alt

সম্পাদকীয়

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : কিছু প্রশ্ন

: শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাম্প্রতিক ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রত্যাশিত সংখ্যক নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়নি এবং মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম পাওয়া গেছে। ইসির সিনিয়র সচিব এ পরিস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের কথা বলেছেন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার প্রায় ৬১ লাখ নতুন ও বাদপড়া ভোটারের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা পৌঁছেছে মাত্র ৫০ লাখে। নতুন ভোটারের সংখ্যা হয়েছে ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৬ জন। অপরদিকে মৃত ভোটারের সংখ্যা মাত্র ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪২৪ জন, যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ৭ লাখ কম। প্রশ্ন হচ্ছে এই ব্যবধানের কারণ কী।

এ সংখ্যাগত ব্যবধানের মূল কারণ হতে পারে তথ্য সংগ্রহকারীদের যথাযথ মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমের অভাব, নাগরিকদের অনাগ্রহ এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা। অনেক স্থানে অভিযোগ উঠেছে যে, তথ্য সংগ্রহকারীরা নির্ধারিত এলাকায় যাননি বা গেলেও সঠিকভাবে কাজ করেননি। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অনেক বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারী যাননি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ইসি সচিব স্বীকার করেছেন যে, কিছু ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের গ্যাপ থেকে গেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকারোক্তি, তবে এই ‘গ্যাপ’ পূরণে কমিশনের আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে তথ্য সংগ্রহের প্রতিটি ধাপে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। মোবাইল অ্যাপে রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

অনেক নাগরিক হয়তো জানতেন না যে তারা ভোটার হতে পারবেন বা তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। এজন্য গণসচেতনতামূলক প্রচার বাড়াতে হবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের কার্যকারিতা আরও বিস্তৃত করা দরকার, যাতে নাগরিকরা নিজেরাই তাদের তথ্য আপডেট করতে পারেন। প্রতিটি তথ্য সংগ্রহকারীর কার্যক্রম সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং ত্রুটি পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে আরও নির্ভুল ডেটাবেজ তৈরি করা প্রয়োজন।

নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও মৃত ভোটার কর্তনের ক্ষেত্রে যে ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। নির্ভুল ভোটার তালিকা নিশ্চিত করা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ। তাই ইসির উচিত, তথ্য সংগ্রহ ও হালনাগাদের প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন যুক্ত করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যাগুলো দূর করা সম্ভব হয়।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

tab

সম্পাদকীয়

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : কিছু প্রশ্ন

শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাম্প্রতিক ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রত্যাশিত সংখ্যক নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়নি এবং মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম পাওয়া গেছে। ইসির সিনিয়র সচিব এ পরিস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের কথা বলেছেন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার প্রায় ৬১ লাখ নতুন ও বাদপড়া ভোটারের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা পৌঁছেছে মাত্র ৫০ লাখে। নতুন ভোটারের সংখ্যা হয়েছে ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৬ জন। অপরদিকে মৃত ভোটারের সংখ্যা মাত্র ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪২৪ জন, যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ৭ লাখ কম। প্রশ্ন হচ্ছে এই ব্যবধানের কারণ কী।

এ সংখ্যাগত ব্যবধানের মূল কারণ হতে পারে তথ্য সংগ্রহকারীদের যথাযথ মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমের অভাব, নাগরিকদের অনাগ্রহ এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা। অনেক স্থানে অভিযোগ উঠেছে যে, তথ্য সংগ্রহকারীরা নির্ধারিত এলাকায় যাননি বা গেলেও সঠিকভাবে কাজ করেননি। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অনেক বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারী যাননি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ইসি সচিব স্বীকার করেছেন যে, কিছু ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের গ্যাপ থেকে গেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকারোক্তি, তবে এই ‘গ্যাপ’ পূরণে কমিশনের আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে তথ্য সংগ্রহের প্রতিটি ধাপে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। মোবাইল অ্যাপে রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

অনেক নাগরিক হয়তো জানতেন না যে তারা ভোটার হতে পারবেন বা তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। এজন্য গণসচেতনতামূলক প্রচার বাড়াতে হবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের কার্যকারিতা আরও বিস্তৃত করা দরকার, যাতে নাগরিকরা নিজেরাই তাদের তথ্য আপডেট করতে পারেন। প্রতিটি তথ্য সংগ্রহকারীর কার্যক্রম সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং ত্রুটি পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে আরও নির্ভুল ডেটাবেজ তৈরি করা প্রয়োজন।

নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও মৃত ভোটার কর্তনের ক্ষেত্রে যে ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। নির্ভুল ভোটার তালিকা নিশ্চিত করা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ। তাই ইসির উচিত, তথ্য সংগ্রহ ও হালনাগাদের প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন যুক্ত করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যাগুলো দূর করা সম্ভব হয়।

back to top