দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ের তেল চুরির সিন্ডিকেট আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। লোকোমোটিভ থেকে সংঘবদ্ধভাবে তেল চুরি আবারও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি শুধু রেলওয়ের সম্পদের অপচয় নয়, বরং রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি ও নিরাপত্তা হুমকির স্পষ্ট চিত্র।
সম্প্রতি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী পার্বতীপুরের মনিরিয়া স্কুলের পাশে এক অভিযানে চুরি হওয়া ডিজেল তেল উদ্ধার করেছে। যদিও অভিযানের সময় কেউ ধরা পড়েনি, তবে এটি পরিষ্কার যে তেল চুরির এ অপকর্ম চালিয়ে যেতে একটি শক্তিশালী চক্র সক্রিয় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পুরনো সিন্ডিকেটের দিকেই সন্দেহের আঙুল তুলছেন, যা থেকে ধারণা করা যায় যে আগে বন্ধ হওয়া অপরাধ আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে।
রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তেল, যা শুধু লোকোমোটিভ চালনার জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কথা। অথচ এটি চুরি করে অবৈধ ব্যবসায় ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে অসাধু রেলকর্মীদের যোগসাজশ থাকার আশঙ্কা প্রবল। অতীতে চুরি বন্ধ হলেও নতুন করে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার বিষয়টি উদ্বেগজনক।
একটি বড় প্রশ্ন থেকেই যায়Ñ রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি এতই দুর্বল যে একাধিক পয়েন্টে সংঘবদ্ধ তেল চুরির ঘটনা ঘটতে পারে? যদি সত্যিই কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তবে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
অতীতে যে সিন্ডিকেট ধরা পড়েছিল, তাদের কি কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়েছিল? যদি তাই হতো, তাহলে কি তারা আবার মাথাচাড়া দিতে পারত? পার্বতীপুরে রেলওয়ের এই তেল চুরির পুনরুত্থান প্রশাসনিক ব্যর্থতারই প্রতিফলন।
তেল চুরির এই সিন্ডিকেট শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং এটি রেলের সার্বিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। লোকোমোটিভ থেকে তেল চুরি হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে, যা যাত্রী নিরাপত্তার জন্য বড় বিপদ। এই অপরাধ বন্ধ করতে হলে শুধু তদন্ত কমিটি গঠনই যথেষ্ট নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ের তেল চুরির সিন্ডিকেট আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। লোকোমোটিভ থেকে সংঘবদ্ধভাবে তেল চুরি আবারও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি শুধু রেলওয়ের সম্পদের অপচয় নয়, বরং রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি ও নিরাপত্তা হুমকির স্পষ্ট চিত্র।
সম্প্রতি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী পার্বতীপুরের মনিরিয়া স্কুলের পাশে এক অভিযানে চুরি হওয়া ডিজেল তেল উদ্ধার করেছে। যদিও অভিযানের সময় কেউ ধরা পড়েনি, তবে এটি পরিষ্কার যে তেল চুরির এ অপকর্ম চালিয়ে যেতে একটি শক্তিশালী চক্র সক্রিয় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পুরনো সিন্ডিকেটের দিকেই সন্দেহের আঙুল তুলছেন, যা থেকে ধারণা করা যায় যে আগে বন্ধ হওয়া অপরাধ আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে।
রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তেল, যা শুধু লোকোমোটিভ চালনার জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কথা। অথচ এটি চুরি করে অবৈধ ব্যবসায় ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে অসাধু রেলকর্মীদের যোগসাজশ থাকার আশঙ্কা প্রবল। অতীতে চুরি বন্ধ হলেও নতুন করে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার বিষয়টি উদ্বেগজনক।
একটি বড় প্রশ্ন থেকেই যায়Ñ রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি এতই দুর্বল যে একাধিক পয়েন্টে সংঘবদ্ধ তেল চুরির ঘটনা ঘটতে পারে? যদি সত্যিই কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তবে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
অতীতে যে সিন্ডিকেট ধরা পড়েছিল, তাদের কি কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়েছিল? যদি তাই হতো, তাহলে কি তারা আবার মাথাচাড়া দিতে পারত? পার্বতীপুরে রেলওয়ের এই তেল চুরির পুনরুত্থান প্রশাসনিক ব্যর্থতারই প্রতিফলন।
তেল চুরির এই সিন্ডিকেট শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং এটি রেলের সার্বিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। লোকোমোটিভ থেকে তেল চুরি হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে, যা যাত্রী নিরাপত্তার জন্য বড় বিপদ। এই অপরাধ বন্ধ করতে হলে শুধু তদন্ত কমিটি গঠনই যথেষ্ট নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।