alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

: বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

মাদারীপুরের শিরখাড়া ইউনিয়নে একটি শতবর্ষী বটগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিছু ধর্মীয় ব্যক্তি বলেছেন, ওই গাছ ঘিরে পূজা ও মানতের মতো কাজ হচ্ছিল। এ ধরনের কাজকে তারা ‘ইসলামবিরোধী’ বলে মনে করেন। তাই তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে গাছটি কেটে ফেলেছেন।

গাছটি বহু বছরের পুরনো। কারও কারও মতে, এটা শতবর্ষী গাছ। অনেক মানুষ মনে করত, গাছটির অলৌকিক ক্ষমতা আছে। কেউ কেউ মানত করত, কেউবা গাছের নিচে মোমবাতি জ্বালাত। প্রশ্ন হচ্ছে, এই কাজগুলো ভুল নাকি সঠিক সেটা কে নির্ধারণ করবে। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয় যে, গাছটিকে ঘিরে কেউ কেউ ‘ভুল’ কাজ করছেন তাহলেও গাছ কেটে ফেলার অধিকার কারও নেই। যারা গাছ কেটেছে, তারা প্রশাসন বা এলাকার কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজেরাই এই কাজ করেছে।

এই গাছটি শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয় ছিল না, এটি পরিবেশের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গাছটি অনেক মানুষকে ছায়া দিত, পাখিদের আশ্রয় দিত, অক্সিজেন দিত। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, এই গাছ কেটে অনেক ক্ষতি হয়েছে। গাছটি ১৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গাছ কাটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ক্ষুব্ধ নাগরিকরা বলছেন, গাছটি কারও ক্ষতি করছিল না। শুধু কিছু লোকের ভুল বিশ্বাস ও জেদের কারণে এটি কেটে ফেলা হয়েছে।

এখন যারা গাছ কেটেছে, তারা পালিয়ে গেছে। প্রশাসন বলছে, তারা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

আমরা মনে করি, ধর্মের নামে এইভাবে গাছ কাটা ঠিক হয়নি। এটা একটি ভুল ও অন্যায় কাজ। ধর্ম, পরিবেশ ও সামাজিক সহনশীলতাÑ সবই আমাদের দরকার। কারও কোনো কাজকে ‘ভুল’ বা ‘অপরাধ’ বলে আখ্যা দিয়ে আইন নিজের হাতে নেয়ার অধিকার কারও নেই।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত, যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ভবিষ্যতে যেন কেউ আর এমন কাজ না করে, সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

মাদারীপুরের শিরখাড়া ইউনিয়নে একটি শতবর্ষী বটগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিছু ধর্মীয় ব্যক্তি বলেছেন, ওই গাছ ঘিরে পূজা ও মানতের মতো কাজ হচ্ছিল। এ ধরনের কাজকে তারা ‘ইসলামবিরোধী’ বলে মনে করেন। তাই তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে গাছটি কেটে ফেলেছেন।

গাছটি বহু বছরের পুরনো। কারও কারও মতে, এটা শতবর্ষী গাছ। অনেক মানুষ মনে করত, গাছটির অলৌকিক ক্ষমতা আছে। কেউ কেউ মানত করত, কেউবা গাছের নিচে মোমবাতি জ্বালাত। প্রশ্ন হচ্ছে, এই কাজগুলো ভুল নাকি সঠিক সেটা কে নির্ধারণ করবে। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয় যে, গাছটিকে ঘিরে কেউ কেউ ‘ভুল’ কাজ করছেন তাহলেও গাছ কেটে ফেলার অধিকার কারও নেই। যারা গাছ কেটেছে, তারা প্রশাসন বা এলাকার কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজেরাই এই কাজ করেছে।

এই গাছটি শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয় ছিল না, এটি পরিবেশের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গাছটি অনেক মানুষকে ছায়া দিত, পাখিদের আশ্রয় দিত, অক্সিজেন দিত। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, এই গাছ কেটে অনেক ক্ষতি হয়েছে। গাছটি ১৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গাছ কাটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ক্ষুব্ধ নাগরিকরা বলছেন, গাছটি কারও ক্ষতি করছিল না। শুধু কিছু লোকের ভুল বিশ্বাস ও জেদের কারণে এটি কেটে ফেলা হয়েছে।

এখন যারা গাছ কেটেছে, তারা পালিয়ে গেছে। প্রশাসন বলছে, তারা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

আমরা মনে করি, ধর্মের নামে এইভাবে গাছ কাটা ঠিক হয়নি। এটা একটি ভুল ও অন্যায় কাজ। ধর্ম, পরিবেশ ও সামাজিক সহনশীলতাÑ সবই আমাদের দরকার। কারও কোনো কাজকে ‘ভুল’ বা ‘অপরাধ’ বলে আখ্যা দিয়ে আইন নিজের হাতে নেয়ার অধিকার কারও নেই।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত, যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ভবিষ্যতে যেন কেউ আর এমন কাজ না করে, সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top