alt

opinion » editorial

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

: রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যমুনার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উজালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর সঙ্গে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তিন শতাধিক শিশুর শিক্ষাজীবন। পাশাপাশি দুই গ্রামÑউজালডাঙ্গা ও কাউয়াবাঁধার চার শতাধিক পরিবারের মাথার ওপর ছাদ নেই, নেই স্থায়ী আশ্রয়। অথচ, প্রশাসনের দৃষ্টিতে যেন এটি শুধু একটি নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা।

গত তিন মাসের নদীভাঙনে এই অঞ্চলের শত শত একর কৃষিজমি, তিনটি মসজিদ, একটি এতিমখানা এবং স্কুল ভবন বিলীন হয়েছে। পরিবারগুলো চরের এদিক-ওদিক আশ্রয় নিলেও শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়নি। বিদ্যালয়ের ভবন নেই, মাঠ নেই, শিক্ষকরা অনিয়মিত, আর প্রশাসনের বক্তব্যÑ‘স্থানীয়রা জমি দিলে ঘর তোলা হবে, না হলে বিদ্যালয় বিলুপ্তির সুপারিশ করা হবে।’

একটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব কি শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর দায়সারা প্রতিক্রিয়া দেখানো? একটি বিদ্যালয় বিলুপ্ত হলে শুধু একটি ভবন নয়, একটি সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎও ধ্বংস হয়। শিশুদের শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হলে দীর্ঘমেয়াদে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান বিপন্ন হয়। এটি শুধু উজালডাঙ্গা ও কাউয়াবাঁধার সংকট নয়, এটি সারাদেশের সেইসব চর ও নদীভাঙনপ্রবণ অঞ্চলের প্রতিচ্ছবি, যেখানে প্রতিবছর শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয় এবং শিক্ষার আলো নিভে যায়।

সরকারের উচিত জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয় পুনঃস্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া। বিদ্যালয়ের জন্য বিকল্প জমি খুঁজে দ্রুত স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে, যাতে তারা নিয়মিত পাঠদান চালিয়ে যেতে পারেন। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা আর অপেক্ষার মনোভাব শিশুর ভবিষ্যৎ ধ্বংসের কারণ হতে পারে না।

প্রশ্ন হলো, এই তিন শতাধিক শিশু তাদের মৌলিক শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, রাষ্ট্রের দায় কী? শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের এক্ষেত্রে জরুরি হস্তক্ষেপ দরকার। আমরা চাই না, কোনো কারণে কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ব্যাহত হোক।

উজালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তার শিক্ষার্থীদের রক্ষার জন্য দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে তারা হারিয়ে না যায় রাষ্ট্রীয় অবহেলার গহ্বরে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যমুনার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উজালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর সঙ্গে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তিন শতাধিক শিশুর শিক্ষাজীবন। পাশাপাশি দুই গ্রামÑউজালডাঙ্গা ও কাউয়াবাঁধার চার শতাধিক পরিবারের মাথার ওপর ছাদ নেই, নেই স্থায়ী আশ্রয়। অথচ, প্রশাসনের দৃষ্টিতে যেন এটি শুধু একটি নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা।

গত তিন মাসের নদীভাঙনে এই অঞ্চলের শত শত একর কৃষিজমি, তিনটি মসজিদ, একটি এতিমখানা এবং স্কুল ভবন বিলীন হয়েছে। পরিবারগুলো চরের এদিক-ওদিক আশ্রয় নিলেও শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়নি। বিদ্যালয়ের ভবন নেই, মাঠ নেই, শিক্ষকরা অনিয়মিত, আর প্রশাসনের বক্তব্যÑ‘স্থানীয়রা জমি দিলে ঘর তোলা হবে, না হলে বিদ্যালয় বিলুপ্তির সুপারিশ করা হবে।’

একটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব কি শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর দায়সারা প্রতিক্রিয়া দেখানো? একটি বিদ্যালয় বিলুপ্ত হলে শুধু একটি ভবন নয়, একটি সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎও ধ্বংস হয়। শিশুদের শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হলে দীর্ঘমেয়াদে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান বিপন্ন হয়। এটি শুধু উজালডাঙ্গা ও কাউয়াবাঁধার সংকট নয়, এটি সারাদেশের সেইসব চর ও নদীভাঙনপ্রবণ অঞ্চলের প্রতিচ্ছবি, যেখানে প্রতিবছর শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয় এবং শিক্ষার আলো নিভে যায়।

সরকারের উচিত জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয় পুনঃস্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া। বিদ্যালয়ের জন্য বিকল্প জমি খুঁজে দ্রুত স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে, যাতে তারা নিয়মিত পাঠদান চালিয়ে যেতে পারেন। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা আর অপেক্ষার মনোভাব শিশুর ভবিষ্যৎ ধ্বংসের কারণ হতে পারে না।

প্রশ্ন হলো, এই তিন শতাধিক শিশু তাদের মৌলিক শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, রাষ্ট্রের দায় কী? শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের এক্ষেত্রে জরুরি হস্তক্ষেপ দরকার। আমরা চাই না, কোনো কারণে কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ব্যাহত হোক।

উজালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তার শিক্ষার্থীদের রক্ষার জন্য দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে তারা হারিয়ে না যায় রাষ্ট্রীয় অবহেলার গহ্বরে।

back to top