alt

সম্পাদকীয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

: বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাটে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। তিতাসের গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণের অভিযোগ আগেও পাওয়া গেছে। কিছু দিন আগে রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায়ও গ্যাস জমে থাকার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও তিতাস কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর আগে রাজধানীর মগবাজারে এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তখনও তিতাস কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।

অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ত্রুটিপূর্ণ লাইনের কারণে দেশে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, জনগণের জানমালের ক্ষতি হয়। তিতাসের গ্যাস জমে থাকার কারণে বা সংযোগ লাইন ছিদ্র হয়ে নারায়াণগঞ্জে অতীতে অনেক দুর্ঘটনাই ঘটেছে। আমাদের মনে আছে, নারায়ণগঞ্জে একটি মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণে অনেকেই হতাহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো অভিযোগ উঠলে সেটা তদন্তের আগেই অবৈধ সংযোগ থাকার কথা অস্বীকার করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। অস্বীকার করা, দায় এড়ানো এটিই তাদের রুটিন ওয়ার্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ও লিকেজের কারণে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটবে, জনগণের জানমাল ধ্বংস হবে আর তারা অস্বীকার করবে।

কোন দুর্ঘটনার পর তার দায় অস্বীকার করা বা অন্যের ঘাড়ে চাপানো দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। তিতাস কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানো বা অস্বীকার করার এ প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। বরং দেশের কোথায় অবৈধ সংযোগ আছে বা কোন লাইনে ত্রুটি আছে কিনা- সেটা নিয়ে কাজ করা জরুরি। এ কাজগুলো করা হলে নারায়ণগঞ্জের দুর্ঘটনা হয়তো দেশবাসীকে দেখতে হতো না।

কিভাবে তিতাসের অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়, এর পেছনে কারা আছে, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অবৈধ গ্যাস বাণিজ্যর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। লোক দেখানো অভিযান চালালে হবে না।

বিতরণ লাইনের ত্রুটি সংস্কারের জন্য তিতাস কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে। জানা গেছে, তিতাসের কেন্দ্রীয় জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে গ্রাহকরা যত অভিযোগ করেন তার সিংহভাগই গ্যাস লিকেজ সংক্রান্ত। এসব অভিযোগ আমলে নিতে হবে। লাইনের ত্রুটি মেরামত করা না হলে ভবিষ্যতে আবারো মানুষকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে।

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

tab

সম্পাদকীয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাটে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। তিতাসের গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণের অভিযোগ আগেও পাওয়া গেছে। কিছু দিন আগে রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায়ও গ্যাস জমে থাকার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও তিতাস কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর আগে রাজধানীর মগবাজারে এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তখনও তিতাস কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।

অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ত্রুটিপূর্ণ লাইনের কারণে দেশে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, জনগণের জানমালের ক্ষতি হয়। তিতাসের গ্যাস জমে থাকার কারণে বা সংযোগ লাইন ছিদ্র হয়ে নারায়াণগঞ্জে অতীতে অনেক দুর্ঘটনাই ঘটেছে। আমাদের মনে আছে, নারায়ণগঞ্জে একটি মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণে অনেকেই হতাহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো অভিযোগ উঠলে সেটা তদন্তের আগেই অবৈধ সংযোগ থাকার কথা অস্বীকার করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। অস্বীকার করা, দায় এড়ানো এটিই তাদের রুটিন ওয়ার্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ও লিকেজের কারণে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটবে, জনগণের জানমাল ধ্বংস হবে আর তারা অস্বীকার করবে।

কোন দুর্ঘটনার পর তার দায় অস্বীকার করা বা অন্যের ঘাড়ে চাপানো দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। তিতাস কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানো বা অস্বীকার করার এ প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। বরং দেশের কোথায় অবৈধ সংযোগ আছে বা কোন লাইনে ত্রুটি আছে কিনা- সেটা নিয়ে কাজ করা জরুরি। এ কাজগুলো করা হলে নারায়ণগঞ্জের দুর্ঘটনা হয়তো দেশবাসীকে দেখতে হতো না।

কিভাবে তিতাসের অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়, এর পেছনে কারা আছে, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অবৈধ গ্যাস বাণিজ্যর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। লোক দেখানো অভিযান চালালে হবে না।

বিতরণ লাইনের ত্রুটি সংস্কারের জন্য তিতাস কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে। জানা গেছে, তিতাসের কেন্দ্রীয় জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে গ্রাহকরা যত অভিযোগ করেন তার সিংহভাগই গ্যাস লিকেজ সংক্রান্ত। এসব অভিযোগ আমলে নিতে হবে। লাইনের ত্রুটি মেরামত করা না হলে ভবিষ্যতে আবারো মানুষকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে।

back to top