alt

opinion » editorial

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার করুন

: বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩

মার্চ ও এপ্রিল- এই দুই মাস মাছের প্রজনন সময়কাল ধরা হয়ে থাকে। বিশেষ করে ইলিশ মাছের। তাই জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে যে কোনো মাছ পরিবহন, মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয়ে শাস্তির বিধান রেখে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে দুই মাস জেলেদের কর্মহীন থাকতে হয়। উপার্জনের মতো কোনো কাজও খুঁজে পান না তারা। ফলে এ সময় তাদের কোনো আয়-রোজগারও থাকে না। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করেন। জেলেদের এই দুর্দশার কথা ভেবে সরকার তাদের জন্য চালের বরাদ্দ দিয়েছে। যাতে তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়। কিন্তু সেই চালই কম দেয়া হচ্ছে বলে লক্ষ্মীপুর জেলার মেঘনা তীরের জেলেরা অভিযোগ করেছেন। প্রকৃত জেলে হয়েও কার্ডধারী হতে পারেননি অনেক জেলে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও কার্ড মেলেনি অনেক জেলের কপালে। কেউ কেউ সংশ্লিষ্টদের ১৫শ কিংবা ৩ হাজার টাকা দিয়ে কার্ড করেছে। চালে কোথাও ২০ কেজি, কোথাও ৩০ কেজি পর্যন্ত কম দেয়া হয়। এই কম চাল নিতেও সংশ্লিষ্টদের টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুধু লক্ষ্মীপুর জেলায় নয়, প্রতি বছর দেশের অন্যন্য অঞ্চল থেকে জেলেদের চাল আত্মসাৎ, ওজনে কম দেয়, চাল নিতে ঘুষ দেয়ার মতো ঘটনা ঘটে। আর এ কারণে সংসারের অভাব ঘোচাতে বিকল্প কাজ খুঁজে না পেয়ে অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরতে বাধ্য হন।

অসহায় জেলেদের এভাবে বঞ্চিত করে জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের আখের গোছাবেন তা হতে পারে না। লক্ষ্মীপুরে জেলেদের চাল বিতরণে কম দেয়ার খবরটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখবে সেটা আমাদের আশা। কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার করুন

বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩

মার্চ ও এপ্রিল- এই দুই মাস মাছের প্রজনন সময়কাল ধরা হয়ে থাকে। বিশেষ করে ইলিশ মাছের। তাই জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে যে কোনো মাছ পরিবহন, মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয়ে শাস্তির বিধান রেখে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে দুই মাস জেলেদের কর্মহীন থাকতে হয়। উপার্জনের মতো কোনো কাজও খুঁজে পান না তারা। ফলে এ সময় তাদের কোনো আয়-রোজগারও থাকে না। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করেন। জেলেদের এই দুর্দশার কথা ভেবে সরকার তাদের জন্য চালের বরাদ্দ দিয়েছে। যাতে তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়। কিন্তু সেই চালই কম দেয়া হচ্ছে বলে লক্ষ্মীপুর জেলার মেঘনা তীরের জেলেরা অভিযোগ করেছেন। প্রকৃত জেলে হয়েও কার্ডধারী হতে পারেননি অনেক জেলে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও কার্ড মেলেনি অনেক জেলের কপালে। কেউ কেউ সংশ্লিষ্টদের ১৫শ কিংবা ৩ হাজার টাকা দিয়ে কার্ড করেছে। চালে কোথাও ২০ কেজি, কোথাও ৩০ কেজি পর্যন্ত কম দেয়া হয়। এই কম চাল নিতেও সংশ্লিষ্টদের টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুধু লক্ষ্মীপুর জেলায় নয়, প্রতি বছর দেশের অন্যন্য অঞ্চল থেকে জেলেদের চাল আত্মসাৎ, ওজনে কম দেয়, চাল নিতে ঘুষ দেয়ার মতো ঘটনা ঘটে। আর এ কারণে সংসারের অভাব ঘোচাতে বিকল্প কাজ খুঁজে না পেয়ে অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরতে বাধ্য হন।

অসহায় জেলেদের এভাবে বঞ্চিত করে জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের আখের গোছাবেন তা হতে পারে না। লক্ষ্মীপুরে জেলেদের চাল বিতরণে কম দেয়ার খবরটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখবে সেটা আমাদের আশা। কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে।

back to top