চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ও ওচমানপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঐতিহ্যবাহী বারোমাসি খাল আজ সংকটের মুখে। দখল, দূষণ ও অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে খালটি এখন মৃতপ্রায়। একসময়ে কৃষি ও নৌপরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল এই খাল। কিন্তু আজ এটি দখলদারদের দৌরাত্ম্য ও স্থানীয়দের অসচেতনতার ফলে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বসতবাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি খালে পড়ে পানিকে বিষাক্ত করে তুলেছে। খালের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো পানিপ্রবাহকে সংকুচিত করে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কৃষকদের আশঙ্কা, খালটি পুনরুদ্ধার করা না হলে তাদের ধান ও সবজি চাষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, ময়লা-আবর্জনা ফেলাসহ নানা অনিয়ম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই এটি একেবারে মৃত খালে পরিণত হবে। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খালটি দখলমুক্ত ও পুনঃখনন করা হলে হাজার হেক্টর জমি বোরো চাষের আওতায় আসতে পারে, যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। যারা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে দ্রুত খনন কার্যক্রম শুরু করতে হবে। একইসঙ্গে পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের আধুনিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে যাতে আবাসিক ভবনগুলোর নোংরা পানি সরাসরি খালে না পড়ে।
কৃষকদের স্বার্থে ও জলাবদ্ধতা রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে খাল পুনরুদ্ধারের আশ্বাস দেয়া হলেও বাস্তবায়নের ধীরগতি হতাশাজনক। স্থানীয় প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে। একমাত্র সক্রিয় উদ্যোগ ও কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমেই বারোমাসি খালকে রক্ষা করা সম্ভব।
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ও ওচমানপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঐতিহ্যবাহী বারোমাসি খাল আজ সংকটের মুখে। দখল, দূষণ ও অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে খালটি এখন মৃতপ্রায়। একসময়ে কৃষি ও নৌপরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল এই খাল। কিন্তু আজ এটি দখলদারদের দৌরাত্ম্য ও স্থানীয়দের অসচেতনতার ফলে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বসতবাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি খালে পড়ে পানিকে বিষাক্ত করে তুলেছে। খালের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো পানিপ্রবাহকে সংকুচিত করে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কৃষকদের আশঙ্কা, খালটি পুনরুদ্ধার করা না হলে তাদের ধান ও সবজি চাষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, ময়লা-আবর্জনা ফেলাসহ নানা অনিয়ম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই এটি একেবারে মৃত খালে পরিণত হবে। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খালটি দখলমুক্ত ও পুনঃখনন করা হলে হাজার হেক্টর জমি বোরো চাষের আওতায় আসতে পারে, যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। যারা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে দ্রুত খনন কার্যক্রম শুরু করতে হবে। একইসঙ্গে পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের আধুনিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে যাতে আবাসিক ভবনগুলোর নোংরা পানি সরাসরি খালে না পড়ে।
কৃষকদের স্বার্থে ও জলাবদ্ধতা রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে খাল পুনরুদ্ধারের আশ্বাস দেয়া হলেও বাস্তবায়নের ধীরগতি হতাশাজনক। স্থানীয় প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে। একমাত্র সক্রিয় উদ্যোগ ও কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমেই বারোমাসি খালকে রক্ষা করা সম্ভব।