alt

সম্পাদকীয়

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

দেশের খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ময়মনসিংহে বনভূমি রয়েছে। বিস্তীর্ণ এসব বনাঞ্চল দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম আধার। তাই বাংলাদেশকে বলা হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি; কিন্তু এসব প্রাকৃতিক বনভূমি বেদখল করে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। তাই দিন দিন উজাড় হয়ে যাচ্ছে দেশের বনভূমিগুলো।

বন দখলের এমন চিত্র দেখা গেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ার সূর্যনারায়ণপুর বিটে। সেখানে শত শত বিঘা বনভূমি দখল করে প্রভাবশালীরা বড় মার্কেট ও বসবাসের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। কেউ আবার ফল ও ফসল আবাদ করছেন। বন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো হয়; কিন্তু তারা এসব বিষয় কানেই তোলেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বনভূমি দখলের ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ১৭ বছরে দেশে ৬৬ বর্গকিলোমিটার গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনাঞ্চল ধ্বংস করা হয়েছে। সারাদেশে প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৩ একর বনভূমি। অবৈধ দখলদারের সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতিটি রাষ্ট্রে মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকতে হবে; কিন্তু বাংলাদেশে বনভূমি উজাড় হতে হতে এখন ১৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

বন দপ্তরের সারাদেশের চিত্রটি দেখলেই বোঝা যায় দেশের বনভূমি রক্ষায় কর্তৃপক্ষ কতটা উদাসীন। এত বিপুল পরিমাণ বনভূমি তো আর রাতারাতি বেদখল হয়ে যায়নি; বছরের পর বছর ধরে এ বেআইনি ও পরিবেশ ধ্বংসাত্মক অপকর্ম চলে এসেছে। যেমন কাপাসিয়ার কথাই ধরা যায়। সেখানে বনের জায়গা দখল করে রীতিমতো সুউচ্চ ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। কথা হচ্ছে, এখানে কর্তৃপক্ষ যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করত, তাহলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ এভাবে জবরদখল হয়ে যেত না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রভাবশালীরা যেভাবে বনভূমি দখল করে নিচ্ছেন তার মানে এই নয় যে, শুধু রাষ্ট্র তার জমি হারাচ্ছে। একে একে বনভূমিগুলো উজাড় হয়ে যাওয়ার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অক্সিজেন কমে যাচ্ছে। এতে প্রাণিকুল ও জীববৈচিত্র্যের টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠছে। আবহাওয়াজনিত পরিবেশেও তারতম্য ঘটছে। সরকার এক সময় বলেছিল, একচুল বনের জমিও বেদখলে রাখতে দেবে না। যারা যারা বনের জমি দখল করেছে তাদের নামের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করবে; কিন্তু সেটা আর আলোর মুখ দেখেনি।

কাপাসিয়াসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা এসব বনভূমির সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। তারা যত প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোন না কেন- মানুষ ও টেকসই উন্নয়নের স্বার্থেই আমাদের বন ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

দেশের খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ময়মনসিংহে বনভূমি রয়েছে। বিস্তীর্ণ এসব বনাঞ্চল দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম আধার। তাই বাংলাদেশকে বলা হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি; কিন্তু এসব প্রাকৃতিক বনভূমি বেদখল করে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। তাই দিন দিন উজাড় হয়ে যাচ্ছে দেশের বনভূমিগুলো।

বন দখলের এমন চিত্র দেখা গেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ার সূর্যনারায়ণপুর বিটে। সেখানে শত শত বিঘা বনভূমি দখল করে প্রভাবশালীরা বড় মার্কেট ও বসবাসের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। কেউ আবার ফল ও ফসল আবাদ করছেন। বন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো হয়; কিন্তু তারা এসব বিষয় কানেই তোলেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বনভূমি দখলের ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ১৭ বছরে দেশে ৬৬ বর্গকিলোমিটার গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনাঞ্চল ধ্বংস করা হয়েছে। সারাদেশে প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৩ একর বনভূমি। অবৈধ দখলদারের সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতিটি রাষ্ট্রে মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকতে হবে; কিন্তু বাংলাদেশে বনভূমি উজাড় হতে হতে এখন ১৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

বন দপ্তরের সারাদেশের চিত্রটি দেখলেই বোঝা যায় দেশের বনভূমি রক্ষায় কর্তৃপক্ষ কতটা উদাসীন। এত বিপুল পরিমাণ বনভূমি তো আর রাতারাতি বেদখল হয়ে যায়নি; বছরের পর বছর ধরে এ বেআইনি ও পরিবেশ ধ্বংসাত্মক অপকর্ম চলে এসেছে। যেমন কাপাসিয়ার কথাই ধরা যায়। সেখানে বনের জায়গা দখল করে রীতিমতো সুউচ্চ ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। কথা হচ্ছে, এখানে কর্তৃপক্ষ যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করত, তাহলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ এভাবে জবরদখল হয়ে যেত না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রভাবশালীরা যেভাবে বনভূমি দখল করে নিচ্ছেন তার মানে এই নয় যে, শুধু রাষ্ট্র তার জমি হারাচ্ছে। একে একে বনভূমিগুলো উজাড় হয়ে যাওয়ার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অক্সিজেন কমে যাচ্ছে। এতে প্রাণিকুল ও জীববৈচিত্র্যের টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠছে। আবহাওয়াজনিত পরিবেশেও তারতম্য ঘটছে। সরকার এক সময় বলেছিল, একচুল বনের জমিও বেদখলে রাখতে দেবে না। যারা যারা বনের জমি দখল করেছে তাদের নামের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করবে; কিন্তু সেটা আর আলোর মুখ দেখেনি।

কাপাসিয়াসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা এসব বনভূমির সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। তারা যত প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোন না কেন- মানুষ ও টেকসই উন্নয়নের স্বার্থেই আমাদের বন ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে।

back to top