গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার দেলুয়াবাড়ী চরে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল সহজে ও সুলভে চরের দরিদ্র মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া। কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলে ছোটখাটো সমস্যায় তাদের কষ্ট করে আর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে না। কিন্তু তাদের এই স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে। এ নিয়ে আজ শনিবার সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সরকার হতদরিদ্র মানুষদের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে। এসব ক্লিনিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার কথা রয়েছে। মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজননস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা দেয়া হয়।
দেলুয়াবাড়ী চরের ক্লিনিকটি নির্মাণ করা হয়েছিল ২০১৬ সালে। পরের বছর একজন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তিনি চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলে পদটি শূন্য হয়ে যায়। এরপর থেকে ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ। যে কারণে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চরের ১০ থেকে ১২ হাজার দরিদ্র মানুষ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানালেও কোনো সমাধান মেলেনি বলে ।
দুর্গম চরে দরিদ্র মানুষদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকটি জরুরিভাবে চালু করা দরকার। শুধু একটি ভবন নির্মাণ করে ফেলে রাখলেই মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয়ে যায় না। সেখানে প্রয়োজনীয় লোকবলও নিয়োগ দেয়া জরুরি। ওষুধ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে হবে। চরের দরিদ্র মানুষ সহজে প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে- এটাই আমরা দেখতে চাই।
তবে শুধু গাইবন্ধার দেলুয়াবাড়ীর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হয়েছে তা নয়- দেশের অনেক স্থানের কমিউনিটি ক্লিনিকই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। সংস্কারের অভাবে ভবন জরাজীর্ণ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও লোকবল নেই, ওষুধ সংকট, বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যা ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য চলছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা। এই দুষ্টুচক্র থেকে দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে রক্ষা করতে হবে।
শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার দেলুয়াবাড়ী চরে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল সহজে ও সুলভে চরের দরিদ্র মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া। কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলে ছোটখাটো সমস্যায় তাদের কষ্ট করে আর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে না। কিন্তু তাদের এই স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে। এ নিয়ে আজ শনিবার সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সরকার হতদরিদ্র মানুষদের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে। এসব ক্লিনিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার কথা রয়েছে। মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজননস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা দেয়া হয়।
দেলুয়াবাড়ী চরের ক্লিনিকটি নির্মাণ করা হয়েছিল ২০১৬ সালে। পরের বছর একজন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তিনি চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলে পদটি শূন্য হয়ে যায়। এরপর থেকে ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ। যে কারণে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চরের ১০ থেকে ১২ হাজার দরিদ্র মানুষ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানালেও কোনো সমাধান মেলেনি বলে ।
দুর্গম চরে দরিদ্র মানুষদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকটি জরুরিভাবে চালু করা দরকার। শুধু একটি ভবন নির্মাণ করে ফেলে রাখলেই মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয়ে যায় না। সেখানে প্রয়োজনীয় লোকবলও নিয়োগ দেয়া জরুরি। ওষুধ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে হবে। চরের দরিদ্র মানুষ সহজে প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে- এটাই আমরা দেখতে চাই।
তবে শুধু গাইবন্ধার দেলুয়াবাড়ীর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হয়েছে তা নয়- দেশের অনেক স্থানের কমিউনিটি ক্লিনিকই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। সংস্কারের অভাবে ভবন জরাজীর্ণ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও লোকবল নেই, ওষুধ সংকট, বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যা ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য চলছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা। এই দুষ্টুচক্র থেকে দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে রক্ষা করতে হবে।