বন্যহাতির অভয়ারণ্য ধ্বংস করে মৎস্য ও পোলট্রি খামার এবং ফল-সবজির বাগানের কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির চাইন্দা খোন্দকারপাড়ার পশ্চিমের পাহাড়ে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে খামার আর বাগান তৈরির প্রক্রিয়া চলছে অনেক দিন ধরেই। গাছপালা কেটে বা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে, বিদ্যুতের সংযোগ নেয়া হচ্ছে। সেখানে প্লট আকারে জমি বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বন উজাড় করে প্রাণ ও প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। বন বিভাগের নাকের ডগার ওপর দিয়েই বন ধ্বংস করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই ধ্বংসযজ্ঞে বনবিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত। বন উজাড় করে কীভাবে নিজের আখের গোছানো যায় তারা সেই চিন্তায় ব্যস্ত। বনের গাছপালা বন্যপ্রাণীর বাসস্থান রক্ষা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।
দেশের বনগুলো দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। বন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশের ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ একর সংরক্ষিত বন দখল হয়ে গেছে। প্রায়ই হাতি, বানর, শেয়ালের মতো অনেক বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসে। সাধারণত বনে খাবারের অভাব দেখা দিলে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসে।
বন উজাড়িকরণের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। দেশের সংরক্ষিত বনভূমি উজাড় হয়ে যাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান রক্ষা করতে ও তাদের খাদ্য সংস্থান নিশ্চিত করতে, দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বন বাঁচাতে হবে।
বন রক্ষায় বনবিভাগকে তৎপর হতে হবে। কক্সবাজারে বন ধ্বংসের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। বন ধ্বংসের সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। বন ধ্বংসকারীরা সাধারণত স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাবান হয়ে থাকে। বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এমন ব্যক্তিরা এসব তৎপরতায় লিপ্ত হয়। তাই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীদের দমন করার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তাদের সঙ্গে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যে যোগসাজশের অভিযোগ পাওয়া যায় সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। বনভূমি তদারকির ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।
সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
বন্যহাতির অভয়ারণ্য ধ্বংস করে মৎস্য ও পোলট্রি খামার এবং ফল-সবজির বাগানের কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির চাইন্দা খোন্দকারপাড়ার পশ্চিমের পাহাড়ে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে খামার আর বাগান তৈরির প্রক্রিয়া চলছে অনেক দিন ধরেই। গাছপালা কেটে বা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে, বিদ্যুতের সংযোগ নেয়া হচ্ছে। সেখানে প্লট আকারে জমি বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বন উজাড় করে প্রাণ ও প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। বন বিভাগের নাকের ডগার ওপর দিয়েই বন ধ্বংস করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই ধ্বংসযজ্ঞে বনবিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত। বন উজাড় করে কীভাবে নিজের আখের গোছানো যায় তারা সেই চিন্তায় ব্যস্ত। বনের গাছপালা বন্যপ্রাণীর বাসস্থান রক্ষা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।
দেশের বনগুলো দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। বন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশের ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ একর সংরক্ষিত বন দখল হয়ে গেছে। প্রায়ই হাতি, বানর, শেয়ালের মতো অনেক বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসে। সাধারণত বনে খাবারের অভাব দেখা দিলে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসে।
বন উজাড়িকরণের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। দেশের সংরক্ষিত বনভূমি উজাড় হয়ে যাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান রক্ষা করতে ও তাদের খাদ্য সংস্থান নিশ্চিত করতে, দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বন বাঁচাতে হবে।
বন রক্ষায় বনবিভাগকে তৎপর হতে হবে। কক্সবাজারে বন ধ্বংসের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। বন ধ্বংসের সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। বন ধ্বংসকারীরা সাধারণত স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাবান হয়ে থাকে। বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এমন ব্যক্তিরা এসব তৎপরতায় লিপ্ত হয়। তাই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীদের দমন করার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তাদের সঙ্গে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যে যোগসাজশের অভিযোগ পাওয়া যায় সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। বনভূমি তদারকির ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।