alt

সম্পাদকীয়

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

নৌপথে জনসাধারণের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হলো ফেরি। এটি শুধু সাধারণ মানুষের যাতায়াতই নয়, যানবাহন পরিবহন এবং স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও অপরিহার্য। তবে, প্রশাসনের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, উদাসীনতা এবং জবাবদিহিহীনতার চর্চার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফেরিসংক্রান্ত সমস্যাগুলো দিনের পর দিন প্রকট হয়ে উঠেছে। এর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ হলো বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর সন্ন্যাসী-কলারন ফেরিঘাট।

২০০৬ সালের ৪ আগস্ট চালু হওয়া এই ফেরিঘাটটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হিসেবে কাজ করত। কিন্তু প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরে কলারন প্রান্তের ঘাটটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এই ঘাটে ফেরি পুনরায় চালুর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

নদী পারাপারে বর্তমানে ট্রলারই একমাত্র ভরসা। ট্রলার সব সময় সহজলভ্য নয়, ফলে স্থানীয়দের প্রতিদিনের জীবনে বাড়তি ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর ঢেউ বাড়লে ট্রলারে পারাপার করা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে, বিশেষত নারী, শিশু এবং অসুস্থ রোগীদের জন্য।

ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে সন্ন্যাসী-কলারন রুটে দৈনন্দিন কার্যক্রমে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং ব্যবসায়ীদের চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষাকালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পেতে অসুস্থ রোগীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। শিক্ষার্থীরা সময়মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারে না, যা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

এত বছর পরেও ফেরি চালুর উদ্যোগ না নেয়া প্রশাসনের ব্যর্থতার একটি চিত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার আশ্বাস পেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। একটি ঘাট চালু রাখতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দিকেও প্রশাসনের যথাযথ নজর দেয়া প্রয়োজন ছিল। জনগণের দুর্ভোগ কমাতে এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সচল রাখতে সন্ন্যাসী-কলারন ফেরি ঘাট পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

tab

সম্পাদকীয়

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

নৌপথে জনসাধারণের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হলো ফেরি। এটি শুধু সাধারণ মানুষের যাতায়াতই নয়, যানবাহন পরিবহন এবং স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও অপরিহার্য। তবে, প্রশাসনের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, উদাসীনতা এবং জবাবদিহিহীনতার চর্চার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফেরিসংক্রান্ত সমস্যাগুলো দিনের পর দিন প্রকট হয়ে উঠেছে। এর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ হলো বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর সন্ন্যাসী-কলারন ফেরিঘাট।

২০০৬ সালের ৪ আগস্ট চালু হওয়া এই ফেরিঘাটটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হিসেবে কাজ করত। কিন্তু প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরে কলারন প্রান্তের ঘাটটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এই ঘাটে ফেরি পুনরায় চালুর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

নদী পারাপারে বর্তমানে ট্রলারই একমাত্র ভরসা। ট্রলার সব সময় সহজলভ্য নয়, ফলে স্থানীয়দের প্রতিদিনের জীবনে বাড়তি ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর ঢেউ বাড়লে ট্রলারে পারাপার করা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে, বিশেষত নারী, শিশু এবং অসুস্থ রোগীদের জন্য।

ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে সন্ন্যাসী-কলারন রুটে দৈনন্দিন কার্যক্রমে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং ব্যবসায়ীদের চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষাকালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পেতে অসুস্থ রোগীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। শিক্ষার্থীরা সময়মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারে না, যা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

এত বছর পরেও ফেরি চালুর উদ্যোগ না নেয়া প্রশাসনের ব্যর্থতার একটি চিত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার আশ্বাস পেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। একটি ঘাট চালু রাখতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দিকেও প্রশাসনের যথাযথ নজর দেয়া প্রয়োজন ছিল। জনগণের দুর্ভোগ কমাতে এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সচল রাখতে সন্ন্যাসী-কলারন ফেরি ঘাট পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।

back to top