alt

সম্পাদকীয়

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

: সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর হাতে আটক যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনা গভীর উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে কোনো আইনি অভিযানে যেতে পারে, তবে কোনো অবস্থাতেই আইন হাতে তুলে নেয়া এবং বেআইনি শক্তিপ্রয়োগ গ্রহণযোগ্য নয়।

তৌহিদুল ইসলামের পরিবারের দাবি, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে, আইএসপিআর বলছে, তাকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, কেন একজন সুস্থ মানুষ আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাশ হয়ে যাবেন?

বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের বিষয়টি দেশে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হয়ে আসছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার এ ধরনের ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব হলো জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, আইন হাতে তুলে নেয়া নয়। কেউ যদি অপরাধী হয়, তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমেই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া উচিত। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, গোপনে আটকের পর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করার অভিযোগ এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত তৈরি করে।

এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আদৌ স্থিতিশীল হয় কি? ইতিহাস বলে, এ ধরনের কর্মকা- কখনোই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনতে পারে না; বরং এটি নাগরিকদের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তার জন্ম দেয়। বিশেষ করে যখন ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে, তখন তা আরও গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা কেন ঘটছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তারা। সরকার পরিবর্তনের পরও যদি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বিচারবহির্ভূত কার্যক্রমের সংস্কৃতি বহাল থাকে, তবে তা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।

এই ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে শুধু তদন্তের নির্দেশ দেয়াই যথেষ্ট নয়, এই তদন্ত অবশ্যই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নিহতের পরিবারকে ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ দেয়া রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।

বারোমাসি খালের দুর্দশা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

tab

সম্পাদকীয়

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর হাতে আটক যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনা গভীর উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে কোনো আইনি অভিযানে যেতে পারে, তবে কোনো অবস্থাতেই আইন হাতে তুলে নেয়া এবং বেআইনি শক্তিপ্রয়োগ গ্রহণযোগ্য নয়।

তৌহিদুল ইসলামের পরিবারের দাবি, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে, আইএসপিআর বলছে, তাকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, কেন একজন সুস্থ মানুষ আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাশ হয়ে যাবেন?

বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের বিষয়টি দেশে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হয়ে আসছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার এ ধরনের ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব হলো জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, আইন হাতে তুলে নেয়া নয়। কেউ যদি অপরাধী হয়, তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমেই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া উচিত। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, গোপনে আটকের পর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করার অভিযোগ এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত তৈরি করে।

এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আদৌ স্থিতিশীল হয় কি? ইতিহাস বলে, এ ধরনের কর্মকা- কখনোই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনতে পারে না; বরং এটি নাগরিকদের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তার জন্ম দেয়। বিশেষ করে যখন ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে, তখন তা আরও গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা কেন ঘটছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তারা। সরকার পরিবর্তনের পরও যদি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বিচারবহির্ভূত কার্যক্রমের সংস্কৃতি বহাল থাকে, তবে তা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।

এই ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে শুধু তদন্তের নির্দেশ দেয়াই যথেষ্ট নয়, এই তদন্ত অবশ্যই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নিহতের পরিবারকে ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ দেয়া রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।

back to top