রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার রোগীদের জন্য একমাত্র রেডিওথেরাপি মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে নিম্নবিত্ত ও হতদরিদ্র ক্যানসার রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সংকট শুধু একটি হাসপাতালের সমস্যা নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গভীর সংকটেরই প্রতিচ্ছবি।
ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যয়সাপেক্ষ, বিশেষ করে নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য। ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা করানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অথচ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র একটি মেশিনের অভাবে এসব রোগী বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরছেন।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯৯৭ সালে স্থাপিত কোবাল্ট মেশিনটি ২০০৯ সালে বিকল হয়ে যায় এবং এরপর থেকে এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মেশিনটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে, অথচ একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি জরুরি ভিত্তিতে নতুন কোবাল্ট মেশিন স্থাপন না করে তাহলে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না।
প্রশ্ন হচ্ছে, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি চিকিৎসা সেবা কেন বছরের পর বছর অবহেলার শিকার হচ্ছে? সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন খাতে যখন নানা প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়, তখন মানুষের জীবন রক্ষার জন্য একটি কোবাল্ট মেশিন কেন স্থাপন করা সম্ভব হয় না?
মানুষের জীবন রক্ষার কাজে কোনো অবহেলা কাম্য নয়। তাই দেরি না করে অবিলম্বে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন কোবাল্ট মেশিন স্থাপন করতে হবে। অন্যথায় এ অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
আমরা আশা করতে চাই, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবিলম্বে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে। শুধু রংপুর নয়, সারাদেশে ক্যানসার চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুযোগ নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার রোগীদের জন্য একমাত্র রেডিওথেরাপি মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে নিম্নবিত্ত ও হতদরিদ্র ক্যানসার রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সংকট শুধু একটি হাসপাতালের সমস্যা নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গভীর সংকটেরই প্রতিচ্ছবি।
ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যয়সাপেক্ষ, বিশেষ করে নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য। ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা করানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অথচ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র একটি মেশিনের অভাবে এসব রোগী বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরছেন।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯৯৭ সালে স্থাপিত কোবাল্ট মেশিনটি ২০০৯ সালে বিকল হয়ে যায় এবং এরপর থেকে এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মেশিনটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে, অথচ একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি জরুরি ভিত্তিতে নতুন কোবাল্ট মেশিন স্থাপন না করে তাহলে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না।
প্রশ্ন হচ্ছে, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি চিকিৎসা সেবা কেন বছরের পর বছর অবহেলার শিকার হচ্ছে? সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন খাতে যখন নানা প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়, তখন মানুষের জীবন রক্ষার জন্য একটি কোবাল্ট মেশিন কেন স্থাপন করা সম্ভব হয় না?
মানুষের জীবন রক্ষার কাজে কোনো অবহেলা কাম্য নয়। তাই দেরি না করে অবিলম্বে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন কোবাল্ট মেশিন স্থাপন করতে হবে। অন্যথায় এ অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
আমরা আশা করতে চাই, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবিলম্বে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে। শুধু রংপুর নয়, সারাদেশে ক্যানসার চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুযোগ নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।