দেশের কোথাও কোথাও বরাদ্দবহির্ভূত সার বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাষিদের বেশি দাম গুনতে হচ্ছে, যা কৃষকদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিএডিসির বরাদ্দকৃত সার কাগজে-কলমে উত্তোলন দেখিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে কৃষকের কাছে নির্ধারিত মূল্যে সার পৌঁছাচ্ছে না। বরাদ্দবহির্ভূত সারের নামে সিন্ডিকেট চক্র ও অসাধু কর্মকর্তারা অবৈধ মুনাফা লুটছেন।
বোরো চাষের মৌসুমে রংপুরের কৃষকদের কৃত্রিম সারের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির মুখে পড়তে হচ্ছে। কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা এবং প্রতি বস্তায় ১০০-১৫০ টাকা বেশি দিয়ে কৃষকদের সার কিনতে হচ্ছে। অথচ সরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। একই অবস্থা যশোরের মনিরামপুরেও। খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছেন, তারা পরিবেশকের কাছ থেকে বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন, ফলে কৃষকের কাছ থেকেও বেশি মূল্য নিতে হচ্ছে। অথচ কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে, কিন্তু এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
সারের এই অনিয়ম ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, যা বোরো মৌসুমের ফলনেও প্রভাব ফেলবে। কৃষকেরা মনে করেন, যথাযথ তদারকি না থাকলে ভবিষ্যতে সারের সংকট আরও তীব্র হবে এবং চাষাবাদে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
সারের দাম নিয়ন্ত্রণে সারের সরবরাহ ও বিপণন কার্যক্রমের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে। বিশেষ করে বরাদ্দবহির্ভূত সার নিয়ে সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। বিএডিসি এবং বিসিআইসির সঙ্গে জড়িত অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
সরকারি কৃষি ভর্তুকির আওতায় কৃষকদের জন্য সরাসরি সারের ব্যবস্থা করা হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের অনিয়ম বন্ধ হতে পারে। নিয়মিত বাজার তদারকি ও কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে খুচরা ও পরিবেশকদের অবৈধ মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে হবে।
কৃষি দেশের অর্থনীতির মেরুদ-। তাই কৃষকের স্বার্থরক্ষা করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, বরং সামগ্রিকভাবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও অপরিহার্য। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে, যা পুরো দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করবে।
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দেশের কোথাও কোথাও বরাদ্দবহির্ভূত সার বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাষিদের বেশি দাম গুনতে হচ্ছে, যা কৃষকদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিএডিসির বরাদ্দকৃত সার কাগজে-কলমে উত্তোলন দেখিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে কৃষকের কাছে নির্ধারিত মূল্যে সার পৌঁছাচ্ছে না। বরাদ্দবহির্ভূত সারের নামে সিন্ডিকেট চক্র ও অসাধু কর্মকর্তারা অবৈধ মুনাফা লুটছেন।
বোরো চাষের মৌসুমে রংপুরের কৃষকদের কৃত্রিম সারের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির মুখে পড়তে হচ্ছে। কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা এবং প্রতি বস্তায় ১০০-১৫০ টাকা বেশি দিয়ে কৃষকদের সার কিনতে হচ্ছে। অথচ সরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। একই অবস্থা যশোরের মনিরামপুরেও। খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছেন, তারা পরিবেশকের কাছ থেকে বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন, ফলে কৃষকের কাছ থেকেও বেশি মূল্য নিতে হচ্ছে। অথচ কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে, কিন্তু এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
সারের এই অনিয়ম ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, যা বোরো মৌসুমের ফলনেও প্রভাব ফেলবে। কৃষকেরা মনে করেন, যথাযথ তদারকি না থাকলে ভবিষ্যতে সারের সংকট আরও তীব্র হবে এবং চাষাবাদে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
সারের দাম নিয়ন্ত্রণে সারের সরবরাহ ও বিপণন কার্যক্রমের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে। বিশেষ করে বরাদ্দবহির্ভূত সার নিয়ে সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। বিএডিসি এবং বিসিআইসির সঙ্গে জড়িত অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
সরকারি কৃষি ভর্তুকির আওতায় কৃষকদের জন্য সরাসরি সারের ব্যবস্থা করা হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের অনিয়ম বন্ধ হতে পারে। নিয়মিত বাজার তদারকি ও কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে খুচরা ও পরিবেশকদের অবৈধ মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে হবে।
কৃষি দেশের অর্থনীতির মেরুদ-। তাই কৃষকের স্বার্থরক্ষা করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, বরং সামগ্রিকভাবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও অপরিহার্য। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে, যা পুরো দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করবে।