alt

সম্পাদকীয়

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

: বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ক্রমবর্ধমান এক হুমকিতে পরিণত হচ্ছে। প্রায়ই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় এমন দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়। সর্বশেষ ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি খাবারের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় জীবনহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এটা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি জীবন অমূল্য। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবারই দায়িত্ব রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার ও এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। অধিকাংশ ব্যবহারকারী গ্যাস সিলিন্ডার নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখেন না। সিলিন্ডার রাখা হয় অরক্ষিত অবস্থায়। সিলিন্ডারের মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থা, লিকেজ, কিংবা রক্ষণাবেক্ষণজনিত ত্রুটিগুলো প্রায়ই অবহেলিত থাকে। অনেক সময়, পুরনো ও নিম্নমানের সিলিন্ডার এবং নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার করায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।

উৎপাদন ও বিপণন থেকে শুরু করে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অসতর্কতা ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ প্রায়ই ঘটে থাকে। বিশেষ করে বিক্রেতারা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির আগে প্রয়োজনীয় সতর্কতা মেনে চলেন না, যা সাধারণ মানুষের জীবনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। সরকারিভাবে তদারকি বা নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম নিয় অনেক অভাব-অভিযোগ রয়েছে।

আমরা মনে করি, গ্যাস সিলিন্ডারের মান নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। সিলিন্ডার উৎপাদন, পরিবহন এবং বিক্রয়ের প্রতিটি স্তরে সঠিক তদারকি নিশ্চিত করা জরুরি। সিলিন্ডার ব্যবহারের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা থাকতে হবে এবং সেই নির্দেশিকা মেনে চলা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

গ্যাস সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জাতীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। বাজারে বিক্রেতা ও সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়াও জরুরি। বিশেষ করে খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত।

পুরনো বা মানহীন সিলিন্ডার যেন বাজারে বিক্রি না হয় সেটা নিশ্চিত করা দরকার। দায়িত্বহীন বিক্রেতা ও সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

পাহাড়ে সংঘাত : আস্থার সংকট দূর করতে হবে

সড়কটি আর কবে পাকা হবে

গণপিটুনি : এই নির্মমতার শেষ কোথায়

tab

সম্পাদকীয়

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ক্রমবর্ধমান এক হুমকিতে পরিণত হচ্ছে। প্রায়ই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় এমন দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়। সর্বশেষ ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি খাবারের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় জীবনহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এটা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি জীবন অমূল্য। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবারই দায়িত্ব রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার ও এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। অধিকাংশ ব্যবহারকারী গ্যাস সিলিন্ডার নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখেন না। সিলিন্ডার রাখা হয় অরক্ষিত অবস্থায়। সিলিন্ডারের মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থা, লিকেজ, কিংবা রক্ষণাবেক্ষণজনিত ত্রুটিগুলো প্রায়ই অবহেলিত থাকে। অনেক সময়, পুরনো ও নিম্নমানের সিলিন্ডার এবং নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার করায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।

উৎপাদন ও বিপণন থেকে শুরু করে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অসতর্কতা ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ প্রায়ই ঘটে থাকে। বিশেষ করে বিক্রেতারা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির আগে প্রয়োজনীয় সতর্কতা মেনে চলেন না, যা সাধারণ মানুষের জীবনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। সরকারিভাবে তদারকি বা নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম নিয় অনেক অভাব-অভিযোগ রয়েছে।

আমরা মনে করি, গ্যাস সিলিন্ডারের মান নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। সিলিন্ডার উৎপাদন, পরিবহন এবং বিক্রয়ের প্রতিটি স্তরে সঠিক তদারকি নিশ্চিত করা জরুরি। সিলিন্ডার ব্যবহারের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা থাকতে হবে এবং সেই নির্দেশিকা মেনে চলা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

গ্যাস সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জাতীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। বাজারে বিক্রেতা ও সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়াও জরুরি। বিশেষ করে খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত।

পুরনো বা মানহীন সিলিন্ডার যেন বাজারে বিক্রি না হয় সেটা নিশ্চিত করা দরকার। দায়িত্বহীন বিক্রেতা ও সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top