alt

সম্পাদকীয়

মেলা আয়োজনে বাধা কেন

: সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

মাদারীপুরের কালকিনির ২২০ বছরের পুরনো কু-ুবাড়ির কালীপূজা মেলা নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি জনমনে এক গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। সেখানে দীপাবলি ও কালীপূজা উপলক্ষে নিয়মিত মেলা হয়। তথাকথিত কিছু আলেম ও ছাত্র প্রতিনিধিদের এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেলা বাতিল করা হয়েছিল। এ নিয়ে সমালোচনা হলে প্রাথমিকভাবে দুই দিনের মেলার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

দেশে সব ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির মানুষের নিজ নিজ উৎসব-অনুষ্ঠান করার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার কেউ হরণ করতে পারে না। কেউ যদি এ ধরনের অধিকার হরণ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ক-ুবাড়ির মেলা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী নির্বিষেশে বহু মানুষকে একত্রিত করে। তাদের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব। পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, একদল আলেম ও ছাত্র প্রতিনিধিদের অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঐতিহ্যবাহী মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। যারা মেলা বন্ধ করল তারা কারা, তারা কাদের প্রতিনিধিত্ব করে সেটা জানা জরুরি। সংখ্যালঘুদের আয়োজিত অনুষ্ঠান বলে সংখ্যাগরিষ্ঠদের কেউ গায়ের জোরে সেটা বন্ধ করে দিতে পারে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।

দেশে একদিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার কথা বলা হচ্ছে, আরেকদিকে ঐতিহ্যবাহী মেলা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এই প্রবণতা এখনই থামাতে হবে। নইলে এর পরিণতি কারও জন্য ভালো হবে না। সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়তে হলে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকে তার ধর্ম পালনের স্বাধীনতার পাশাপাশি উৎসব-অনুষ্ঠান করার অবারিত সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো শর্ত আরোপ করা চলবে না। মেলা ৭ দিন নাকি দুদিনব্যাপী হবে সেটা বাইরে থেকে কেউ নির্ধারণ করে দিতে পারে না।

কারও কারও অভিযোগ, মেলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মাদক ও জুয়াসহ কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে। আমরা বলতে চাই, এ ধরনের সমস্যার সমাধান হতে পারে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারিতে। সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিজস্ব ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পালনের অধিকার অবারিতভাবে নিশ্চিত করা উচিত। গায়ের জোরে কোনো উৎসব বা মেলা বন্ধ করা অগণতান্ত্রিক আচরণ। এ ধরনের প্রবণতা অব্যাহত থাকলে তা ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

মেলা আয়োজনে বাধা কেন

সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

মাদারীপুরের কালকিনির ২২০ বছরের পুরনো কু-ুবাড়ির কালীপূজা মেলা নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি জনমনে এক গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। সেখানে দীপাবলি ও কালীপূজা উপলক্ষে নিয়মিত মেলা হয়। তথাকথিত কিছু আলেম ও ছাত্র প্রতিনিধিদের এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেলা বাতিল করা হয়েছিল। এ নিয়ে সমালোচনা হলে প্রাথমিকভাবে দুই দিনের মেলার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

দেশে সব ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির মানুষের নিজ নিজ উৎসব-অনুষ্ঠান করার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার কেউ হরণ করতে পারে না। কেউ যদি এ ধরনের অধিকার হরণ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ক-ুবাড়ির মেলা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী নির্বিষেশে বহু মানুষকে একত্রিত করে। তাদের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব। পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, একদল আলেম ও ছাত্র প্রতিনিধিদের অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঐতিহ্যবাহী মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। যারা মেলা বন্ধ করল তারা কারা, তারা কাদের প্রতিনিধিত্ব করে সেটা জানা জরুরি। সংখ্যালঘুদের আয়োজিত অনুষ্ঠান বলে সংখ্যাগরিষ্ঠদের কেউ গায়ের জোরে সেটা বন্ধ করে দিতে পারে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।

দেশে একদিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার কথা বলা হচ্ছে, আরেকদিকে ঐতিহ্যবাহী মেলা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এই প্রবণতা এখনই থামাতে হবে। নইলে এর পরিণতি কারও জন্য ভালো হবে না। সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়তে হলে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকে তার ধর্ম পালনের স্বাধীনতার পাশাপাশি উৎসব-অনুষ্ঠান করার অবারিত সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো শর্ত আরোপ করা চলবে না। মেলা ৭ দিন নাকি দুদিনব্যাপী হবে সেটা বাইরে থেকে কেউ নির্ধারণ করে দিতে পারে না।

কারও কারও অভিযোগ, মেলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মাদক ও জুয়াসহ কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে। আমরা বলতে চাই, এ ধরনের সমস্যার সমাধান হতে পারে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারিতে। সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিজস্ব ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পালনের অধিকার অবারিতভাবে নিশ্চিত করা উচিত। গায়ের জোরে কোনো উৎসব বা মেলা বন্ধ করা অগণতান্ত্রিক আচরণ। এ ধরনের প্রবণতা অব্যাহত থাকলে তা ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে।

back to top