alt

সম্পাদকীয়

শীতে আগুন পোহানো ও গরম পানি ব্যবহারে সতর্ক হোন

: শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

তীব্র শীতে একটু উষ্ণতার খোঁজে আগুন পোহান অনেকেই। গোসলে ব্যবহার করেন গরম পানি। আগুন পোহাতে গিয়ে বা গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন।

হাসপাতালগুলোতে আগুনে পোড়া ও গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া রোগীদের ভিড় বাড়ছে। গুরুতর রোগীদের পাঠানো হচ্ছে বার্ন ইনস্টিটিউটে। সেখানে ধারণক্ষমতার বেশি রোগী হওয়ায় চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দুর্ঘটনার শিকার অনেকেই হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই মারা যান।

আগুন পোহাতে গিয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন নারীরা। আগুন পোহানোর সময় শাড়ি বা চাদরে আগুন লেগে দগ্ধ হচ্ছেন কেউ কেউ। আর গরম পানিতে শিশুদের ঝলসে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

এক হিসাব অনুযায়ী, গত বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সেবা নিয়েছেন ৫৬ হাজার ৬২৫ জন। যার মধ্যে প্রায় ৪৫ ভাগ রোগীই ছিলেন শীত মৌসুমের রোগী এবং তাদের বেশির ভাগই আগুনে পোড়া বা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া রোগী।

হাসপাতালগুলোতে শয্যার সীমাবদ্ধতা আছে। শয্যা সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। তবে শুধু শয্যা বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। আগুনে পোড়া বা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া সমস্যার প্রতিকারে সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আগুন পোহানোর সংস্কৃতি বদলানো জরুরি। আগুন যদি পোহাতেই হয় সেক্ষেত্রে পরিধেয় পোশাক সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। শাড়ি, চাদর বা কম্বল গায়ে দিয়ে আগুন পোহানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোসল করার সময় গরম পানি পাতিলে করে না নিয়ে বালতিতে করে নিয়ে গেলে দুর্ঘটনা অনেক কমবে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।

আগুন লাগা বা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়ার পরে প্রাথমিকভাবে কী ব্যবস্থা নিতে হবে সে সম্পর্কে মানুষকে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে।

অনেকে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে তাপ পোহাতে গিয়ে দুঘটনার শিকার হন। এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। আগুন পোহানোর পর আগুন ভালোভাবে নেভানো হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে হবে।

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

tab

সম্পাদকীয়

শীতে আগুন পোহানো ও গরম পানি ব্যবহারে সতর্ক হোন

শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

তীব্র শীতে একটু উষ্ণতার খোঁজে আগুন পোহান অনেকেই। গোসলে ব্যবহার করেন গরম পানি। আগুন পোহাতে গিয়ে বা গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন।

হাসপাতালগুলোতে আগুনে পোড়া ও গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া রোগীদের ভিড় বাড়ছে। গুরুতর রোগীদের পাঠানো হচ্ছে বার্ন ইনস্টিটিউটে। সেখানে ধারণক্ষমতার বেশি রোগী হওয়ায় চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দুর্ঘটনার শিকার অনেকেই হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই মারা যান।

আগুন পোহাতে গিয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন নারীরা। আগুন পোহানোর সময় শাড়ি বা চাদরে আগুন লেগে দগ্ধ হচ্ছেন কেউ কেউ। আর গরম পানিতে শিশুদের ঝলসে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

এক হিসাব অনুযায়ী, গত বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সেবা নিয়েছেন ৫৬ হাজার ৬২৫ জন। যার মধ্যে প্রায় ৪৫ ভাগ রোগীই ছিলেন শীত মৌসুমের রোগী এবং তাদের বেশির ভাগই আগুনে পোড়া বা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া রোগী।

হাসপাতালগুলোতে শয্যার সীমাবদ্ধতা আছে। শয্যা সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। তবে শুধু শয্যা বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। আগুনে পোড়া বা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া সমস্যার প্রতিকারে সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আগুন পোহানোর সংস্কৃতি বদলানো জরুরি। আগুন যদি পোহাতেই হয় সেক্ষেত্রে পরিধেয় পোশাক সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। শাড়ি, চাদর বা কম্বল গায়ে দিয়ে আগুন পোহানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোসল করার সময় গরম পানি পাতিলে করে না নিয়ে বালতিতে করে নিয়ে গেলে দুর্ঘটনা অনেক কমবে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।

আগুন লাগা বা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়ার পরে প্রাথমিকভাবে কী ব্যবস্থা নিতে হবে সে সম্পর্কে মানুষকে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে।

অনেকে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে তাপ পোহাতে গিয়ে দুঘটনার শিকার হন। এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। আগুন পোহানোর পর আগুন ভালোভাবে নেভানো হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে হবে।

back to top