গাজায় হামাসের সঙ্গে নতুন করা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েল সরকার। এই চুক্তি গাজায় মানবিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে-এই আশায় বিশ্বের চোখ এখন এই অঞ্চলে। তবে চুক্তি বাস্তবায়ন কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। হামলা অব্যাহত থাকার ফলে, এই চুক্তি টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ব্যর্থ হলে আবার যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত তার দেশ। এই চুক্তিতে অনেক ফিলিস্তিনিও ভরসা করতে পারছেন না।
আমরা মনে করি, ইসরায়েলের সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের হুঁশিয়ারি শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। যে শান্তি চুক্তি শুরুতে আশা জাগিয়েছিল, তা যদি মূলত রাজনৈতিক খেলায় পরিণত হয়, তাহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা কঠিন হতে পারে। গাজায় প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট শক্তিগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।
গাজার পুনর্গঠন এবং স্থায়ী শান্তির জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যুদ্ধবিরতি শুধু একটি সাময়িক সমাধান হতে পারে, তবে সত্যিকারের শান্তি স্থাপনের জন্য ব্যাপক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রয়োজন। গাজার অবস্থা উন্নত করতে একাধিক আন্তর্জাতিক শক্তির সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা জরুরি। মানবাধিকার, শান্তিপূর্ণ সমাধান, এবং দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
গাজার মানুষের পুনর্বাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। অসংখ্য পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সেখানে দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং পুনর্গঠন কাজ শুরু করা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর বড় ভূমিকা থাকা উচিত।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি শান্তির পথে একটি পদক্ষেপ। এটা টেকসই হবে কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট সবার জন্য একটি বড় পরীক্ষা। আমরা বলতে চাই, শান্তি স্থায়ী করতে হলে, শর্তাবলী সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে এবং সব পক্ষকে শান্তির পথে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকভাবে কূটনৈতিক ও মানবিক পদক্ষেপ নেয়া হলে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে পারে।
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
গাজায় হামাসের সঙ্গে নতুন করা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েল সরকার। এই চুক্তি গাজায় মানবিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে-এই আশায় বিশ্বের চোখ এখন এই অঞ্চলে। তবে চুক্তি বাস্তবায়ন কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। হামলা অব্যাহত থাকার ফলে, এই চুক্তি টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ব্যর্থ হলে আবার যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত তার দেশ। এই চুক্তিতে অনেক ফিলিস্তিনিও ভরসা করতে পারছেন না।
আমরা মনে করি, ইসরায়েলের সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের হুঁশিয়ারি শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। যে শান্তি চুক্তি শুরুতে আশা জাগিয়েছিল, তা যদি মূলত রাজনৈতিক খেলায় পরিণত হয়, তাহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা কঠিন হতে পারে। গাজায় প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট শক্তিগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।
গাজার পুনর্গঠন এবং স্থায়ী শান্তির জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যুদ্ধবিরতি শুধু একটি সাময়িক সমাধান হতে পারে, তবে সত্যিকারের শান্তি স্থাপনের জন্য ব্যাপক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রয়োজন। গাজার অবস্থা উন্নত করতে একাধিক আন্তর্জাতিক শক্তির সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা জরুরি। মানবাধিকার, শান্তিপূর্ণ সমাধান, এবং দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
গাজার মানুষের পুনর্বাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। অসংখ্য পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সেখানে দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং পুনর্গঠন কাজ শুরু করা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর বড় ভূমিকা থাকা উচিত।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি শান্তির পথে একটি পদক্ষেপ। এটা টেকসই হবে কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট সবার জন্য একটি বড় পরীক্ষা। আমরা বলতে চাই, শান্তি স্থায়ী করতে হলে, শর্তাবলী সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে এবং সব পক্ষকে শান্তির পথে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকভাবে কূটনৈতিক ও মানবিক পদক্ষেপ নেয়া হলে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে পারে।