alt

সম্পাদকীয়

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

: মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ছাড় করতে ছয় লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। শিক্ষক ও কর্মচারীরা ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় বেতন বিলে সই করছেন না তিনি। গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৪ মাস বেতন বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মচারীরা অভিযোগও জানিয়েছেন। কিন্তু তারাও কোনো সুরাহা করতে পারেননি।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাই স্কুলটি এমপিওভুক্ত। আর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন তুলতে হলে বিলে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সই লাগে। এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিটিংয়ে ২৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর কাছে দাবিকৃত ছয় লাখ টাকা ঘুষ না পেয়ে তাদের বেতন বিলে সই করছেন না। স্কুলের সভাপতি সই করেছেন কিন্তু তিনি ঘুষের ছয় লাখ টাকা পাওয়ার জন্য এখনও গোঁ ধরে আছেন। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে সই না করার ঘটনা জেলা, উপজেলা শিক্ষা দপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও জানেন বলে স্বীকার করেছেন। তারা বেতন বিলে সই করার জন্য নির্দেশ দিলেও প্রধান শিক্ষক তাতে কর্ণপাত করেননি। কোনো অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে প্রধান শিক্ষক এমন আচরণ করছেন না তো, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার বলে আমরা মনে করি।

গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে এর সত্যতা যাচাই করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। একজনের কারণে বাদ-বাকিরা মানবেতর জীবন কাটাবেন, এটা হতে পারে না।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাটসহ সারা দেশে এত দুর্নীতি হয় সেগুলো চোখে দেখেন না, শুধু আমারটাই দেখলেন।’

এটা সত্য যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর দেশের অন্যান্য জায়গাতেও পাওয়া যায়। বছর দুই আগে লালমনিরহাটের আদিতমারীতে আট লাখ টাকা ঘুষ না পেয়ে সহকারী শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। তখন তার এই দুর্র্নীতির বিরুদ্ধে গণপিটিশন দিয়েছিলেন অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষদের নামে নানা সময়ে যেসব দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, তা স্থায়ীভাবে বন্ধ কেন হচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর উত্তর খুঁজবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী

tab

সম্পাদকীয়

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ছাড় করতে ছয় লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। শিক্ষক ও কর্মচারীরা ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় বেতন বিলে সই করছেন না তিনি। গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৪ মাস বেতন বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মচারীরা অভিযোগও জানিয়েছেন। কিন্তু তারাও কোনো সুরাহা করতে পারেননি।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাই স্কুলটি এমপিওভুক্ত। আর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন তুলতে হলে বিলে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সই লাগে। এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিটিংয়ে ২৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর কাছে দাবিকৃত ছয় লাখ টাকা ঘুষ না পেয়ে তাদের বেতন বিলে সই করছেন না। স্কুলের সভাপতি সই করেছেন কিন্তু তিনি ঘুষের ছয় লাখ টাকা পাওয়ার জন্য এখনও গোঁ ধরে আছেন। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে সই না করার ঘটনা জেলা, উপজেলা শিক্ষা দপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও জানেন বলে স্বীকার করেছেন। তারা বেতন বিলে সই করার জন্য নির্দেশ দিলেও প্রধান শিক্ষক তাতে কর্ণপাত করেননি। কোনো অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে প্রধান শিক্ষক এমন আচরণ করছেন না তো, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার বলে আমরা মনে করি।

গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে এর সত্যতা যাচাই করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। একজনের কারণে বাদ-বাকিরা মানবেতর জীবন কাটাবেন, এটা হতে পারে না।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাটসহ সারা দেশে এত দুর্নীতি হয় সেগুলো চোখে দেখেন না, শুধু আমারটাই দেখলেন।’

এটা সত্য যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর দেশের অন্যান্য জায়গাতেও পাওয়া যায়। বছর দুই আগে লালমনিরহাটের আদিতমারীতে আট লাখ টাকা ঘুষ না পেয়ে সহকারী শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। তখন তার এই দুর্র্নীতির বিরুদ্ধে গণপিটিশন দিয়েছিলেন অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষদের নামে নানা সময়ে যেসব দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, তা স্থায়ীভাবে বন্ধ কেন হচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর উত্তর খুঁজবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

back to top