alt

সম্পাদকীয়

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

: শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তিস্তা নদীর বুকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারিবাসীর স্বপ্নের হরিপুর-চিলমারি তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। আগামী মার্চে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অথচ এই মাইলফলকের আগে সেতুর সন্নিকটে বালু উত্তোলনের অবৈধ দৌরাত্ম্য এ প্রকল্পের স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেতু থেকে মাত্র দেড়শ গজ দূরে প্রভাবশালী একটি অসাধু মহল প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু তুলছে। নির্মাণ প্রকল্পের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যদি এভাবে বালু তোলা হয়, তাহলে সেতুর মাটির ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে, এবং যে কোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই অবকাঠামোর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও প্রভাবশালী মহলটির অনড় অবস্থান প্রশাসনের কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিশেষ করে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পরও তা কার্যকর হয়নি। এটি প্রমাণ করে যে, আইন ও বিধিনিষেধের প্রতি এই অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের কোনো তোয়াক্কা নেই।

এখানে প্রশ্ন উঠছে, কারা এই প্রভাবশালী মহল? কেন তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যেহেতু স্বীকার করেছেন যে দেশের সম্পদের ক্ষতি কোনোভাবেই বরদাশত করা যাবে না, তাহলে কেন তারা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হচ্ছেন না? এ ধরনের অনিয়ম বন্ধে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সমন্বিত প্রয়াস অত্যন্ত জরুরি।

দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বিশাল বিনিয়োগ হচ্ছে, কিন্তু এ ধরনের অসাধু কর্মকা-ের ফলে এসব উন্নয়ন টেকসই হয়ে ওঠে না। দেশের বহু সেতু ও রাস্তার ক্ষতির প্রধান কারণ হলো নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন। তিস্তা পিসি গার্ডার সেতুর ক্ষেত্রেও যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে এ উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল জনগণ দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করতে পারবে না। কাজেই প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

tab

সম্পাদকীয়

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তিস্তা নদীর বুকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারিবাসীর স্বপ্নের হরিপুর-চিলমারি তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। আগামী মার্চে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অথচ এই মাইলফলকের আগে সেতুর সন্নিকটে বালু উত্তোলনের অবৈধ দৌরাত্ম্য এ প্রকল্পের স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেতু থেকে মাত্র দেড়শ গজ দূরে প্রভাবশালী একটি অসাধু মহল প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু তুলছে। নির্মাণ প্রকল্পের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যদি এভাবে বালু তোলা হয়, তাহলে সেতুর মাটির ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে, এবং যে কোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই অবকাঠামোর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও প্রভাবশালী মহলটির অনড় অবস্থান প্রশাসনের কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিশেষ করে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পরও তা কার্যকর হয়নি। এটি প্রমাণ করে যে, আইন ও বিধিনিষেধের প্রতি এই অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের কোনো তোয়াক্কা নেই।

এখানে প্রশ্ন উঠছে, কারা এই প্রভাবশালী মহল? কেন তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যেহেতু স্বীকার করেছেন যে দেশের সম্পদের ক্ষতি কোনোভাবেই বরদাশত করা যাবে না, তাহলে কেন তারা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হচ্ছেন না? এ ধরনের অনিয়ম বন্ধে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সমন্বিত প্রয়াস অত্যন্ত জরুরি।

দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বিশাল বিনিয়োগ হচ্ছে, কিন্তু এ ধরনের অসাধু কর্মকা-ের ফলে এসব উন্নয়ন টেকসই হয়ে ওঠে না। দেশের বহু সেতু ও রাস্তার ক্ষতির প্রধান কারণ হলো নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন। তিস্তা পিসি গার্ডার সেতুর ক্ষেত্রেও যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে এ উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল জনগণ দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করতে পারবে না। কাজেই প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

back to top