সম্পাদিত// রেজাউল
উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বীরগঞ্জে শীতের প্রখরতা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঠা-ার প্রকোপ বৃদ্ধির ফলে গত দুই সপ্তাহে উপজেলাজুড়ে ডায়রিয়াসহ ঠা-াজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি ও কাশি এখন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, শিশু ও বয়স্করা এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে এটি স্পষ্ট যে রোগীর চাপ দিন দিন বাড়ছে। রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই ঠা-াজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বয়স্করা শ্বাসকষ্ট এবং অ্যাজমার সমস্যায় জর্জরিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে শিশু ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। শুধু গত শুক্রবারেই (১৪ ডিসেম্বর) ২০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৭ জন শিশু। সাম্প্রতিক দুই দিনে আরও ৯ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। এ রোগীদের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষভাবে কলা ও চিড়া খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেছেন, শীতজনিত রোগের প্রকোপ অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেকটাই বেশি। রোগীদের চিকিৎসায় স্যালাইনের ঘাটতি এড়াতে সরবরাহ ব্যবস্থায় কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। শিশুদের প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ এমএল এবং পরবর্তীতে ২০০ এমএল স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে, বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত প্রস্তুতির প্রয়োজন।
শীতের প্রকোপে উত্তরাঞ্চলের জনগোষ্ঠী বিশেষত শিশু ও বয়স্করা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। এ অবস্থায় কিছু জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে কী করণীয় তা প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে ক্যাম্পেইন চালাতে পারে। উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বৃদ্ধি এবং জরুরি ওষুধ ও স্যালাইনের সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। গ্রাম পর্যায়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা দরকার। শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে শীতের প্রকোপ থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেয়া যেতে পারে।
শীতের তীব্রতায় আক্রান্ত দিনাজপুরের মানুষের জন্য এই সময়টি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সময়ের দাবি। সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিশ্চিত করলে, শীতজনিত রোগের প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পাদিত// রেজাউল
উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বীরগঞ্জে শীতের প্রখরতা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঠা-ার প্রকোপ বৃদ্ধির ফলে গত দুই সপ্তাহে উপজেলাজুড়ে ডায়রিয়াসহ ঠা-াজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি ও কাশি এখন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, শিশু ও বয়স্করা এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে এটি স্পষ্ট যে রোগীর চাপ দিন দিন বাড়ছে। রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই ঠা-াজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বয়স্করা শ্বাসকষ্ট এবং অ্যাজমার সমস্যায় জর্জরিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে শিশু ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। শুধু গত শুক্রবারেই (১৪ ডিসেম্বর) ২০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৭ জন শিশু। সাম্প্রতিক দুই দিনে আরও ৯ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। এ রোগীদের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষভাবে কলা ও চিড়া খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেছেন, শীতজনিত রোগের প্রকোপ অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেকটাই বেশি। রোগীদের চিকিৎসায় স্যালাইনের ঘাটতি এড়াতে সরবরাহ ব্যবস্থায় কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। শিশুদের প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ এমএল এবং পরবর্তীতে ২০০ এমএল স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে, বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত প্রস্তুতির প্রয়োজন।
শীতের প্রকোপে উত্তরাঞ্চলের জনগোষ্ঠী বিশেষত শিশু ও বয়স্করা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। এ অবস্থায় কিছু জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে কী করণীয় তা প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে ক্যাম্পেইন চালাতে পারে। উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বৃদ্ধি এবং জরুরি ওষুধ ও স্যালাইনের সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। গ্রাম পর্যায়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা দরকার। শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে শীতের প্রকোপ থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেয়া যেতে পারে।
শীতের তীব্রতায় আক্রান্ত দিনাজপুরের মানুষের জন্য এই সময়টি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সময়ের দাবি। সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিশ্চিত করলে, শীতজনিত রোগের প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব।