চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার গোমদ-ী রেললাইনের ওপর অস্থায়ী বাজারটি যে কোনো সময় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বাজারে কেনাবেচা চলছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের দ্রুতগতির ট্রেনগুলোর আগমনের সময় দোকানিরা তড়িঘড়ি করে পণ্য সরিয়ে নেন এবং ট্রেন চলে গেলে আবারও বেচাকেনায় ফিরে যান। এ অবস্থা নাগরিকদের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ।
গোমদ-ী রেললাইনের এই বাজারের সমস্যা দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন তিন জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন এবং এক জোড়া তেলবাহী ওয়াগন এই পথ দিয়ে চলাচল করে। শীঘ্রই আরও দুটি ট্রেন যোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঝুঁকিকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলবে। বিশেষ করে শিশু, মহিলা, বয়স্ক এবং শিক্ষার্থীরা এই পরিস্থিতির শিকার হতে পারেন। রেললাইনের ওপর বসা বাজারটি নিরাপত্তার কোনো ন্যূনতম মানদ- মেনে চলছে না।
সমস্যাটি দীর্ঘদিনের, কিন্তু প্রশাসন থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। রেলপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জনগণের জীবন রক্ষার দায়িত্ব প্রশাসনের, যা এখানে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এ ধরনের অস্থায়ী বাজারের কারণে শুধু প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়ছে না, বরং রেলপথেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
উদ্ভূত সংকট নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনকে অবিলম্বে ব্যবসায়ীদের জন্য রেলপথ থেকে দূরে একটি স্থায়ী বাজারের ব্যবস্থা করতে হবে। রেলপথের ওপর বাজার বসানো সম্পূর্ণ বেআইনি। এই বিষয়ে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বাজারে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া রেললাইন বরাবর নিরাপত্তা বেড়া স্থাপন এবং বাজার এলাকায় রেল পুলিশের নজরদারি বাড়াতে হবে।
আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে, প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার গোমদ-ী রেললাইনের ওপর অস্থায়ী বাজারটি যে কোনো সময় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বাজারে কেনাবেচা চলছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের দ্রুতগতির ট্রেনগুলোর আগমনের সময় দোকানিরা তড়িঘড়ি করে পণ্য সরিয়ে নেন এবং ট্রেন চলে গেলে আবারও বেচাকেনায় ফিরে যান। এ অবস্থা নাগরিকদের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ।
গোমদ-ী রেললাইনের এই বাজারের সমস্যা দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন তিন জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন এবং এক জোড়া তেলবাহী ওয়াগন এই পথ দিয়ে চলাচল করে। শীঘ্রই আরও দুটি ট্রেন যোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঝুঁকিকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলবে। বিশেষ করে শিশু, মহিলা, বয়স্ক এবং শিক্ষার্থীরা এই পরিস্থিতির শিকার হতে পারেন। রেললাইনের ওপর বসা বাজারটি নিরাপত্তার কোনো ন্যূনতম মানদ- মেনে চলছে না।
সমস্যাটি দীর্ঘদিনের, কিন্তু প্রশাসন থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। রেলপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জনগণের জীবন রক্ষার দায়িত্ব প্রশাসনের, যা এখানে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এ ধরনের অস্থায়ী বাজারের কারণে শুধু প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়ছে না, বরং রেলপথেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
উদ্ভূত সংকট নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনকে অবিলম্বে ব্যবসায়ীদের জন্য রেলপথ থেকে দূরে একটি স্থায়ী বাজারের ব্যবস্থা করতে হবে। রেলপথের ওপর বাজার বসানো সম্পূর্ণ বেআইনি। এই বিষয়ে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বাজারে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া রেললাইন বরাবর নিরাপত্তা বেড়া স্থাপন এবং বাজার এলাকায় রেল পুলিশের নজরদারি বাড়াতে হবে।
আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে, প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।