alt

সম্পাদকীয়

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সরকারি জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের পর সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ হলেও পরে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সরকারি জমি সাধারণ জনগণের সম্পদ, যা সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও প্রশাসনের। কিন্তু যখনই কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি এই ধরনের জমি দখল করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে শুরু করে, তখন প্রশাসনের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ জরুরি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পরেই পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়ে যায়। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, প্রথমবারের নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা সীমিত ছিল, এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করা হলেও কেন পুনরায় তা শুরু হলো সেটা একটা প্রশ্ন। প্রশাসনের দায়িত্ব কি শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে সাময়িক পদক্ষেপ নেয়া, নাকি দীর্ঘস্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধান করা?

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি দখল করা সরাসরি বেআইনি কাজ। তাহলে কেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি? শুধু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় থাকলে কি অবৈধ দখলদারদের প্রশ্রয় দেয়া হয় না?

সাধারণত এই ধরনের ঘটনা তখনই ঘটে যখন স্থানীয় প্রশাসন কোনো না কোনোভাবে দখলদারের সঙ্গে সমঝোতায় যায় বা তাদের কার্যক্রমে শিথিলতা প্রদর্শন করে। প্রশ্ন হলো, প্রশাসন কী নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করছে?

সরকারি জায়গা দখল বন্ধে যদি প্রশাসন সক্রিয়ভাবে ভূমিকা না নেয়, তবে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে এবং সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাষ্ট্রের সম্পত্তি সুরক্ষিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব।

দেওয়ানগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্প : দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি

রেলপথে নিরাপত্তাহীনতা : চুরি ও অব্যবস্থাপনার দুষ্টচক্র

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

অমর একুশে

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতার অভিশাপ : পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও দুর্ভোগ

সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা

শবে বরাত: আত্মশুদ্ধির এক মহিমান্বিত রাত

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই সংকট : ব্যর্থতার দায় কার?

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : কিছু প্রশ্ন

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সরকারি জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের পর সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ হলেও পরে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সরকারি জমি সাধারণ জনগণের সম্পদ, যা সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও প্রশাসনের। কিন্তু যখনই কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি এই ধরনের জমি দখল করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে শুরু করে, তখন প্রশাসনের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ জরুরি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পরেই পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়ে যায়। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, প্রথমবারের নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা সীমিত ছিল, এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করা হলেও কেন পুনরায় তা শুরু হলো সেটা একটা প্রশ্ন। প্রশাসনের দায়িত্ব কি শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে সাময়িক পদক্ষেপ নেয়া, নাকি দীর্ঘস্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধান করা?

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি দখল করা সরাসরি বেআইনি কাজ। তাহলে কেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি? শুধু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় থাকলে কি অবৈধ দখলদারদের প্রশ্রয় দেয়া হয় না?

সাধারণত এই ধরনের ঘটনা তখনই ঘটে যখন স্থানীয় প্রশাসন কোনো না কোনোভাবে দখলদারের সঙ্গে সমঝোতায় যায় বা তাদের কার্যক্রমে শিথিলতা প্রদর্শন করে। প্রশ্ন হলো, প্রশাসন কী নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করছে?

সরকারি জায়গা দখল বন্ধে যদি প্রশাসন সক্রিয়ভাবে ভূমিকা না নেয়, তবে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে এবং সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাষ্ট্রের সম্পত্তি সুরক্ষিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব।

back to top