alt

opinion » editorial

পূর্বধলায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

: বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনার পূর্বধলায় স্টেশনবাজার থেকে পূর্বধলাবাজার পর্যন্ত ১২৮৫ মিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ব্যয় হয় প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা; কিন্তু নির্মাণের পাঁচ মাসের মাথায় সড়কটি ধসে ও দেবে গেছে। সড়কে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ।

অভিযোগ উঠেছে, সড়ক নির্মাণে ঠিকমতো তদারকি করা হয়নি। সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। তবে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ভারি যানবাহন চলাচল করার কারণে ও রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় সড়কের পিচ উঠে গেছে।

সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়ই। দেশের কোথাও সড়ক নির্মাণের পর উদ্বোধন হতে না হতেই ভেঙে গেছে, না হয় ধসে গেছে। আবার কোথাও নির্মাণের অল্প কদিনেই সড়কে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। মানুষ ও যানবাহন চলাচল করার মতো উপায় আর থাকে না।

প্রশ্ন হচ্ছে সড়ক কেন টেকসই হয় না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিটুমিন ব্যবহারের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করা হয় না। ৮০ থেকে ১০০ গ্রেডের বিটুমিন পাতলা। এই বিটুমিন দিয়ে পিচঢালাইয়ের কাজ করা হলে গ্রীষ্মকালের তাপে রাস্তা গলে যাবে। আবার বর্ষাকালের ভারি বৃষ্টিতে পিচ ধুয়ে যাবে। তাই আমাদের দেশে আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সড়কে পিচঢালাইয়ের কাজ করা উচিত। টেকসই সড়ক নির্মাণে ৬০ থেকে ৭০ গ্রেডের বিটুমিনই বেশি উপযোগী। এটি ব্যবহার করা হলে সড়ক টেকসই হবে- এমন মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সড়কের পিচঢালাইয়ের কাজে বেশি গাঢ় বিটুমিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু সেটা অনেকেই অনুসরণ করে না। এজন্য টেকসই সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে তদারকি করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

পূর্বধলার সড়ক নির্মাণে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্ত করে দেখতে হবে যে সেখানে আসলেও অনিয়ম হয়েছে কিনা এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে বিষয়টিও আমলে নিতে হবে। কোন সড়কে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারবে তার একটা নিয়ম আছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, গ্রামীণ সড়কে ৮ দশমিক ২ টন ওজনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে; কিন্তু পণ্য বহনের ট্রাকগুলো ২৫ থেকে ৩০ টন পর্যন্ত ওভার লোড করা হয়। সীমাতিরিক্ত পণ্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করলে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হবে সড়ক। কিন্তু এসব নিয়ম কেউ মানে না। সড়কে যানবাহন চলাচলে যদি এসব নিয়ম মানা না হয় তাহলে সড়ক টেকসই হবে না।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

পূর্বধলায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনার পূর্বধলায় স্টেশনবাজার থেকে পূর্বধলাবাজার পর্যন্ত ১২৮৫ মিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ব্যয় হয় প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা; কিন্তু নির্মাণের পাঁচ মাসের মাথায় সড়কটি ধসে ও দেবে গেছে। সড়কে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ।

অভিযোগ উঠেছে, সড়ক নির্মাণে ঠিকমতো তদারকি করা হয়নি। সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। তবে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ভারি যানবাহন চলাচল করার কারণে ও রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় সড়কের পিচ উঠে গেছে।

সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়ই। দেশের কোথাও সড়ক নির্মাণের পর উদ্বোধন হতে না হতেই ভেঙে গেছে, না হয় ধসে গেছে। আবার কোথাও নির্মাণের অল্প কদিনেই সড়কে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। মানুষ ও যানবাহন চলাচল করার মতো উপায় আর থাকে না।

প্রশ্ন হচ্ছে সড়ক কেন টেকসই হয় না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিটুমিন ব্যবহারের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করা হয় না। ৮০ থেকে ১০০ গ্রেডের বিটুমিন পাতলা। এই বিটুমিন দিয়ে পিচঢালাইয়ের কাজ করা হলে গ্রীষ্মকালের তাপে রাস্তা গলে যাবে। আবার বর্ষাকালের ভারি বৃষ্টিতে পিচ ধুয়ে যাবে। তাই আমাদের দেশে আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সড়কে পিচঢালাইয়ের কাজ করা উচিত। টেকসই সড়ক নির্মাণে ৬০ থেকে ৭০ গ্রেডের বিটুমিনই বেশি উপযোগী। এটি ব্যবহার করা হলে সড়ক টেকসই হবে- এমন মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সড়কের পিচঢালাইয়ের কাজে বেশি গাঢ় বিটুমিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু সেটা অনেকেই অনুসরণ করে না। এজন্য টেকসই সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে তদারকি করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

পূর্বধলার সড়ক নির্মাণে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্ত করে দেখতে হবে যে সেখানে আসলেও অনিয়ম হয়েছে কিনা এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে বিষয়টিও আমলে নিতে হবে। কোন সড়কে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারবে তার একটা নিয়ম আছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, গ্রামীণ সড়কে ৮ দশমিক ২ টন ওজনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে; কিন্তু পণ্য বহনের ট্রাকগুলো ২৫ থেকে ৩০ টন পর্যন্ত ওভার লোড করা হয়। সীমাতিরিক্ত পণ্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করলে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হবে সড়ক। কিন্তু এসব নিয়ম কেউ মানে না। সড়কে যানবাহন চলাচলে যদি এসব নিয়ম মানা না হয় তাহলে সড়ক টেকসই হবে না।

back to top