alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

: শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চাঁদপুরের হাইমচরের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে জমি প্রস্তুত করেও বোরো ধান রোপণ করতে পারছেন না। মূলত পানি সংকটের কারণে তাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, বীজতলায় ধানের চারা অযথা দীর্ঘদিন রেখে দিলে উৎপাদন কমে যেতে পারে। এ নিয়ে সংবাদ-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

হাইমচর অঞ্চলের চাষিরা জানাচ্ছেন, জলাশয়গুলোতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় তাদের পক্ষে চাষাবাদ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে। পুকুর কিংবা ডোবায় যে পানি পাওয়া যায়, তা যথেষ্ট নয়। যেমন, চরভাঙ্গার মহসিন, নাইমুল, ফারুকসহ আরও অনেক কৃষক তাদের জমির ফসলের জন্য পানি পাচ্ছেন না। ফলে ধানের চারাগাছও শুকিয়ে যাচ্ছে এবং মাঠে ফাটল দেখা দিচ্ছে। ভুক্তভোগী কৃষকদের মতে, কৃষির মৌসুমে যথাসময়ে পানি সরবরাহ না পেলে আগামীর উৎপাদন নিশ্চিতভাবেই কমে যাবে।

এ সমস্যার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল পুনর্খননের কাজ করছে, যা দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কাজটি শেষ হতে দেরি হচ্ছে, আর এই দেরি চাষিদের জন্য অনিবার্য বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই খাল পুনর্খনন সম্পন্ন হবে এবং পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, আগে কেন এই বিপর্যয় এড়ানো যায়নি। কেন কৃষকদের জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা আগেই নেয়া হয়নি?

হাইমচরের কৃষকদের জীবন-জীবিকার মূল আশ্রয় হলো কৃষি। প্রতিদিনই মেঘনা নদীর পূর্বাঞ্চলের কৃষকরা হতাশা প্রকাশ করছেন, তাদের জমি প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও তারা চাষাবাদে অগ্রসর হতে পারছেন না। তাদের এই সমস্যার দ্রুত সমাধান দরকার।

সংশ্লিষ্টদের উচিত, খাল পুনর্খননের কাজ দ্রুত শেষ করা। পাশাপাশি, বোরো ধান চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। চাষিরা যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেদিকে নজর দেয়া প্রয়োজন।

শুধু হাইমচর নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেখানে পানি সংকট রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। দেশের কৃষি, বিশেষত বোরো ধানের মতো মৌসুমি ফসলের উৎপাদন পানি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। যদি এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা না হয়, তবে দেশের কৃষি খাতের ভবিষ্যৎও সংকটাপন্ন হতে পারে।

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চাঁদপুরের হাইমচরের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে জমি প্রস্তুত করেও বোরো ধান রোপণ করতে পারছেন না। মূলত পানি সংকটের কারণে তাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, বীজতলায় ধানের চারা অযথা দীর্ঘদিন রেখে দিলে উৎপাদন কমে যেতে পারে। এ নিয়ে সংবাদ-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

হাইমচর অঞ্চলের চাষিরা জানাচ্ছেন, জলাশয়গুলোতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় তাদের পক্ষে চাষাবাদ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে। পুকুর কিংবা ডোবায় যে পানি পাওয়া যায়, তা যথেষ্ট নয়। যেমন, চরভাঙ্গার মহসিন, নাইমুল, ফারুকসহ আরও অনেক কৃষক তাদের জমির ফসলের জন্য পানি পাচ্ছেন না। ফলে ধানের চারাগাছও শুকিয়ে যাচ্ছে এবং মাঠে ফাটল দেখা দিচ্ছে। ভুক্তভোগী কৃষকদের মতে, কৃষির মৌসুমে যথাসময়ে পানি সরবরাহ না পেলে আগামীর উৎপাদন নিশ্চিতভাবেই কমে যাবে।

এ সমস্যার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল পুনর্খননের কাজ করছে, যা দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কাজটি শেষ হতে দেরি হচ্ছে, আর এই দেরি চাষিদের জন্য অনিবার্য বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই খাল পুনর্খনন সম্পন্ন হবে এবং পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, আগে কেন এই বিপর্যয় এড়ানো যায়নি। কেন কৃষকদের জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা আগেই নেয়া হয়নি?

হাইমচরের কৃষকদের জীবন-জীবিকার মূল আশ্রয় হলো কৃষি। প্রতিদিনই মেঘনা নদীর পূর্বাঞ্চলের কৃষকরা হতাশা প্রকাশ করছেন, তাদের জমি প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও তারা চাষাবাদে অগ্রসর হতে পারছেন না। তাদের এই সমস্যার দ্রুত সমাধান দরকার।

সংশ্লিষ্টদের উচিত, খাল পুনর্খননের কাজ দ্রুত শেষ করা। পাশাপাশি, বোরো ধান চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। চাষিরা যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেদিকে নজর দেয়া প্রয়োজন।

শুধু হাইমচর নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেখানে পানি সংকট রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। দেশের কৃষি, বিশেষত বোরো ধানের মতো মৌসুমি ফসলের উৎপাদন পানি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। যদি এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা না হয়, তবে দেশের কৃষি খাতের ভবিষ্যৎও সংকটাপন্ন হতে পারে।

back to top