alt

সম্পাদকীয়

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

: শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশে পরিবেশ রক্ষার জন্য নানা আইন ও নীতি থাকলেও বাস্তবায়নের অভাবে তা কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ছে। এরই জ্বলন্ত উদাহরণ বরগুনার বেতাগী উপজেলার ইটভাটাগুলো; যেখানে প্রকাশ্যে আইন লঙ্ঘন করে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন বনভূমি উজাড় হচ্ছে, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্যের ওপর পড়ছে ভয়াবহ প্রভাব।

ভাটামালিকরা কাঠ পোড়ানোর কারণ হিসেবে কয়লা-সংকটের কথা বলছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, তারা কম খরচে বেশি মুনাফার জন্য কাঠ ব্যবহার করছেন। তারা যদি আইন মেনে চলতেন, তবে কয়লা কেনার ব্যবস্থা করতেন বা বিকল্প উপায়ে ইট পোড়ানোর পদ্ধতি খুঁজে বের করতেন।

ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর কারণে বনের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে এই চাহিদা মেটানো হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। বনভূমি উজাড় হলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরও ভয়াবহ হবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বৃষ্টিপাতের অনিশ্চয়তা, নদীভাঙন, খরা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বাড়বে।

এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে কৃষি খাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বন ধ্বংস হলে মাটির উর্বরতা কমবে, জলাধার শুকিয়ে যাবে, ফলে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাবে। এটা কৃষি অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং গ্রামীণ জীবিকাকে বিপর্যস্ত করবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও, এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আমরা বলতে চাই, আশ্বাস নয়, বরং অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

যেসব ভাটা আইন লঙ্ঘন করে কাঠ পোড়াচ্ছে, সেগুলোকে দ্রুত বন্ধ করতে হবে। আইন অমান্যকারীদের শুধু জরিমানা নয়, বরং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যাতে অন্যরা এ ধরনের আইন লঙ্ঘনে উৎসাহী না হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ কেবল একটি আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ বাঁচানোর শর্ত। এখনই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে এর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ হয়ে উঠবে। প্রশাসনের গাফিলতি, প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়া আর আইনের শিথিল প্রয়োগের সুযোগে পরিবেশ ধ্বংসের এই খেলা আর চলতে দেয়া যায় না। এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় পরিবেশগত বিপর্যয় এড়ানো অসম্ভব হয়ে উঠবে।

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

tab

সম্পাদকীয়

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশে পরিবেশ রক্ষার জন্য নানা আইন ও নীতি থাকলেও বাস্তবায়নের অভাবে তা কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ছে। এরই জ্বলন্ত উদাহরণ বরগুনার বেতাগী উপজেলার ইটভাটাগুলো; যেখানে প্রকাশ্যে আইন লঙ্ঘন করে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন বনভূমি উজাড় হচ্ছে, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্যের ওপর পড়ছে ভয়াবহ প্রভাব।

ভাটামালিকরা কাঠ পোড়ানোর কারণ হিসেবে কয়লা-সংকটের কথা বলছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, তারা কম খরচে বেশি মুনাফার জন্য কাঠ ব্যবহার করছেন। তারা যদি আইন মেনে চলতেন, তবে কয়লা কেনার ব্যবস্থা করতেন বা বিকল্প উপায়ে ইট পোড়ানোর পদ্ধতি খুঁজে বের করতেন।

ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর কারণে বনের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে এই চাহিদা মেটানো হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। বনভূমি উজাড় হলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরও ভয়াবহ হবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বৃষ্টিপাতের অনিশ্চয়তা, নদীভাঙন, খরা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বাড়বে।

এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে কৃষি খাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বন ধ্বংস হলে মাটির উর্বরতা কমবে, জলাধার শুকিয়ে যাবে, ফলে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাবে। এটা কৃষি অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং গ্রামীণ জীবিকাকে বিপর্যস্ত করবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও, এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আমরা বলতে চাই, আশ্বাস নয়, বরং অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

যেসব ভাটা আইন লঙ্ঘন করে কাঠ পোড়াচ্ছে, সেগুলোকে দ্রুত বন্ধ করতে হবে। আইন অমান্যকারীদের শুধু জরিমানা নয়, বরং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যাতে অন্যরা এ ধরনের আইন লঙ্ঘনে উৎসাহী না হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ কেবল একটি আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ বাঁচানোর শর্ত। এখনই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে এর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ হয়ে উঠবে। প্রশাসনের গাফিলতি, প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়া আর আইনের শিথিল প্রয়োগের সুযোগে পরিবেশ ধ্বংসের এই খেলা আর চলতে দেয়া যায় না। এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় পরিবেশগত বিপর্যয় এড়ানো অসম্ভব হয়ে উঠবে।

back to top