alt

সম্পাদকীয়

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে গত তিন বছরে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা এবং লিলেন সামগ্রী ধোয়া বাবদ ১৩ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ের তথ্যে যে দুর্নীতির চিত্র ফুটে উঠেছে, তা উদ্বেগজনক। অডিট রিপোর্ট, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এবং হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ সূত্রের তথ্য এ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এখানে সুসংগঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারি অর্থ লুট করা হয়েছে।

রমেক হাসপাতালে ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিচ্ছন্নতার নামে ৯ কোটি টাকা এবং লিলেনসামগ্রী ধোয়ার নামে ৪ কোটি টাকার বেশি ব্যয় দেখানো হয়েছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, হাসপাতালের টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপযোগী, মেঝে এবং দেয়াল অপরিচ্ছন্ন এবং বাইরের ড্রেন ও আবর্জনা বছরের পর বছর অব্যবস্থাপনার শিকার। কর্মচারীদের সাক্ষ্য অনুযায়ী, তাদের সাদা কাগজে সই করিয়ে ভুয়া ভাউচার তৈরি করা হয়েছে।

অডিট প্রতিবেদন এবং সরেজমিনে অনুসন্ধানে এ-ও উঠে এসেছে যে, হাসপাতালের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী এই অর্থ লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। অডিট প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নামে বিল প্রদান করা হলেও কার্যত কোনো কাজই সম্পন্ন হয়নি। এভাবে সরকারি অর্থের অপচয় শুধু আর্থিক ক্ষতি নয় বরং স্বাস্থ্যসেবার মানের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

হাসপাতালের টয়লেট এবং বেড কভার সরবরাহের বিষয়টি রোগী এবং তাদের স্বজনদের জন্য দৈনন্দিন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিলেনসামগ্রী ধোয়ার নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় দেখানো হলেও, রোগীদের ব্যবহারের উপযোগী কোনো পরিষেবা দেয়া হয়নি।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এই দুর্নীতির ঘটনাটি কেবল অর্থ লুটপাটের বিষয় নয়; এটি দেশের স্বাস্থ্য খাতের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কমার একটি অন্যতম কারণ। সরকারের উচিত অবিলম্বে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। জনস্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে এবং জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপনে এ ঘটনা একটি শিক্ষা হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া প্রয়োজন।

আমরা বলতে চাই, এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি রোধে একটি কার্যকর নজরদারি এবং প্রতিবেদন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। অডিট প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করতে হবে। উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে স্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি গঠন করতে হবে।

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

tab

সম্পাদকীয়

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে গত তিন বছরে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা এবং লিলেন সামগ্রী ধোয়া বাবদ ১৩ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ের তথ্যে যে দুর্নীতির চিত্র ফুটে উঠেছে, তা উদ্বেগজনক। অডিট রিপোর্ট, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এবং হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ সূত্রের তথ্য এ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এখানে সুসংগঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারি অর্থ লুট করা হয়েছে।

রমেক হাসপাতালে ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিচ্ছন্নতার নামে ৯ কোটি টাকা এবং লিলেনসামগ্রী ধোয়ার নামে ৪ কোটি টাকার বেশি ব্যয় দেখানো হয়েছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, হাসপাতালের টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপযোগী, মেঝে এবং দেয়াল অপরিচ্ছন্ন এবং বাইরের ড্রেন ও আবর্জনা বছরের পর বছর অব্যবস্থাপনার শিকার। কর্মচারীদের সাক্ষ্য অনুযায়ী, তাদের সাদা কাগজে সই করিয়ে ভুয়া ভাউচার তৈরি করা হয়েছে।

অডিট প্রতিবেদন এবং সরেজমিনে অনুসন্ধানে এ-ও উঠে এসেছে যে, হাসপাতালের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী এই অর্থ লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। অডিট প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নামে বিল প্রদান করা হলেও কার্যত কোনো কাজই সম্পন্ন হয়নি। এভাবে সরকারি অর্থের অপচয় শুধু আর্থিক ক্ষতি নয় বরং স্বাস্থ্যসেবার মানের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

হাসপাতালের টয়লেট এবং বেড কভার সরবরাহের বিষয়টি রোগী এবং তাদের স্বজনদের জন্য দৈনন্দিন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিলেনসামগ্রী ধোয়ার নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় দেখানো হলেও, রোগীদের ব্যবহারের উপযোগী কোনো পরিষেবা দেয়া হয়নি।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এই দুর্নীতির ঘটনাটি কেবল অর্থ লুটপাটের বিষয় নয়; এটি দেশের স্বাস্থ্য খাতের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কমার একটি অন্যতম কারণ। সরকারের উচিত অবিলম্বে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। জনস্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে এবং জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপনে এ ঘটনা একটি শিক্ষা হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া প্রয়োজন।

আমরা বলতে চাই, এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি রোধে একটি কার্যকর নজরদারি এবং প্রতিবেদন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। অডিট প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করতে হবে। উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে স্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি গঠন করতে হবে।

back to top