alt

মতামত » সম্পাদকীয়

লোকালয়ে বন্যহাতি

: শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বন্যহাতির একটি দল লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। হাতির আক্রমণে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যপন্ত হাতির দলটিকে বনে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে উৎসুক মানুষের ভিড়ের কারণে হাতির দলকে বনে ফেরানোর কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রায়ই বন্যহাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। হাতির আক্রমণে অতীতে মানুষ মারাও গেছে। আবার মানুষের আক্রমণে হাতিও মারা গেছে। সাধারণত খাবারের খোজে বন্যহাতির দল লোকালয়ে আসে। অনেক সময় হাতির পদচারণায় ফসলের খেত নষ্ট হয়। কৃষকরা ফসল রক্ষা করতে চাইবে সেটাই স্বাভাবিক; কিন্তু বন্যহাতির কবল থেকে ফসল রক্ষা করতে তারা যে পথ বেছে নেয় সেটা হিতে বিপরীত হয়। দেখা যায় যে, ফসল রক্ষার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা হাতি তাড়াতে লাঠি ও মশাল নিয়ে মাঠে নামে। এই অবস্থায় হাতি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, কখনো বা ক্ষুব্ধ হয়। তখন হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্যহাতি খাদ্য সংকটে লোকালয়ে আসে। খাদ্যসংস্থান হলে তারা আপনাতেই বনে ফিরে যায়। বন্যপ্রাণী তখনই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে যখন আতঙ্কিত মানুষ তাদের স্বাভাবিক চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি করে। একেকটি হাতির দলের সঙ্গে সাধারণত তাদের বাচ্চা থাকে। মানুষ যখন হাতি তাড়ানোর বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে তখন তারা ধারণা করে বাচ্চাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে ফলে হিংস্র হয়ে ওঠে।

বনে হাতির নিরাপদ আবাস, খাদ্য ও পানির সংকট তীব্র। নেহায়েত ক্ষুধার তাড়নায় বন থেকে হাতি লোকালয়ে এসে হাজির হয়। বন যদি রক্ষা পেত, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার মিলত, তাহলে হাতি লোকালয়ে আসত না। দেশের বনগুলো রক্ষা করা জরুরি।

কখনো যদি হাতি লোকালয়ে চলে আসে তাহলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জন করাও জরুরি। মানুষ বা ফসল রক্ষা, বন্যপ্রাণী তাড়ানোর আধুনিক কৌশল বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি। তাড়ানোর সময় হাতির দল যাতে আটকা না পড়ে সেই বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে হবে।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

লোকালয়ে বন্যহাতি

শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বন্যহাতির একটি দল লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। হাতির আক্রমণে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যপন্ত হাতির দলটিকে বনে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে উৎসুক মানুষের ভিড়ের কারণে হাতির দলকে বনে ফেরানোর কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রায়ই বন্যহাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। হাতির আক্রমণে অতীতে মানুষ মারাও গেছে। আবার মানুষের আক্রমণে হাতিও মারা গেছে। সাধারণত খাবারের খোজে বন্যহাতির দল লোকালয়ে আসে। অনেক সময় হাতির পদচারণায় ফসলের খেত নষ্ট হয়। কৃষকরা ফসল রক্ষা করতে চাইবে সেটাই স্বাভাবিক; কিন্তু বন্যহাতির কবল থেকে ফসল রক্ষা করতে তারা যে পথ বেছে নেয় সেটা হিতে বিপরীত হয়। দেখা যায় যে, ফসল রক্ষার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা হাতি তাড়াতে লাঠি ও মশাল নিয়ে মাঠে নামে। এই অবস্থায় হাতি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, কখনো বা ক্ষুব্ধ হয়। তখন হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্যহাতি খাদ্য সংকটে লোকালয়ে আসে। খাদ্যসংস্থান হলে তারা আপনাতেই বনে ফিরে যায়। বন্যপ্রাণী তখনই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে যখন আতঙ্কিত মানুষ তাদের স্বাভাবিক চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি করে। একেকটি হাতির দলের সঙ্গে সাধারণত তাদের বাচ্চা থাকে। মানুষ যখন হাতি তাড়ানোর বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে তখন তারা ধারণা করে বাচ্চাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে ফলে হিংস্র হয়ে ওঠে।

বনে হাতির নিরাপদ আবাস, খাদ্য ও পানির সংকট তীব্র। নেহায়েত ক্ষুধার তাড়নায় বন থেকে হাতি লোকালয়ে এসে হাজির হয়। বন যদি রক্ষা পেত, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার মিলত, তাহলে হাতি লোকালয়ে আসত না। দেশের বনগুলো রক্ষা করা জরুরি।

কখনো যদি হাতি লোকালয়ে চলে আসে তাহলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জন করাও জরুরি। মানুষ বা ফসল রক্ষা, বন্যপ্রাণী তাড়ানোর আধুনিক কৌশল বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি। তাড়ানোর সময় হাতির দল যাতে আটকা না পড়ে সেই বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে হবে।

back to top