নৌপথে জনসাধারণের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হলো ফেরি। এটি শুধু সাধারণ মানুষের যাতায়াতই নয়, যানবাহন পরিবহন এবং স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও অপরিহার্য। তবে, প্রশাসনের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, উদাসীনতা এবং জবাবদিহিহীনতার চর্চার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফেরিসংক্রান্ত সমস্যাগুলো দিনের পর দিন প্রকট হয়ে উঠেছে। এর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ হলো বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর সন্ন্যাসী-কলারন ফেরিঘাট।
২০০৬ সালের ৪ আগস্ট চালু হওয়া এই ফেরিঘাটটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হিসেবে কাজ করত। কিন্তু প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরে কলারন প্রান্তের ঘাটটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এই ঘাটে ফেরি পুনরায় চালুর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
নদী পারাপারে বর্তমানে ট্রলারই একমাত্র ভরসা। ট্রলার সব সময় সহজলভ্য নয়, ফলে স্থানীয়দের প্রতিদিনের জীবনে বাড়তি ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর ঢেউ বাড়লে ট্রলারে পারাপার করা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে, বিশেষত নারী, শিশু এবং অসুস্থ রোগীদের জন্য।
ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে সন্ন্যাসী-কলারন রুটে দৈনন্দিন কার্যক্রমে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং ব্যবসায়ীদের চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষাকালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পেতে অসুস্থ রোগীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। শিক্ষার্থীরা সময়মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারে না, যা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
এত বছর পরেও ফেরি চালুর উদ্যোগ না নেয়া প্রশাসনের ব্যর্থতার একটি চিত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার আশ্বাস পেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। একটি ঘাট চালু রাখতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দিকেও প্রশাসনের যথাযথ নজর দেয়া প্রয়োজন ছিল। জনগণের দুর্ভোগ কমাতে এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সচল রাখতে সন্ন্যাসী-কলারন ফেরি ঘাট পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
নৌপথে জনসাধারণের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হলো ফেরি। এটি শুধু সাধারণ মানুষের যাতায়াতই নয়, যানবাহন পরিবহন এবং স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও অপরিহার্য। তবে, প্রশাসনের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, উদাসীনতা এবং জবাবদিহিহীনতার চর্চার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফেরিসংক্রান্ত সমস্যাগুলো দিনের পর দিন প্রকট হয়ে উঠেছে। এর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ হলো বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর সন্ন্যাসী-কলারন ফেরিঘাট।
২০০৬ সালের ৪ আগস্ট চালু হওয়া এই ফেরিঘাটটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হিসেবে কাজ করত। কিন্তু প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরে কলারন প্রান্তের ঘাটটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এই ঘাটে ফেরি পুনরায় চালুর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
নদী পারাপারে বর্তমানে ট্রলারই একমাত্র ভরসা। ট্রলার সব সময় সহজলভ্য নয়, ফলে স্থানীয়দের প্রতিদিনের জীবনে বাড়তি ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর ঢেউ বাড়লে ট্রলারে পারাপার করা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে, বিশেষত নারী, শিশু এবং অসুস্থ রোগীদের জন্য।
ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে সন্ন্যাসী-কলারন রুটে দৈনন্দিন কার্যক্রমে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং ব্যবসায়ীদের চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষাকালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পেতে অসুস্থ রোগীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। শিক্ষার্থীরা সময়মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারে না, যা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
এত বছর পরেও ফেরি চালুর উদ্যোগ না নেয়া প্রশাসনের ব্যর্থতার একটি চিত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার আশ্বাস পেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। একটি ঘাট চালু রাখতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দিকেও প্রশাসনের যথাযথ নজর দেয়া প্রয়োজন ছিল। জনগণের দুর্ভোগ কমাতে এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সচল রাখতে সন্ন্যাসী-কলারন ফেরি ঘাট পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।