alt

সম্পাদকীয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের কোথাও কোথাও বরাদ্দবহির্ভূত সার বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাষিদের বেশি দাম গুনতে হচ্ছে, যা কৃষকদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিএডিসির বরাদ্দকৃত সার কাগজে-কলমে উত্তোলন দেখিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে কৃষকের কাছে নির্ধারিত মূল্যে সার পৌঁছাচ্ছে না। বরাদ্দবহির্ভূত সারের নামে সিন্ডিকেট চক্র ও অসাধু কর্মকর্তারা অবৈধ মুনাফা লুটছেন।

বোরো চাষের মৌসুমে রংপুরের কৃষকদের কৃত্রিম সারের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির মুখে পড়তে হচ্ছে। কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা এবং প্রতি বস্তায় ১০০-১৫০ টাকা বেশি দিয়ে কৃষকদের সার কিনতে হচ্ছে। অথচ সরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। একই অবস্থা যশোরের মনিরামপুরেও। খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছেন, তারা পরিবেশকের কাছ থেকে বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন, ফলে কৃষকের কাছ থেকেও বেশি মূল্য নিতে হচ্ছে। অথচ কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে, কিন্তু এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

সারের এই অনিয়ম ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, যা বোরো মৌসুমের ফলনেও প্রভাব ফেলবে। কৃষকেরা মনে করেন, যথাযথ তদারকি না থাকলে ভবিষ্যতে সারের সংকট আরও তীব্র হবে এবং চাষাবাদে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

সারের দাম নিয়ন্ত্রণে সারের সরবরাহ ও বিপণন কার্যক্রমের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে। বিশেষ করে বরাদ্দবহির্ভূত সার নিয়ে সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। বিএডিসি এবং বিসিআইসির সঙ্গে জড়িত অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

সরকারি কৃষি ভর্তুকির আওতায় কৃষকদের জন্য সরাসরি সারের ব্যবস্থা করা হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের অনিয়ম বন্ধ হতে পারে। নিয়মিত বাজার তদারকি ও কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে খুচরা ও পরিবেশকদের অবৈধ মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে হবে।

কৃষি দেশের অর্থনীতির মেরুদ-। তাই কৃষকের স্বার্থরক্ষা করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, বরং সামগ্রিকভাবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও অপরিহার্য। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে, যা পুরো দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের কোথাও কোথাও বরাদ্দবহির্ভূত সার বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাষিদের বেশি দাম গুনতে হচ্ছে, যা কৃষকদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিএডিসির বরাদ্দকৃত সার কাগজে-কলমে উত্তোলন দেখিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে কৃষকের কাছে নির্ধারিত মূল্যে সার পৌঁছাচ্ছে না। বরাদ্দবহির্ভূত সারের নামে সিন্ডিকেট চক্র ও অসাধু কর্মকর্তারা অবৈধ মুনাফা লুটছেন।

বোরো চাষের মৌসুমে রংপুরের কৃষকদের কৃত্রিম সারের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির মুখে পড়তে হচ্ছে। কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা এবং প্রতি বস্তায় ১০০-১৫০ টাকা বেশি দিয়ে কৃষকদের সার কিনতে হচ্ছে। অথচ সরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। একই অবস্থা যশোরের মনিরামপুরেও। খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছেন, তারা পরিবেশকের কাছ থেকে বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন, ফলে কৃষকের কাছ থেকেও বেশি মূল্য নিতে হচ্ছে। অথচ কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে, কিন্তু এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

সারের এই অনিয়ম ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, যা বোরো মৌসুমের ফলনেও প্রভাব ফেলবে। কৃষকেরা মনে করেন, যথাযথ তদারকি না থাকলে ভবিষ্যতে সারের সংকট আরও তীব্র হবে এবং চাষাবাদে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

সারের দাম নিয়ন্ত্রণে সারের সরবরাহ ও বিপণন কার্যক্রমের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে। বিশেষ করে বরাদ্দবহির্ভূত সার নিয়ে সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। বিএডিসি এবং বিসিআইসির সঙ্গে জড়িত অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

সরকারি কৃষি ভর্তুকির আওতায় কৃষকদের জন্য সরাসরি সারের ব্যবস্থা করা হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের অনিয়ম বন্ধ হতে পারে। নিয়মিত বাজার তদারকি ও কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে খুচরা ও পরিবেশকদের অবৈধ মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে হবে।

কৃষি দেশের অর্থনীতির মেরুদ-। তাই কৃষকের স্বার্থরক্ষা করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, বরং সামগ্রিকভাবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও অপরিহার্য। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে, যা পুরো দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করবে।

back to top