা জোগাতে হবে।

পাসের হারের বিবেচনায় গতবারের তুলনায় এবারের ফলকে ভালো বলা যায় না। এ বছর শিক্ষার্থী পাস করেছে আগের তিন বছরের তুলনায় বেশ কম। পাসের হার গতবারের চেয়ে কমেছে ৮ শতাংশ। ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়ার হার কমেছে গতবারের চেয়ে অর্ধেকের বেশি। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বেশ কয়েক বছর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষভাবে শ্রেণী কার্যাক্রমে অংশ নিতে পারেনি দীর্ঘ একটা সময়জুড়ে। অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যকক্রম চললেও অনেক শিক্ষার্থীই তাতে নিয়মিত অংশ নিতে পারেনি। ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। অটোপাস দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে।

২০২১ সালে পরীক্ষা হয়েছিল বিভাগভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে। সেবার পাস করেছিল প্রায় ৯৬ শতাংশ। গত বছর পরীক্ষা হয়েছিল অর্ধেক নম্বরের ভিত্তিতে। তখন পাস করেছিল ৮৪ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে এ বছর একটি বিষয় ছাড়া বাকি সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে পূর্ণ নম্বরে। পরীক্ষার ফলে এর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আমরা বলতে চাই, লেখাপড়ায় সংখ্যাগত উন্নতির চেয়ে গুণগত উন্নতি নিশ্চিত করা জরুরি। পাস বা জিপিএর হার কত সেটার চেয়ে জরুরি হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা কতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে, তার যথার্থ মূল্যায়ন হয়েছে কিনা।

এবারও পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। মেয়েদের পাসের হার ছেলেদের তুলনায় ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ৩৬৫ জন; আর ছেলেদের মধ্যে ৪৩ হাজার ২৩০ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।

উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের এই অর্জন আমাদের আশাবাদী করে। তারা ধারাবাহিকভাবে পাবলিক পরীক্ষায় ভালো করছে। যথাযথ সুযোগ পেলে, কাক্সিক্ষত পরিবেশ পেলে মেয়েরাও যেসব ক্ষেত্রে ভালো ফল অর্জন করতে পারে সেটার প্রমাণ তারা বারবারই দিচ্ছে। এই অর্জনে তাদের জানাই অভিনন্দন।

back to top