alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ স্থানীয় অসাধু চক্রের কারণে চরম হুমকির মুখে পড়েছে। কিছু মাটি ব্যবসায়ী বাঁধের কোলঘেঁষে মাটি কেটে তা ইটভাটায় বিক্রি করছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও পাউবো কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

১৯৮৩ সালে কৃষকদের ফসল রক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী থেকে রাজশাহীর চারঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ চার দশক ধরে এটি এলাকাবাসীর কৃষিজীবনকে সুরক্ষা দিয়ে এসেছে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের লোভের শিকার হয়ে আজ সেই বাঁধ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বাঁধের পাশে থাকা ১৩টিরও বেশি খাল দখল হয়ে গিয়েছে, যা একসময় দরিদ্র মানুষের মাছ চাষের জন্য ব্যবহার হতো। এখন সেসব খাল চলে গেছে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে, যারা নির্বিচারে মাটি কাটার মাধ্যমে বাঁধকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

বাঁধ কেটে মাটি বিক্রি করার এই অনৈতিক ও বেআইনি কার্যক্রম শুধু কৃষিজীবীদের ক্ষতি করবে না, বরং বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলে ব্যাপক বন্যার আশঙ্কাও তৈরি করবে। অতিবৃষ্টি বা নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, যা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলবে। তাই এখনই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং অবৈধ মাটি কাটার কাজ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে এবং এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

একটি টেকসই কৃষিনির্ভর দেশের জন্য আমাদের পরিবেশ ও অবকাঠামো রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা যেন সংকটে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা ভবিষ্যতে এর চরম মাশুল দিতে হতে পারে আমাদের সবাইকে।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ স্থানীয় অসাধু চক্রের কারণে চরম হুমকির মুখে পড়েছে। কিছু মাটি ব্যবসায়ী বাঁধের কোলঘেঁষে মাটি কেটে তা ইটভাটায় বিক্রি করছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও পাউবো কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

১৯৮৩ সালে কৃষকদের ফসল রক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী থেকে রাজশাহীর চারঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ চার দশক ধরে এটি এলাকাবাসীর কৃষিজীবনকে সুরক্ষা দিয়ে এসেছে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের লোভের শিকার হয়ে আজ সেই বাঁধ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বাঁধের পাশে থাকা ১৩টিরও বেশি খাল দখল হয়ে গিয়েছে, যা একসময় দরিদ্র মানুষের মাছ চাষের জন্য ব্যবহার হতো। এখন সেসব খাল চলে গেছে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে, যারা নির্বিচারে মাটি কাটার মাধ্যমে বাঁধকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

বাঁধ কেটে মাটি বিক্রি করার এই অনৈতিক ও বেআইনি কার্যক্রম শুধু কৃষিজীবীদের ক্ষতি করবে না, বরং বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলে ব্যাপক বন্যার আশঙ্কাও তৈরি করবে। অতিবৃষ্টি বা নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, যা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলবে। তাই এখনই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং অবৈধ মাটি কাটার কাজ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে এবং এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

একটি টেকসই কৃষিনির্ভর দেশের জন্য আমাদের পরিবেশ ও অবকাঠামো রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা যেন সংকটে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা ভবিষ্যতে এর চরম মাশুল দিতে হতে পারে আমাদের সবাইকে।

back to top