alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

: সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার প্রবণতা বন্ধ হয়নি। বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে সংশ্লিষ্ট জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। খাদ্যচক্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে বিপন্ন হচ্ছে বনের পরিবেশ। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে বিভিন্ন সময় অনেককে গ্রেপ্তারও করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলবার সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে বন বিভাগ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তদের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের হারবাড়িয়া ভেরি খাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা পাস-পারমিট নিয়ে বনের চাঁদপাই রেঞ্জের হারবাড়িয়া ভেরি খাল এলাকায় মাছ ধরতে যায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা সেখানে বিষ দিয়ে মাছ ধরছিল। বিষয়টি জানার পর অভিযান চালিয়ে তাদের বিষসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

বনের অভ্যন্তরের খালগুলোতে বিষ দিয়ে মাছ আহরণকে ‘অত্যন্ত নিকৃষ্ট’ কাজ বলে আখ্যায়িত করেছে আদালত। কিন্তু জেলে নামধারী এক শ্রেণীর দুষ্কৃতকারী এই নিকৃষ্ট কাজ করেই চলেছে। অল্প সময়ে বেশি মাছ ধরার জন্যই তারা এমনটা করছে। এতে করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতি হচ্ছে সুন্দরবনের। বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে বনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। সেখানকার অন্যান্য জলজ প্রাণীও হুমকির মুখে পড়ছে।

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময় অনেককে গ্রেপ্তার করা হলেও বনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা কেন বন্ধ হচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন। শুধু অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা বা মামলা দেয়াই যথেষ্ট নয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে শক্ত চার্জশিট দিতে হবে। অপরাধ প্রমাণ করে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যাবে।

মাছ শিকারের জন্য দৃষ্কৃতকারীরা বিষ বা কীটনাশক পাচ্ছে কোথা থেকে সেটা একটা প্রশ্ন। এগুলো সহজলভ্য হলে বা যে কেউই যদি এসব বিক্রি করতে বা কিনতে পারে তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। নিয়ম মেনে যেন কীটনাশক বিক্রি হয়, সেটা নিশ্চিত করা দরকার।

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার প্রবণতা বন্ধ হয়নি। বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে সংশ্লিষ্ট জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। খাদ্যচক্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে বিপন্ন হচ্ছে বনের পরিবেশ। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে বিভিন্ন সময় অনেককে গ্রেপ্তারও করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলবার সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে বন বিভাগ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তদের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের হারবাড়িয়া ভেরি খাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা পাস-পারমিট নিয়ে বনের চাঁদপাই রেঞ্জের হারবাড়িয়া ভেরি খাল এলাকায় মাছ ধরতে যায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা সেখানে বিষ দিয়ে মাছ ধরছিল। বিষয়টি জানার পর অভিযান চালিয়ে তাদের বিষসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

বনের অভ্যন্তরের খালগুলোতে বিষ দিয়ে মাছ আহরণকে ‘অত্যন্ত নিকৃষ্ট’ কাজ বলে আখ্যায়িত করেছে আদালত। কিন্তু জেলে নামধারী এক শ্রেণীর দুষ্কৃতকারী এই নিকৃষ্ট কাজ করেই চলেছে। অল্প সময়ে বেশি মাছ ধরার জন্যই তারা এমনটা করছে। এতে করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতি হচ্ছে সুন্দরবনের। বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে বনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। সেখানকার অন্যান্য জলজ প্রাণীও হুমকির মুখে পড়ছে।

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময় অনেককে গ্রেপ্তার করা হলেও বনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা কেন বন্ধ হচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন। শুধু অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা বা মামলা দেয়াই যথেষ্ট নয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে শক্ত চার্জশিট দিতে হবে। অপরাধ প্রমাণ করে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যাবে।

মাছ শিকারের জন্য দৃষ্কৃতকারীরা বিষ বা কীটনাশক পাচ্ছে কোথা থেকে সেটা একটা প্রশ্ন। এগুলো সহজলভ্য হলে বা যে কেউই যদি এসব বিক্রি করতে বা কিনতে পারে তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। নিয়ম মেনে যেন কীটনাশক বিক্রি হয়, সেটা নিশ্চিত করা দরকার।

back to top