alt

মতামত » সম্পাদকীয়

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু হোক

: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ তৈরির জন্য গত বছর ডিসেম্বরে ৮২০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে জিও ব্যাগ ভর্তি বালুর বস্তা ও ব্লক ফেলার কথা রয়েছে। শুষ্ক মৌসুম চলে যাচ্ছে। কাজটি বর্ষার আগেই শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন ও প্রাক্কলন প্রস্তুতি এখনো সম্পন্ন হয়নি বলে জানা গেছে।

বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার, নতুনবাজার রেলওয়ে বড়স্টেশন মোলহেড, পাইলট হাউস, যমুনা রোড, লঞ্চঘাটের টিলাবাড়ী, হরিসভা ও পশ্চিম শ্রীরামদী পয়েন্টগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। তখন এসব এলাকা হয়ে ওঠে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভাঙনে মানুষের বাড়িঘর, ফসলিজমি, জনপথ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

নদীর তীররক্ষা বাঁধের প্রয়োজন রয়েছে। বন্যা ও অতিবৃষ্টির পানি যখন নদী উপচে পড়ে তখন কৃষকের ফসল-বাড়িঘর তলিয়ে যায়। মানুষের জানমালের ক্ষতি হয়। তাই শহরবাসীর জানমালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ‘শহর রক্ষা বাঁধ’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়ে থাকে। এতে কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল ও বসতভিটা রক্ষা পায়।

শহর রক্ষা বাঁধটির ৩ হাজার ৩৬০ মিটার এলাকার কাজ শেষ হলে এলাকাগুলোর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, বর্তমানে কাজটির নকশা প্রণয়ন ও প্রাক্কলন প্রস্তুত চলছে। দরপত্র ডেকে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। তারপর ডিপিপি অনুযায়ী চলতি বছরের মে মাসে কাজ শুরু করা হবে এবং ২০২৭ সালে শেষ করা হবে।

শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে, এটা ভালো কথা। এখন কাজটি যেন দ্রুত শুরু করা হয় সেটাই আমাদের চাওয়া। এটি নিয়ে যেন অহেতুক ফাইল চালাচালি না করা হয়, সেটি কর্তৃপক্ষকে মাথায় নিতে হবে। কাজ দেরিতে শুরু হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সময়ক্ষেপণ হয়। এতে মানুষের দুর্ভোগও বেড়ে যায়। কোনো প্রকল্পের কাজ যদি সময়মতো শেষ না করা হয়, তাহলে সুফল ভোগ থেকে পিছিয়ে পড়ে জনগণ। তাই কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে।

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু হোক

মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ তৈরির জন্য গত বছর ডিসেম্বরে ৮২০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে জিও ব্যাগ ভর্তি বালুর বস্তা ও ব্লক ফেলার কথা রয়েছে। শুষ্ক মৌসুম চলে যাচ্ছে। কাজটি বর্ষার আগেই শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন ও প্রাক্কলন প্রস্তুতি এখনো সম্পন্ন হয়নি বলে জানা গেছে।

বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার, নতুনবাজার রেলওয়ে বড়স্টেশন মোলহেড, পাইলট হাউস, যমুনা রোড, লঞ্চঘাটের টিলাবাড়ী, হরিসভা ও পশ্চিম শ্রীরামদী পয়েন্টগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। তখন এসব এলাকা হয়ে ওঠে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভাঙনে মানুষের বাড়িঘর, ফসলিজমি, জনপথ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

নদীর তীররক্ষা বাঁধের প্রয়োজন রয়েছে। বন্যা ও অতিবৃষ্টির পানি যখন নদী উপচে পড়ে তখন কৃষকের ফসল-বাড়িঘর তলিয়ে যায়। মানুষের জানমালের ক্ষতি হয়। তাই শহরবাসীর জানমালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ‘শহর রক্ষা বাঁধ’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়ে থাকে। এতে কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল ও বসতভিটা রক্ষা পায়।

শহর রক্ষা বাঁধটির ৩ হাজার ৩৬০ মিটার এলাকার কাজ শেষ হলে এলাকাগুলোর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, বর্তমানে কাজটির নকশা প্রণয়ন ও প্রাক্কলন প্রস্তুত চলছে। দরপত্র ডেকে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। তারপর ডিপিপি অনুযায়ী চলতি বছরের মে মাসে কাজ শুরু করা হবে এবং ২০২৭ সালে শেষ করা হবে।

শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে, এটা ভালো কথা। এখন কাজটি যেন দ্রুত শুরু করা হয় সেটাই আমাদের চাওয়া। এটি নিয়ে যেন অহেতুক ফাইল চালাচালি না করা হয়, সেটি কর্তৃপক্ষকে মাথায় নিতে হবে। কাজ দেরিতে শুরু হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সময়ক্ষেপণ হয়। এতে মানুষের দুর্ভোগও বেড়ে যায়। কোনো প্রকল্পের কাজ যদি সময়মতো শেষ না করা হয়, তাহলে সুফল ভোগ থেকে পিছিয়ে পড়ে জনগণ। তাই কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে।

back to top