alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘাত দেশের শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত সংকট ও প্রশাসনিক দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। এই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কেবল দুপক্ষের শিক্ষার্থীদের সম্পর্ককেই নয়, বরং পুরো শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

গত রোববার সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবিতে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) বাসভবনের দিকে অগ্রসর হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হন। মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল সেই প্রশ্ন উঠেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, এবং বিজিবি মোতায়েন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে অভিযোগ উঠেছে।

ঢাবির সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিল সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার কথা বলেছিল তারা। গতকাল সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঢাবি’র অধীন থাকছে না সাতটি কলেজ। ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে, ২০২৪-২৫ সেশন থেকে এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের আর ঢাবি’র অধীন ভর্তি করা হবে না।

আমরা মনে করি উদ্ভূত সংকটের সমাধানে সংলাপই হতে পারে একমাত্র কার্যকর মাধ্যম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সাত কলেজের অধ্যক্ষদের মধ্যে জরুরি সভার সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। তবে এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল পড়াশোনার কেন্দ্র নয়, বরং সম্প্রীতি, সহমর্মিতা, এবং যৌথ উন্নয়নের এক মিলনমঞ্চ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত নয়। প্রশাসন, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা একসঙ্গে কাজ করলে এই ধরনের সংঘাত এড়ানো সম্ভব।

আমরা আশা করি, এই উত্তেজনা সুষ্ঠু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে এবং শিক্ষাঙ্গনে পুনরায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য জ্ঞানার্জন, আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সব পক্ষকে কাজ করতে হবে। সংঘাত নয়, সমঝোতাই হোক সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘাত দেশের শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত সংকট ও প্রশাসনিক দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। এই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কেবল দুপক্ষের শিক্ষার্থীদের সম্পর্ককেই নয়, বরং পুরো শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

গত রোববার সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবিতে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) বাসভবনের দিকে অগ্রসর হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হন। মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল সেই প্রশ্ন উঠেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, এবং বিজিবি মোতায়েন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে অভিযোগ উঠেছে।

ঢাবির সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিল সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার কথা বলেছিল তারা। গতকাল সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঢাবি’র অধীন থাকছে না সাতটি কলেজ। ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে, ২০২৪-২৫ সেশন থেকে এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের আর ঢাবি’র অধীন ভর্তি করা হবে না।

আমরা মনে করি উদ্ভূত সংকটের সমাধানে সংলাপই হতে পারে একমাত্র কার্যকর মাধ্যম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সাত কলেজের অধ্যক্ষদের মধ্যে জরুরি সভার সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। তবে এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল পড়াশোনার কেন্দ্র নয়, বরং সম্প্রীতি, সহমর্মিতা, এবং যৌথ উন্নয়নের এক মিলনমঞ্চ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত নয়। প্রশাসন, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা একসঙ্গে কাজ করলে এই ধরনের সংঘাত এড়ানো সম্ভব।

আমরা আশা করি, এই উত্তেজনা সুষ্ঠু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে এবং শিক্ষাঙ্গনে পুনরায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য জ্ঞানার্জন, আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সব পক্ষকে কাজ করতে হবে। সংঘাত নয়, সমঝোতাই হোক সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।

back to top