দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নির্মাণাধীন ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্পটি একটি দুঃখজনক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে সরকারি প্রকল্পে দায়িত্বহীনতা, অদক্ষতা এবং সমন্বয়ের অভাব জনগণের স্বার্থকে পিছিয়ে দিচ্ছে। ‘নর্দান বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (নবিদেপ)’-এর আওতায় জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটির মেয়াদ গত দেড় বছর আগেই শেষ হয়েছে। এরপরও গত ছয় মাস ধরে কাজ পুরোপুরি বন্ধ এবং কবেনাগাদ আবার শুরু হবে, তা কেউ জানে না। এমন পরিস্থিতি শুধু অর্থের অপচয়ই নয়, বরং জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যও হুমকি সৃষ্টি করছে।
৭ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই ডাম্পিং স্টেশনটি দেওয়ানগঞ্জের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কথা ছিল। ২০২২ সালের জুনে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ৩৬০ দিন; কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ট্রান কন্সট্রাকশন’ নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি অতিরিক্ত দেড় বছর সময় পার হওয়ার পরও প্রকল্পটির সিভিল কাজের ৩০ শতাংশ এবং মেকানিক্যাল কাজের শতভাগ বাকি রয়ে গেছে।
প্রকল্পের এই দীর্ঘস্থায়ী বিলম্ব শুধু ঠিকাদারের ব্যর্থতার ফল নয়, এর পেছনে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও সমানভাবে দায়ী। পৌরসভা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস বারবার তাগিদ দিয়েও কাজে গতি আনতে পারেনি। এখন অফিসিয়াল চিঠি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু প্রশ্ন হলোÑ এত দিন কী করা হয়েছে? নির্মাণসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, জনগণের টাকা অপচয় হচ্ছে, অথচ দায়িত্বশীল কেউ এর জবাবদিহি করছেন না।
এ ঘটনা সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের দুর্বলতাকে সামনে এনে দিয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব, কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে শৈথিল্য এবং সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রবণতা এ ব্যর্থতার মূল কারণ।
দেওয়ানগঞ্জের এই ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে হলে কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রকল্পের তদারকিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরু করা জরুরি।
 ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নির্মাণাধীন ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্পটি একটি দুঃখজনক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে সরকারি প্রকল্পে দায়িত্বহীনতা, অদক্ষতা এবং সমন্বয়ের অভাব জনগণের স্বার্থকে পিছিয়ে দিচ্ছে। ‘নর্দান বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (নবিদেপ)’-এর আওতায় জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটির মেয়াদ গত দেড় বছর আগেই শেষ হয়েছে। এরপরও গত ছয় মাস ধরে কাজ পুরোপুরি বন্ধ এবং কবেনাগাদ আবার শুরু হবে, তা কেউ জানে না। এমন পরিস্থিতি শুধু অর্থের অপচয়ই নয়, বরং জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যও হুমকি সৃষ্টি করছে।
৭ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই ডাম্পিং স্টেশনটি দেওয়ানগঞ্জের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কথা ছিল। ২০২২ সালের জুনে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ৩৬০ দিন; কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ট্রান কন্সট্রাকশন’ নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি অতিরিক্ত দেড় বছর সময় পার হওয়ার পরও প্রকল্পটির সিভিল কাজের ৩০ শতাংশ এবং মেকানিক্যাল কাজের শতভাগ বাকি রয়ে গেছে।
প্রকল্পের এই দীর্ঘস্থায়ী বিলম্ব শুধু ঠিকাদারের ব্যর্থতার ফল নয়, এর পেছনে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও সমানভাবে দায়ী। পৌরসভা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস বারবার তাগিদ দিয়েও কাজে গতি আনতে পারেনি। এখন অফিসিয়াল চিঠি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু প্রশ্ন হলোÑ এত দিন কী করা হয়েছে? নির্মাণসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, জনগণের টাকা অপচয় হচ্ছে, অথচ দায়িত্বশীল কেউ এর জবাবদিহি করছেন না।
এ ঘটনা সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের দুর্বলতাকে সামনে এনে দিয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব, কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে শৈথিল্য এবং সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রবণতা এ ব্যর্থতার মূল কারণ।
দেওয়ানগঞ্জের এই ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে হলে কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রকল্পের তদারকিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরু করা জরুরি।
