চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়নে সেচপাম্প পরিচালকদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সেচ খরচ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগ, সেচ প্রকল্প পরিচালকরা প্রতিবারের মতো এবারও সেচের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছেন, যা স্থানীয় কৃষকদের পক্ষে বহন করা ক্রমেই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কৃষকরা দাবি করেছেন যে স্কিম পরিচালক কানিপ্রতি ২০০০ থেকে ২৬০০ টাকা আদায় করছেন, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। আশপাশের স্কিমগুলোতে কানিপ্রতি ১২০০ টাকা হার নির্ধারণ করা হলেও এই এলাকায় প্রায় দ্বিগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ফলে চাষাবাদে কৃষকদের অর্থনৈতিক চাপ বহুগুণ বেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, বোরো মৌসুমে সেচ অত্যাবশ্যক, এবং পর্যাপ্ত পানি না পেলে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এতে কৃষকদের জীবিকা এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
স্কিম পরিচালকের বক্তব্য অনুযায়ী, বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ এবং অন্যান্য খরচ বৃদ্ধির কারণেই তারা সেচের খরচ বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও এই যুক্তিতে সত্যতার কিছুটা ভিত্তি থাকতে পারে, তবে এ ধরনের সিদ্ধান্তে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। এছাড়া অন্য স্কিমের তুলনায় এত বেশি চার্জ আদায় কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।
এই পরিস্থিতি দেশের কৃষি ব্যবস্থার একটি বড় অসঙ্গতি তুলে ধরে। কৃষকরা খাদ্য উৎপাদনের মূল কারিগর হলেও তারা প্রায়ই আর্থিক শোষণের শিকার হন। সেচের মতো মৌলিক চাহিদার জন্য অতিরিক্ত খরচ আদায় করা তাদের আর্থিকভাবে আরও দুর্বল করে তুলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এটি আশাব্যঞ্জক হলেও সমস্যার একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সেচ কমিটির কার্যক্রম আরও তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণ জরুরি। পাশাপাশি, স্কিম পরিচালকদের আয়ের সঠিক হিসাব এবং তাদের খরচের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা উচিত।
সরকারের উচিত এই সেচ প্রকল্পগুলোর জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং বিদ্যুৎভিত্তিক সেচ প্রকল্পগুলোর বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি উৎসাহিত করা।
রাঙ্গুনিয়ার কৃষকদের দুর্ভোগ দেশের একটি বৃহত্তর সমস্যার প্রতিফলন। অতিরিক্ত সেচ খরচ কৃষকের জীবনযাত্রার ওপর যে প্রভাব ফেলে, তা দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর ভঙ্গুরতা এবং ন্যায়বিচারের অভাবকে চিহ্নিত করে। কৃষকের প্রতি এই অবিচার চলতে দেয়া যায় না।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়নে সেচপাম্প পরিচালকদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সেচ খরচ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগ, সেচ প্রকল্প পরিচালকরা প্রতিবারের মতো এবারও সেচের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছেন, যা স্থানীয় কৃষকদের পক্ষে বহন করা ক্রমেই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কৃষকরা দাবি করেছেন যে স্কিম পরিচালক কানিপ্রতি ২০০০ থেকে ২৬০০ টাকা আদায় করছেন, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। আশপাশের স্কিমগুলোতে কানিপ্রতি ১২০০ টাকা হার নির্ধারণ করা হলেও এই এলাকায় প্রায় দ্বিগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ফলে চাষাবাদে কৃষকদের অর্থনৈতিক চাপ বহুগুণ বেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, বোরো মৌসুমে সেচ অত্যাবশ্যক, এবং পর্যাপ্ত পানি না পেলে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এতে কৃষকদের জীবিকা এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
স্কিম পরিচালকের বক্তব্য অনুযায়ী, বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ এবং অন্যান্য খরচ বৃদ্ধির কারণেই তারা সেচের খরচ বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও এই যুক্তিতে সত্যতার কিছুটা ভিত্তি থাকতে পারে, তবে এ ধরনের সিদ্ধান্তে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। এছাড়া অন্য স্কিমের তুলনায় এত বেশি চার্জ আদায় কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।
এই পরিস্থিতি দেশের কৃষি ব্যবস্থার একটি বড় অসঙ্গতি তুলে ধরে। কৃষকরা খাদ্য উৎপাদনের মূল কারিগর হলেও তারা প্রায়ই আর্থিক শোষণের শিকার হন। সেচের মতো মৌলিক চাহিদার জন্য অতিরিক্ত খরচ আদায় করা তাদের আর্থিকভাবে আরও দুর্বল করে তুলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এটি আশাব্যঞ্জক হলেও সমস্যার একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সেচ কমিটির কার্যক্রম আরও তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণ জরুরি। পাশাপাশি, স্কিম পরিচালকদের আয়ের সঠিক হিসাব এবং তাদের খরচের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা উচিত।
সরকারের উচিত এই সেচ প্রকল্পগুলোর জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং বিদ্যুৎভিত্তিক সেচ প্রকল্পগুলোর বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি উৎসাহিত করা।
রাঙ্গুনিয়ার কৃষকদের দুর্ভোগ দেশের একটি বৃহত্তর সমস্যার প্রতিফলন। অতিরিক্ত সেচ খরচ কৃষকের জীবনযাত্রার ওপর যে প্রভাব ফেলে, তা দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর ভঙ্গুরতা এবং ন্যায়বিচারের অভাবকে চিহ্নিত করে। কৃষকের প্রতি এই অবিচার চলতে দেয়া যায় না।