alt

সম্পাদকীয়

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে নিষিদ্ধ চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ছোট মাছ, মাছের পোনা, ডিমওয়ালা মা মাছ ধরা হচ্ছে। পরিবেশের জন্য উপকারী জলজ প্রাণীগুলোও ধ্বংস হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রকাশ্যে বেআইনিভাবে চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার করা হলেও প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।

স্থানীয় পেশাদার জেলেরা এ সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে পদ্মা নদীতে মাছের দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তারা আরও বলেন, মা মাছ ডিম ফুটাতে না পারলে স্বাভাবিকভাবে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না এবং মাছের অভাবে তাদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।

নদীর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এবং মাছের প্রাকৃতিক বৃদ্ধির স্বার্থে জরুরিভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। নদীতে অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে। শুধু জাল জব্দ করাই যথেষ্ট নয়, বরং এর পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে, যেন এ ধরনের অবৈধ কর্মকা-ের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

একই সঙ্গে, স্থানীয় জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে তাদের আইন মেনে মাছ ধরার বিষয়ে উৎসাহিত করা যেতে পারে। এছাড়া মাছের অভয়ারণ্য সৃষ্টি ও নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : কিছু প্রশ্ন

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

tab

সম্পাদকীয়

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে নিষিদ্ধ চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ছোট মাছ, মাছের পোনা, ডিমওয়ালা মা মাছ ধরা হচ্ছে। পরিবেশের জন্য উপকারী জলজ প্রাণীগুলোও ধ্বংস হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রকাশ্যে বেআইনিভাবে চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার করা হলেও প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।

স্থানীয় পেশাদার জেলেরা এ সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে পদ্মা নদীতে মাছের দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তারা আরও বলেন, মা মাছ ডিম ফুটাতে না পারলে স্বাভাবিকভাবে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না এবং মাছের অভাবে তাদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।

নদীর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এবং মাছের প্রাকৃতিক বৃদ্ধির স্বার্থে জরুরিভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। নদীতে অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে। শুধু জাল জব্দ করাই যথেষ্ট নয়, বরং এর পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে, যেন এ ধরনের অবৈধ কর্মকা-ের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

একই সঙ্গে, স্থানীয় জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে তাদের আইন মেনে মাছ ধরার বিষয়ে উৎসাহিত করা যেতে পারে। এছাড়া মাছের অভয়ারণ্য সৃষ্টি ও নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

back to top