alt

সম্পাদকীয়

দেওয়ানগঞ্জে যমুনার বালু তোলা বন্ধ হোক

: শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

যমুনা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। বালু তুলতে তারা নদীতীরে একতলা-দোতলা ভবনও নির্মাণ করেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ১৫ বছর ধরে এ অপকর্ম করে আসছে তারা। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে যমুনা পারের মানুষেরা।

যমুনার ভাঙনে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। মানুষের বসতভিটা, ফসলি জমি ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবুও রাত-দিন বিভিন্ন পয়েন্টে বাল্কহেড ও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলছে চক্রটি। রাতে-দিনে বালুভর্তি ট্রাক চলাচল করছে স্থানীয় সড়কগুলোতে। ফলে সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বালু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে তোয়াক্কাও করে না। তারা বলছে অর্থ দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করা হয়েছে। প্রশাসন কখনই এখানে আসবে না।

প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার অভিযোগ নতুন নয়। দেশে নদ-নদী ও জলাধার থেকে অবৈধভাবে যাতে কেউ বালু তুলে বাণিজ্য না করতে পারে সেজন্য আইনও রয়েছে। অবৈধভাবে বালু তোলার শাস্তি দুই বছর পর্যন্ত জেল এবং অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা। আইনে পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা নিষিদ্ধ।

আইন শুধু কাগজে-কলমে থাকলেই হবে না। বালুখেকোদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যদি এসব আইন প্রয়োগ না করে কোনোকিছুর বিনিময়ে ম্যানেজ হয়ে যায়, তাহলে তো বালু তোলা বন্ধ হবে না। কিছু অসাধু লোকের লোভের কারণে যমুনা নদী হুমকির মুখে পড়বে কেন- সেই প্রশ্ন উঠেছে।

শুধু দেওয়ানগঞ্জের যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে তা নয়। পদ্মা ও মেঘনাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদী ও হাওর, খাল, বিল থেকেও দিন-রাত বালু তুলে বিক্রি করছে প্রভাবশালী চক্র। ফলে নদীভাঙন বাড়ছে। মানুষ তার সহায়-সম্বল হারাচ্ছে। নদীর গতিপথ বদলে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে মাছ ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যেকোনো মূল্যে বালু তোলা বন্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেওয়ানগঞ্জের যমুনা নদী থেকে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে রাত-দিন যে বালু তুলে বিক্রি করছে সেটা আমলে নিতে হবে। বালুখেকোরা টাকা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে। এ কাজে কেউ যদি সহায়তা করে থাকে তাহলে সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ সরষের ভেতর ভূত থাকলে শুধু বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বালু তোলা বন্ধ করা যাবে না। সবার আগে সরষের ভূত তাড়াতে হবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

দেওয়ানগঞ্জে যমুনার বালু তোলা বন্ধ হোক

শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

যমুনা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। বালু তুলতে তারা নদীতীরে একতলা-দোতলা ভবনও নির্মাণ করেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ১৫ বছর ধরে এ অপকর্ম করে আসছে তারা। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে যমুনা পারের মানুষেরা।

যমুনার ভাঙনে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। মানুষের বসতভিটা, ফসলি জমি ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবুও রাত-দিন বিভিন্ন পয়েন্টে বাল্কহেড ও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলছে চক্রটি। রাতে-দিনে বালুভর্তি ট্রাক চলাচল করছে স্থানীয় সড়কগুলোতে। ফলে সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বালু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে তোয়াক্কাও করে না। তারা বলছে অর্থ দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করা হয়েছে। প্রশাসন কখনই এখানে আসবে না।

প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার অভিযোগ নতুন নয়। দেশে নদ-নদী ও জলাধার থেকে অবৈধভাবে যাতে কেউ বালু তুলে বাণিজ্য না করতে পারে সেজন্য আইনও রয়েছে। অবৈধভাবে বালু তোলার শাস্তি দুই বছর পর্যন্ত জেল এবং অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা। আইনে পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা নিষিদ্ধ।

আইন শুধু কাগজে-কলমে থাকলেই হবে না। বালুখেকোদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যদি এসব আইন প্রয়োগ না করে কোনোকিছুর বিনিময়ে ম্যানেজ হয়ে যায়, তাহলে তো বালু তোলা বন্ধ হবে না। কিছু অসাধু লোকের লোভের কারণে যমুনা নদী হুমকির মুখে পড়বে কেন- সেই প্রশ্ন উঠেছে।

শুধু দেওয়ানগঞ্জের যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে তা নয়। পদ্মা ও মেঘনাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদী ও হাওর, খাল, বিল থেকেও দিন-রাত বালু তুলে বিক্রি করছে প্রভাবশালী চক্র। ফলে নদীভাঙন বাড়ছে। মানুষ তার সহায়-সম্বল হারাচ্ছে। নদীর গতিপথ বদলে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে মাছ ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যেকোনো মূল্যে বালু তোলা বন্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেওয়ানগঞ্জের যমুনা নদী থেকে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে রাত-দিন যে বালু তুলে বিক্রি করছে সেটা আমলে নিতে হবে। বালুখেকোরা টাকা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে। এ কাজে কেউ যদি সহায়তা করে থাকে তাহলে সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ সরষের ভেতর ভূত থাকলে শুধু বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বালু তোলা বন্ধ করা যাবে না। সবার আগে সরষের ভূত তাড়াতে হবে।

back to top