বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সরকারি জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের পর সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ হলেও পরে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারি জমি সাধারণ জনগণের সম্পদ, যা সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও প্রশাসনের। কিন্তু যখনই কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি এই ধরনের জমি দখল করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে শুরু করে, তখন প্রশাসনের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ জরুরি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পরেই পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়ে যায়। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, প্রথমবারের নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা সীমিত ছিল, এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করা হলেও কেন পুনরায় তা শুরু হলো সেটা একটা প্রশ্ন। প্রশাসনের দায়িত্ব কি শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে সাময়িক পদক্ষেপ নেয়া, নাকি দীর্ঘস্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধান করা?
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি দখল করা সরাসরি বেআইনি কাজ। তাহলে কেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি? শুধু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় থাকলে কি অবৈধ দখলদারদের প্রশ্রয় দেয়া হয় না?
সাধারণত এই ধরনের ঘটনা তখনই ঘটে যখন স্থানীয় প্রশাসন কোনো না কোনোভাবে দখলদারের সঙ্গে সমঝোতায় যায় বা তাদের কার্যক্রমে শিথিলতা প্রদর্শন করে। প্রশ্ন হলো, প্রশাসন কী নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করছে?
সরকারি জায়গা দখল বন্ধে যদি প্রশাসন সক্রিয়ভাবে ভূমিকা না নেয়, তবে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে এবং সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাষ্ট্রের সম্পত্তি সুরক্ষিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব।
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সরকারি জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের পর সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ হলেও পরে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারি জমি সাধারণ জনগণের সম্পদ, যা সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও প্রশাসনের। কিন্তু যখনই কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি এই ধরনের জমি দখল করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে শুরু করে, তখন প্রশাসনের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ জরুরি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পরেই পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়ে যায়। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, প্রথমবারের নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা সীমিত ছিল, এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করা হলেও কেন পুনরায় তা শুরু হলো সেটা একটা প্রশ্ন। প্রশাসনের দায়িত্ব কি শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে সাময়িক পদক্ষেপ নেয়া, নাকি দীর্ঘস্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধান করা?
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি দখল করা সরাসরি বেআইনি কাজ। তাহলে কেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি? শুধু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় থাকলে কি অবৈধ দখলদারদের প্রশ্রয় দেয়া হয় না?
সাধারণত এই ধরনের ঘটনা তখনই ঘটে যখন স্থানীয় প্রশাসন কোনো না কোনোভাবে দখলদারের সঙ্গে সমঝোতায় যায় বা তাদের কার্যক্রমে শিথিলতা প্রদর্শন করে। প্রশ্ন হলো, প্রশাসন কী নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করছে?
সরকারি জায়গা দখল বন্ধে যদি প্রশাসন সক্রিয়ভাবে ভূমিকা না নেয়, তবে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে এবং সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাষ্ট্রের সম্পত্তি সুরক্ষিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব।