রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে নিষিদ্ধ চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ছোট মাছ, মাছের পোনা, ডিমওয়ালা মা মাছ ধরা হচ্ছে। পরিবেশের জন্য উপকারী জলজ প্রাণীগুলোও ধ্বংস হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রকাশ্যে বেআইনিভাবে চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার করা হলেও প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।
স্থানীয় পেশাদার জেলেরা এ সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে পদ্মা নদীতে মাছের দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তারা আরও বলেন, মা মাছ ডিম ফুটাতে না পারলে স্বাভাবিকভাবে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না এবং মাছের অভাবে তাদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।
নদীর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এবং মাছের প্রাকৃতিক বৃদ্ধির স্বার্থে জরুরিভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। নদীতে অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে। শুধু জাল জব্দ করাই যথেষ্ট নয়, বরং এর পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে, যেন এ ধরনের অবৈধ কর্মকা-ের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
একই সঙ্গে, স্থানীয় জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে তাদের আইন মেনে মাছ ধরার বিষয়ে উৎসাহিত করা যেতে পারে। এছাড়া মাছের অভয়ারণ্য সৃষ্টি ও নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে নিষিদ্ধ চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ছোট মাছ, মাছের পোনা, ডিমওয়ালা মা মাছ ধরা হচ্ছে। পরিবেশের জন্য উপকারী জলজ প্রাণীগুলোও ধ্বংস হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রকাশ্যে বেআইনিভাবে চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার করা হলেও প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।
স্থানীয় পেশাদার জেলেরা এ সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে পদ্মা নদীতে মাছের দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তারা আরও বলেন, মা মাছ ডিম ফুটাতে না পারলে স্বাভাবিকভাবে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না এবং মাছের অভাবে তাদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।
নদীর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এবং মাছের প্রাকৃতিক বৃদ্ধির স্বার্থে জরুরিভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। নদীতে অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে। শুধু জাল জব্দ করাই যথেষ্ট নয়, বরং এর পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে, যেন এ ধরনের অবৈধ কর্মকা-ের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
একই সঙ্গে, স্থানীয় জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে তাদের আইন মেনে মাছ ধরার বিষয়ে উৎসাহিত করা যেতে পারে। এছাড়া মাছের অভয়ারণ্য সৃষ্টি ও নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।