alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

: শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রংপুরের কৃষকরা যখন তাদের চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় সার পাচ্ছেন না, তখনই বেরিয়ে আসছে একটি অনিয়মের চিত্র। বিসিআইসি ও বিএডিসির যে সার ডিলার ছয় মাস ধরে নিখোঁজ তার নামে নিয়মিত সার বরাদ্দ হচ্ছে এবং তা উত্তোলনও করা হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সার কৃষকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না; বরং কালোবাজারে চলে যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এটি শুধু একটি প্রশাসনিক গাফিলতি নয়, বরং কৃষকদের প্রতি চরম অবিচার। বিশেষত, যখন ধান, আলুসহ বিভিন্ন শস্য উৎপাদনের মৌসুম চলছে, তখন এই সার সংকট কৃষকদের বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ফলে তারা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্যে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন, যা উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে তুলছে এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ।

এ অনিয়মের আরেকটি উদ্বেগজনক দিক হলো, ক্ষমতার অপব্যবহার। অভিযোগ রয়েছে, কেউ কেউ সার নীতিমালা ভঙ্গ করে এক নামে দুটি লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে ডিলারশিপ পরিচালনা করেছেন। প্রশ্ন উঠছে, কেউ যদি ছয় মাস ধরে পলাতক থাকেন, তবে তার নামে কিভাবে নিয়মিত সার বরাদ্দ হচ্ছে? কাদের সহায়তায় এ বরাদ্দ অনুমোদিত হচ্ছে এবং তা উত্তোলন করা হচ্ছে? এসব প্রশ্নের জবাব প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু কেন এত বিলম্ব? কেন কৃষকরা বারবার অভিযোগ করার পরও প্রতিকার পাচ্ছেন না?

রংপুর জেলা প্রশাসন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ ধরনের অনিয়ম রোধে সার বরাদ্দ ও বিতরণ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি।

কৃষি আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। অথচ কৃষকদের স্বার্থের প্রতি এহেন অবহেলা এবং অনিয়ম মেনে নেয়া যায় না। কৃষকদের হয়রানি বন্ধে প্রশাসনকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় শুধু কৃষক নয়, পুরো দেশের কৃষি ব্যবস্থাই দুর্বল হয়ে পড়বে।

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রংপুরের কৃষকরা যখন তাদের চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় সার পাচ্ছেন না, তখনই বেরিয়ে আসছে একটি অনিয়মের চিত্র। বিসিআইসি ও বিএডিসির যে সার ডিলার ছয় মাস ধরে নিখোঁজ তার নামে নিয়মিত সার বরাদ্দ হচ্ছে এবং তা উত্তোলনও করা হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সার কৃষকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না; বরং কালোবাজারে চলে যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এটি শুধু একটি প্রশাসনিক গাফিলতি নয়, বরং কৃষকদের প্রতি চরম অবিচার। বিশেষত, যখন ধান, আলুসহ বিভিন্ন শস্য উৎপাদনের মৌসুম চলছে, তখন এই সার সংকট কৃষকদের বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ফলে তারা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্যে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন, যা উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে তুলছে এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ।

এ অনিয়মের আরেকটি উদ্বেগজনক দিক হলো, ক্ষমতার অপব্যবহার। অভিযোগ রয়েছে, কেউ কেউ সার নীতিমালা ভঙ্গ করে এক নামে দুটি লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে ডিলারশিপ পরিচালনা করেছেন। প্রশ্ন উঠছে, কেউ যদি ছয় মাস ধরে পলাতক থাকেন, তবে তার নামে কিভাবে নিয়মিত সার বরাদ্দ হচ্ছে? কাদের সহায়তায় এ বরাদ্দ অনুমোদিত হচ্ছে এবং তা উত্তোলন করা হচ্ছে? এসব প্রশ্নের জবাব প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু কেন এত বিলম্ব? কেন কৃষকরা বারবার অভিযোগ করার পরও প্রতিকার পাচ্ছেন না?

রংপুর জেলা প্রশাসন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ ধরনের অনিয়ম রোধে সার বরাদ্দ ও বিতরণ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি।

কৃষি আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। অথচ কৃষকদের স্বার্থের প্রতি এহেন অবহেলা এবং অনিয়ম মেনে নেয়া যায় না। কৃষকদের হয়রানি বন্ধে প্রশাসনকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় শুধু কৃষক নয়, পুরো দেশের কৃষি ব্যবস্থাই দুর্বল হয়ে পড়বে।

back to top