alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ভোলাডুবা হাওরের বৃষ্টির পানি খাল দিয়ে নিষ্কাশন হয়ে ধুন নদীতে পড়ত। এ কারণে ভোলাডুবা হাওর জলাবদ্ধমুক্ত থাকত প্রতি বছর। কৃষকের ফসলেরও কোনো ক্ষতি হতো না। কিন্তু কয়েক বছর আগে হাওরের জমা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হওয়া সেই খালের মুখসহ ৩ কিলোমিটার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। ফলে প্রতি বছর জলাবদ্ধতায় কৃষকের বোরো ধান নষ্ট হচ্ছে।

এবারও জলাবদ্ধতায় কৃষকদের দেড় হাজার একর জমির কাঁচা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বোরো খেতের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে কৃষকরা মানববন্ধনও করেছেন। কিন্তু তাতেও প্রশাসনের কোনো সাড়া মেলেনি।

খালের জায়গার পরিমাণ সামান্যও নয়, তিন কিলোমিটার! সরকারি খালের এতটা জায়গা প্রশাসনের নাকের ডগায় ভূমিদস্যুরা দখল করে ফেলল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। তদন্ত কমিটি গঠন করে, তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কথা হচ্ছে, এত দেরিতে কেন টনক নড়ল। বছরের পর বছর যখন কৃষকরা ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে, খাল দখলমুক্ত করার দাবিতে পথে নেমে মানববন্ধন করেছে, তখন কেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি?

সরকারি নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় দখল করা আইনত দ-নীয় অপরাধ। কেউ যদি আইন না মানে তাহলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করারও বিধান রয়েছে। কিন্তু আইন প্রয়োগে শৈথল্যতার কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে যাচ্ছে। যেমনটি ঘটেছে করিমগঞ্জের ভোলাডুবা হাওরের খাল দখলের ক্ষেত্রে। সরকারি তিন কিলোমিটার খাল ভূমিখেকোরা দখল করে নিয়েছে তবুও প্রশাসন থেকেছে কুম্ভকর্ণের ঘুমে। আইনের সঠিক প্রয়োগ থাকলে এ সাহস তারা পেত না।

কৃষকদের দেড় হাজার একর বোরো খেত পানির নিচে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও ফসল হারানোর ভয়ে তারা দিশাহারা। তাই কৃষকদের কথা ভেবে দখল হয়ে যাওয়া খালের জমি উদ্ধার করতে হবে, খালের মুখ খনন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে প্রশাসন। কিন্তু সেই তদন্ত দ্রুত করতে হবে। তদন্ত করতে করতে কৃষকের ধান যেন নষ্ট না হয়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে কর্তৃপক্ষকে। খাল দখলদাররা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত গড়তে হবে, এটা আমরা চাই।

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ভোলাডুবা হাওরের বৃষ্টির পানি খাল দিয়ে নিষ্কাশন হয়ে ধুন নদীতে পড়ত। এ কারণে ভোলাডুবা হাওর জলাবদ্ধমুক্ত থাকত প্রতি বছর। কৃষকের ফসলেরও কোনো ক্ষতি হতো না। কিন্তু কয়েক বছর আগে হাওরের জমা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হওয়া সেই খালের মুখসহ ৩ কিলোমিটার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। ফলে প্রতি বছর জলাবদ্ধতায় কৃষকের বোরো ধান নষ্ট হচ্ছে।

এবারও জলাবদ্ধতায় কৃষকদের দেড় হাজার একর জমির কাঁচা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বোরো খেতের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে কৃষকরা মানববন্ধনও করেছেন। কিন্তু তাতেও প্রশাসনের কোনো সাড়া মেলেনি।

খালের জায়গার পরিমাণ সামান্যও নয়, তিন কিলোমিটার! সরকারি খালের এতটা জায়গা প্রশাসনের নাকের ডগায় ভূমিদস্যুরা দখল করে ফেলল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। তদন্ত কমিটি গঠন করে, তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কথা হচ্ছে, এত দেরিতে কেন টনক নড়ল। বছরের পর বছর যখন কৃষকরা ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে, খাল দখলমুক্ত করার দাবিতে পথে নেমে মানববন্ধন করেছে, তখন কেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি?

সরকারি নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় দখল করা আইনত দ-নীয় অপরাধ। কেউ যদি আইন না মানে তাহলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করারও বিধান রয়েছে। কিন্তু আইন প্রয়োগে শৈথল্যতার কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে যাচ্ছে। যেমনটি ঘটেছে করিমগঞ্জের ভোলাডুবা হাওরের খাল দখলের ক্ষেত্রে। সরকারি তিন কিলোমিটার খাল ভূমিখেকোরা দখল করে নিয়েছে তবুও প্রশাসন থেকেছে কুম্ভকর্ণের ঘুমে। আইনের সঠিক প্রয়োগ থাকলে এ সাহস তারা পেত না।

কৃষকদের দেড় হাজার একর বোরো খেত পানির নিচে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও ফসল হারানোর ভয়ে তারা দিশাহারা। তাই কৃষকদের কথা ভেবে দখল হয়ে যাওয়া খালের জমি উদ্ধার করতে হবে, খালের মুখ খনন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে প্রশাসন। কিন্তু সেই তদন্ত দ্রুত করতে হবে। তদন্ত করতে করতে কৃষকের ধান যেন নষ্ট না হয়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে কর্তৃপক্ষকে। খাল দখলদাররা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত গড়তে হবে, এটা আমরা চাই।

back to top