alt

সম্পাদকীয়

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাদারীপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৮৭৫ সালে। ১৯৯১ সালে পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়; কিন্তু দুঃখজনকভাবে এতদিনেও এই পৌরসভায় কোন ডাম্পিং স্টেশন গড়ে ওঠেনি, যার ফলে শহরের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে এক ক্রমবর্ধমান সমস্যা তৈরি হয়েছে। সাত বছর ধরে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে নগরবাসী, যাত্রী, চালক এবং স্থানীয় পরিবেশের ওপর। এ অব্যবস্থাপনার কারণে রোগবালাইয়ের প্রসার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।

পৌর প্রশাসক একটি আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন, যার জন্য ৬৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যদিও এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন এক বছরের মধ্যে সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে, কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে শহরের নাগরিকরা যে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

মাদারীপুর পৌরসভায় অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য কি শুধুমাত্র প্রশাসনিক পদক্ষেপই যথেষ্ট? নাকি আরও গভীরভাবে এ সমস্যার মূল কারণগুলোর সমাধান করতে হবে? শহরের জনসংখ্যা দুই লাখেরও বেশি এবং এর মধ্যে ১১১ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং অন্যান্য সহযোগী কর্মী ময়লা অপসারণের কাজে নিয়োজিত; কিন্তু যে পরিমাণ ময়লা সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা এতসংখ্যক কর্মী দিয়েও পূর্ণভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে না।

পৌর প্রশাসক যে আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন, তা অবশ্যই শহরের পরিবেশ ব্যবস্থাপনাকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে পারে। তবে প্রকল্পটির বাস্তবায়নকে কতটা দ্রুত করা সম্ভব হবে, সেটিই প্রশ্ন। বিচারাধীন অবস্থায় থাকা জমির বিরোধ, তহবিলের জটিলতা এবং প্রশাসনিক গড়িমসির কারণে শহরের নাগরিকদের ভোগান্তি শুধুই বাড়ছে।

মাদারীপুর পৌরসভার এ অব্যবস্থাপনা শুধু শহরের সৌন্দর্য বা নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয় নয়, বরং এটি একটি স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং শহরের পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ রক্ষায় তাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা।

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : কিছু প্রশ্ন

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাদারীপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৮৭৫ সালে। ১৯৯১ সালে পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়; কিন্তু দুঃখজনকভাবে এতদিনেও এই পৌরসভায় কোন ডাম্পিং স্টেশন গড়ে ওঠেনি, যার ফলে শহরের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে এক ক্রমবর্ধমান সমস্যা তৈরি হয়েছে। সাত বছর ধরে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে নগরবাসী, যাত্রী, চালক এবং স্থানীয় পরিবেশের ওপর। এ অব্যবস্থাপনার কারণে রোগবালাইয়ের প্রসার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।

পৌর প্রশাসক একটি আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন, যার জন্য ৬৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যদিও এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন এক বছরের মধ্যে সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে, কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে শহরের নাগরিকরা যে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

মাদারীপুর পৌরসভায় অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য কি শুধুমাত্র প্রশাসনিক পদক্ষেপই যথেষ্ট? নাকি আরও গভীরভাবে এ সমস্যার মূল কারণগুলোর সমাধান করতে হবে? শহরের জনসংখ্যা দুই লাখেরও বেশি এবং এর মধ্যে ১১১ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং অন্যান্য সহযোগী কর্মী ময়লা অপসারণের কাজে নিয়োজিত; কিন্তু যে পরিমাণ ময়লা সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা এতসংখ্যক কর্মী দিয়েও পূর্ণভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে না।

পৌর প্রশাসক যে আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন, তা অবশ্যই শহরের পরিবেশ ব্যবস্থাপনাকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে পারে। তবে প্রকল্পটির বাস্তবায়নকে কতটা দ্রুত করা সম্ভব হবে, সেটিই প্রশ্ন। বিচারাধীন অবস্থায় থাকা জমির বিরোধ, তহবিলের জটিলতা এবং প্রশাসনিক গড়িমসির কারণে শহরের নাগরিকদের ভোগান্তি শুধুই বাড়ছে।

মাদারীপুর পৌরসভার এ অব্যবস্থাপনা শুধু শহরের সৌন্দর্য বা নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয় নয়, বরং এটি একটি স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং শহরের পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ রক্ষায় তাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা।

back to top